ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার পর এর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের আরেকজনকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন লোক আহত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের গুরেপুর ও বেরী গ্রামবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, গোরেশপুর গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা উমর আলীর পুত্র দোয়ারাবাজার উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেরুজ্জামান (৩৬) সকালে ছাতক থেকে সিএনজি যোগে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে প্রতাপপুর পয়েন্ট অতিক্রম করে কিছু যায়গা যাওয়ার পর স্থানীয় বেরীগাঁও গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সে প্রাণে বাঁচতে সড়কের পশ্চিম দিয়ে দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। হামলা কারিরা ধাওয়া করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শেরুজ্জামানের মৃত্যুর খবর তার গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে হত্যার প্রতিশোধ নিতে বেরীগাঁও গ্রামের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বেরীগাঁও গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের পুত্র এবাদুর রহমান (৩২)। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মহিলাসহ প্রায় ৩০ ব্যক্তি আহত হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনার পর সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার দুলন মিয়া, দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারেক মো. জাকারিয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুশান্ত কুমার বিশ্বাস, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুলী বকুল, জেলা পরিষদের সদস্য এডভোকেট আবদুল আজাদ রুমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রাত ১০টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্ল্যাহ খান ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেছেন বলে সূত্রে জানিয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পুলিশ এলাকায় টহল জোরদার করেছে। দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সন্ধ্যার দিকে ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ১৪জন ও দোয়ারাবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ২জন সহ ১৬জনকে আটক করেছে পুলিশ।