ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের পল্লীতে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথে অভিমান করে শরীরে আগুন দিয়ে দু’সন্তানের জননী দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের মোল্লাআতা-খোজারখাই গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরেই মঙ্গলবার সকালে মোল্লাআতা-খোজারখাই গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী দু’সন্তানের জননী মনি বেগম ও তার শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে অব্যাহত অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে বিচার সালিশের উদ্দেশ্যে মনি বেগম স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরেতাজ মিয়ার দারস্থ হলে তার মাধ্যমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের সমন্বয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়। ওই রাতে আবারো শ্বশুর শাশুড়ি কর্তৃক নির্যাতন শুরু করা হলে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে মনি বেগম গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। এতে তার শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে দগ্ধ হয়ে যায়। তার শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে আহত মনি বেগমের স্বামী ও তার মায়ের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরেতাজ মিয়া বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তাদের পারিবারিক বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান সমন্বয়ে নিষ্পত্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যা রাতে খবর পেলাম গৃহবধূ তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মঙ্গলবার সকালের পারিবারিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি দুপুরে নিষ্পত্তি করে দেয়া হয়েছিল। সালিশে সন্তুষ্টি হয়ে উভয় পক্ষরা তাদের বাড়িতে চলে যায়। ওইদিন রাতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা ও গৃহবধূ গুরুতর আহতের খবর পেয়ে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গৃহবধূ মনি বেগম দ্বগ্ধ হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মুমূর্ষু অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।