আঙ্গুল কর্তনের মামলায় একজনের ৪ বছরের কারাদন্ড

51

স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর হাটখোলা গ্রামে মামাতো ভাইর আঙ্গুল কর্তনের মামলায় এক দুর্বৃত্তের ৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রমে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সরাবন তহুরা এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম- মুন্না (২৪)। সে জালালাবাদ থানার হাটখোলা গ্রামের হাফিজ আব্দুল্লাহ’র পুত্র। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মুন্না আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, একই গ্রামের হাফিজ আব্দুল ওদুদের পুত্র বাহা উদ্দিন একজন মুদির দোকানদার। আসামী মুন্না ও তার ভাই মান্না একই বাড়ির বাসিন্দা হওয়ায় তারা সম্পর্কে মামাতো ভাই। বাহা উদ্দিনের ভাই হযরত শাহজালাল (রহ:) দরগা মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্র শাকিল আহমদ ২০১৪ সালের ২৯ জুন রাত ৮ টার দিকে দোকানের পাওনা ৫ হাজার ৭শ’ টাকা চাইতে মুন্না ও মান্নার ঘরে যায়। এ সময় পাওনা টাকা না দিয়ে তাকে কতাবার্তার এক পর্যায়ে মুন্না ও মান্না তাদের ঘরের বারান্দায় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন মান্না শাকিলের গলায় টিপ দিয়ে ধরে। এক পর্যায়ে মুন্না ঘর থেকে বটি দা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করতে চেষ্টা করলে শাকিল হাত দিয়ে সে ছেদ আটকাতে গিয়ে তার একটি তর্জনী আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে আরো দু’টি আঙ্গুল মারাত্মক রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হলে সে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তার চিৎকারে তার ভাই বাহা উদ্দিন ও বাড়ির অন্য লোকজন এগিয়ে এসে আহত শাকিলকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আহত শাকিলের ভাই বাহা উদ্দিন বাদি হয়ে মুন্না ও মান্নাকে আসামী করে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ৮ (০৭-০৭-২০১৪)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩১ আগষ্ট জালালাবাদ থানার এসআই মো: আব্দুল ওয়াদুদ একমাত্র মুন্নাকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন ত্রবং ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ থেকে আদালত এ মামলার বিচারকার্য শুরু করেন। দীর্ঘ শুনানী ও ১১ সাক্ষীর মধ্যে ৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামী মুন্নাকে উল্লেখিত দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ ও আসামীপক্ষে এডভোকেট ড. ফৌজিয়া সুলতানা মামলাটি পরিচালনা করেন।