কয়েক মাস থেকে বন্যার আগ্রাসনে বসত ভিটা ছেড়ে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। আশ্রয় কেন্দ্রেই পার হয়েছে দিনের পর দিন। সইতে হয়েছে থাকা খাওয়ার কষ্ট। এমন অবস্থায় সরকার ও ফেঞ্চুগঞ্জের প্রবাসীদের অকল্পনীয় দান অনুদানের ফলে বন্যা, ক্ষুধাকে জয় করে টিকেছিল এলাকার মানুষ। পানি কমে যাওয়ায় মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল।
কিন্তু আবার ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা। গত পনের দিনে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৩০ থেকে ১৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ওঠানামা করছে। এ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপজেলার প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ।
বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন উপজেলারপিটাইটিকির, ছত্তিশ, বাঘমারা, গুচ্ছগ্রাম, গয়াসি, মানিককোনা, ভেলকোনা, সুলতানপুর, গঙ্গাপুর, কুরকুছি পার, ঘিলাছড়া ইউনিয়নের বাদে দেউলি, পুর্ব বাদে দেউলি, যুধিষ্ঠিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
এদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক নিমজ্জিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন গ্রাম। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে সামাদ প্লাজা পর্যন্ত লোকজন নৌকায় যাতায়াত করছেন। পূর্ববাজার, রাজনপুর, ইসলামপুর সড়ক ডুবে যাওয়ায় মাইজগাওয়ের সাথে সড়ক যোগাযোগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বন্ধ রয়েছে পূর্ববাজারের দোকানপাট। উপজেলার প্রধান সড়কের সাথে বিকল্প সড়ক হাসপাতাল থেকে শাহ মালুম ও করিমপুর মাইজগাও সড়ক ডুবে যাওয়ায় চারদিক থেকে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার জনসাধারণ।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার থেকে বন্যা আক্রান্ত লোকজন আশ্রয় নিচ্ছেন ঘিলাছড়া সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে ও ফরিদপুর অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে। কিন্তু ত্রাণ তৎপরতা অপর্যাপ্ত বলে অভিযোগ উঠছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন জানান, গত সোমবার পাঁচ ইউনিয়নে পাঁচ টন চাল বিতরন করা হয়েছে, যা পর্যাপ্ত নয়। দ্রুত ত্রান সরবরাহ করা প্রয়োজন। পূর্বের মত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ব্যক্তি, সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। (খবর সংবাদদাতার)