জামালগঞ্জে কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব, আগ্রহ বাড়ছে গ্রামের মানুষের

55

নিজাম নুর জামালগঞ্জ থেকে :
সেবা নিন সুস্থ থাকুন এই শ্লোগানে যাত্রা শুরু বর্তমান সরকারের ব্যাপক সাড়া জাগানো অবদান কমিউনিটি ক্লিনিক। গ্রামীণ জনগোষ্ঠি দোড়গোরায় লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে ফলে দেশের প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষিত বেকার লোকের কর্মসংস্থান সহ গরীব জনগোষ্ঠির প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পায়। গ্রামের অসহায় দরিদ্র জনগন এখন হাতের কাছেই পাচ্ছে সেবা। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজনীয় ৪টি চেকআপ, নবজাতক শিশুর পরিচর্যা, স্বাস্থ্য শিক্ষা সহ প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় প্রধানের ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক বিশেষ অবদান রেখেছে। ইতি মধ্যে সাড়া বিশে^ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে এটির বিশেষ মূল্যবোধ রয়েছে যা এখন গরীবের হাসপাতাল বলে আখ্যায়িত করা হয়। শুধু প্রাথমিক শিক্ষাই এখন আর সীমাবদ্ধ নয় দেশের অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন নিয়মিত প্রসব করানোর ক্ষেত্রে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করেছে কমিউনিটি ক্লিনিক। সাড়া দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ১৬ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত প্রসবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার ফেকুল মাহমুদপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, লক্ষ্মীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, ভরতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, লম্বাবাক কমিউনিটি ক্লিনিক, চান্দবাড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক, মল্লিকপুর কমিউনিটি ক্লিনিক সহ আামানিপুর, চানপুর, রামনগর কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত ডেলিভারী করানো হয়েছে। জানা যায়, চলতি মাসেও ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩টি ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে। নিয়মিত সেবা নিতে আসা  হতদরিদ্র সফিক মিয়া (৫২) জানান, আমরা গরীব মানুষ, আমাদের হাতের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকায় আমরা অনেকটা উপকৃত হইছি তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না, আগে সামান্য জ¦র সর্দিতে উপজেলা হাসপাতালে যাওয়া লাগত এখন এই কমিউনিটি ক্লিনিকেই আসলেই হয়, সব ঔষুধ না থাকলেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাই। উপজেলার প্রত্যন্ত অব্জল ফেনারবাকঁ ইউনিয়নের আমানিপুর গ্রামের আফলাতুন (৫৫) জানান, উপজেলা সদরের যেতে আমাদের ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে নৌকায় প্রায় তিন ঘন্টারও বেশি সময় লাগে ফলে এলাকার গর্ভবতী মহিলাদের যখন প্রসব ব্যথা শুরু হয় তখন অনেকটা নিয়তির উপর ভরসা ছাড়া কোন পথ থাকত না, ফলে অকালেই অনেক মা প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক দেওয়ায় আমরা এখন প্রায় নিশ্চিত। সেবা সম্পর্কে জানতে চাইলে কামিনিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি আল হেলাল জানান, আমরা সাধারণত প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে তাকে বিশেষ করে গর্ভ পূর্ববতী গর্ভপরবর্তী সেবা, নবজাতকের সেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, ইপিআই ও সবধরনের প্রাথমিক সেবা সহ প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষা দিয়ে তাকি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রধানের ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো শতভাগ কাজ করছে। শুধু স্বাস্থ্য সেবাই নয় বর্তমানের কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত প্রসব করানো হয়, ইতিমধ্যে আমরা উপজেলার বেশ কয়েটি ক্লিনিকে প্রসব করিয়েছি, আশা করি প্রসবের ক্ষেত্রেও আগামী দিনগুলোতে আমরা শতভাগ নিশ্চিত করব।