স্টাফ রিপোর্টার :
রাজনৈতিক ছত্রছায়া আর পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাবেই সিলেট নগরীর পথে পথে বসেছে কোরবানীর পশুর অবৈধ হাট। অথচ ঈদের আগে পুলিশ প্রশাসন আর সিটি কর্পোরেশন থেকে অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী দিলেও মাঠ পর্যায়ে এর ছিটেফোঁটারও প্রতিফলন ঘটেনি। উপরন্তু অবৈধ হাট উচ্ছেদে এখন পুলিশ দোষছে সিটি কর্পোরেশনকে। তারা বলছে হাট উচ্ছেদে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা দেব। আর সিটি কর্পোরেশন বলছে যেহেতু আমরা নগরী ও শহরতলীতে ইজারা দিয়েছি সুতরাং বাদবাকি অবৈধ হাট উচ্ছেদের দায়িত্ব পুলিশের। দু’পক্ষের এ রশি টানাটানিতে মূলত লাভবান হচ্ছে তারাই যারা অবৈধ হাট বসিয়েছে। মাঝখান থেকে হাট বসিয়ে কথিত হাছিলের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যার একটি টাকাও সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে না। অথচ বৈধ হাটের মালিক ও ইজারাদাররা অবৈধ হাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্তেও সরকারী কোষাগারে ঠিকই শতভাগ রাজস্ব জমা দিচ্ছেন।
এদিকে নগরীর শাহী ঈদগাহে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম যেখানে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিও রয়েছে সেখানে অবৈধ হাটের আয়োজকরা সগৌরবে বলে বেড়াচ্ছে তাদের হাটের কোন অনুমোদন নেই। যা এরই মধ্যে প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আর এর মূল কারণ হিসেবে জানা গেছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ার পাশাপাশি বিমানবন্দর থানা পুলিশ এ অবৈধ হাট পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আর এর মুলে রয়েছে দু’পক্ষের আর্থিক লেনদেন। একইভাবে টিলাগড়ে অবৈধ হাট পরিচালনায় শাহপরান থানা পুলিশ সার্বক্ষণিক সহযোগীতা করে যাচ্ছে। আর দু’পক্ষের এই সহযোগিতায় নগরীর অলিতে-গলিতে বসেছে অবৈধ হাট। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। পুলিশের কঠোর হুঁশিয়ারী শেষ পর্যন্ত ফাঁকাবুলিতেই পরিণত হয়েছে।