হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের রসুলগঞ্জ বাজারে সিএনজি শ্রমিক ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অনন্ত ৩০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহতদের নবীগঞ্জ ও হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কের রসুলগঞ্জ বাজারে বাস পরিবহনের ছেগার আলীপুর গ্রামের মৃত লোদন মিয়ার ছেলে ছালিক মিয়ার সাথে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে সিএনজি চালক মোঃ সেলু মিয়ার বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনায় বাস ও সিএনজি স্থানীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মিমাংসা করেন দেন। কিন্তু গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ছেগার ছালিক মিয়া তার আত্মীয় স্বজনসহ লোকজন নিয়ে সিএনজি ষ্টেশনে এসে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রসুলগঞ্জ বাজার মসজিদ মাইকে আলীপুর গ্রামের লোকজন ঘোষণা দেন তিমিরপুর গ্রামের লোকজন বাজারে লুটপাট শুরু করছে। যার যা কিছু আছে তা নিয়ে এগিয়ে এসো। এই গুজনের ঘোষণার পর পরই আলীপুর গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে জারা সুপার মার্কেটে হামলায় চালায়। ওই মার্কেটের মালিক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পারভেজসহ বেশ কিছু ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন ইট পাটকেল, লাঠি, জিআর পাইপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষে বাস, মোটর সাইকেল, সিএনজিসহ ৭-৮টি দোকান পাট ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন জারা মার্কেট ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া (২৮), ফারুক মিয়া (৩২) ও আল আমীন (৩০)’কে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা হলেন সাইদুর রহমান (২৮),শামাল মিয়া (৩৫), ছাদিক মিয়া (২২), তাকিব উল্লাহ (২৭), মতিউর রহমান (৩০), আবুল কালাম (৩৫), সাইদুল হক (২৫), আবুল হোসেন (১৭), মুক্তার মিয়া (২৪), মোফাজ্জল (২৩), রাজু আহমেদ (২০), রাসেল আহমদ (২০)। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এদিকে জারা সুপার মার্কেট মালিক জমরু মিয়ার ছেলে আহত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পারভেজ মিয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এত বড় ঘটনার কথা নয়। প্রকৃত বিষয় হলো আলীপুর গ্রামের ছালিক, খালিক মিয়াসহ কয়েকজন লোকের সাথে আমাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল। সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদটি লেখা পর্যন্ত নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি ।