স্টাফ রিপোর্টার :
পথে পথে পশুবাহী গাড়ী আটক ও জোরপূর্বক পশু ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীরা গত কয়েক দিন থেকে সিলেটের বিভিন্ন প্রবেশদ্বার সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ অবস্থা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, সিলেট নগরী ও শহরতলীতে অবৈধ হাটগুলোতে এক শ্রেণীর দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক কোরবানীর পশু নিয়ে যাচ্ছে। অথচ পাইকার ও বেপারীরা বৈধ হাটে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু গাড়ী আটক নয়, চালককেও মারধর করা হচ্ছে। অনেকের টাকা-পয়সাও লুটে নেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের কঠোর নির্দেশনা ও হাট শুরু হওয়ার আগে স্থানীয় প্রশাসনের অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারির পরও অবৈধ হাটের আয়োজকরা তা থোড়াই কেয়ার করছে। আর এর মূল কারণ রাজনৈতিক শক্তি। অনেক সময় পুলিশের সদিচ্ছা থাকলেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে পুলিশ অসহায় হয়ে পড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অবৈধ হাটের আয়োজকরা কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করেই হাট বসিয়েছেন। যে কারণে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে গেলেই তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় এমনকি হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। এরই মধ্যে অবৈধ হাটের আয়োজকরা হাট বসানো ও নিজেদের হাটে জোরপূর্বক পশু নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল, তেলিবাজার, টুকেরবাজার বাইপাস, সিলেট-তামাবিল সড়ক সহ বিভিন্ন সড়ক দিয়ে আসা পশুবাহী ট্রাক আটক করতে আগে ভাগেই সন্ত্রাসীরা ১৫/২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে ঐ সব স্থানে অবস্থান করছে এবং পশুবাহী ট্রাক আসার সাথে সাথে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চালককে ভয় দেখিয়ে গাড়ী থামাতে বাধ্য করছে। এক পর্যায়ে ঐ গাড়ী থেকে জোরপূর্বক পশু নামিয়ে অবৈধ হাটে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হলেও মাঠ পর্যায়ের প্রতিফলন ঘটছে না। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।