অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংষতা (যৌন হয়রানি) বন্ধের দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক সিলেট জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি এডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সৈয়দা শিরিন আক্তার, সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার, সদস্য অ্যাডভোকেট জাকিয়া জালাল।
স্মারকলিপিতে বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, কোম্পানীগঞ্জ, ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং ও লোভাছড়ায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের কারণে পরিবেশ ও প্রতিবেশগত অবস্থা এবং জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে শাহ আরেফিন টিলা, জাফলং, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়ায় গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই ৯ মাসে ২২ জন পাথর শ্রমিক নিহতসহ ১০ আহত হয়েছেন। প্রানহানীর পাশাপাশি বিলীন হচ্ছে জনবসতিসহ রাস্তাঘাট ও ভূ-খন্ড। এতে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অংশবিশেষ হারিয়ে যাবার আশংকা রয়েছে। পাথরবাহী ভারী যান চলাচলের কারণে সিলেট-জাফলং ও সিলেট- কোম্পানীগঞ্জ সড়কের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এছাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে প্রানহানীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছে।
নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংষতা (যৌন হয়রানি) প্রসঙ্গে বলা হয়, গ্রাম ও শহরে সর্বত্রই প্রকট আকার ধারণ করছে যৌন হয়রানি। মেয়ে শিশু থেকে মধ্য বয়স্ক নারীরাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আজ মেয়ে শিশুর অভিভাবককে চরম আতংকের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। এতে করে মেয়ে, কিশোরী ও নারীদের জীবনের স্বাভাবিকতা মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে যা মানুষিক স্বাস্থ্যর জন্য চরম ক্ষতিকারক।
এছাড়া অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা ও এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়ন, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা (যৌন হয়রানি) বন্ধ করণ এবং ঢাকা সিলেট মহাসড়কে প্রাণহানী দুর্ঘটনা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি