সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেছেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখে চলেছে। দেশের প্রতিটি মানুষের যাতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হয় সেজন্য বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য ত্যাগ এবং স্বাস্থ্যকে সকল প্রকার রোগ-জীবাণু থেকে মুক্ত রাখার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মী এবং এ বিভাগের সবাইকে মানসিক ও কর্মগত বিভাজন ভুলে সমন্বয় সাধন করে কাজ করতে হবে।
সিভিল সার্জন সিলেট অফিস আয়োজিত নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এবং আমাদের করণীয় শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিভিল সার্জন অফিস সিলেট-এর জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ¯িœগ্ধেন্দু সরকারের সঞ্চালনায় গতকাল বুধবার সিভিল সার্জন সিলেট অফিসের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ, সিভিল সার্জন সিলেট অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম. গৌছ আহমদ চৌধুরী, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সুজন বণিক, মেডিকেল অফিসার ডা. মঈনুল আহসান, মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আমজাদ হোসেন, ছাতক উপজেলার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মো. ফারুক আহমদ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলার ইন্সপেক্টরগণ এবং স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় আরো বলেন, প্রতিটি আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন হয় মানুষের কল্যাণের জন্য। বর্তমান সরকার জনগণের চাহিদার ওপর নির্ভর করে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করছে। এবং এগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে আইনের মধ্যে কিছু ত্র“টি বিচ্যুতি থাকে যা আইনকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। আইনের ত্রুটি সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবগত করলে একটি সুন্দর সমাধান পাওয়া সম্ভব। নিরাপদ খাদ্য নিরাপদ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং এর ত্র“টি সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন তিনি আশা ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি