বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়ে ছিলো। সেদিন বঙ্গবন্ধুর কন্যা আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও ঘাতকদের গ্রেনেডে নিহত হন আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। তিনি বলেন, তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ করে আহতদের সুস্থতা কামনা এবং স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তিনি ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সোমবার (২১ আগষ্ট) সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়নতে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের আলোচনা বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, মাশুক উদ্দিন আহমদ, এডভোকেট রাজ উদ্দিন রাজ, ফয়জুর আনোয়ার আলাউর, বিজিত চৌধুরী, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, হুমায়ুন ইসলাম কামাল, শফিউল আলম নাদের, নুরুল ইসলাম পুতুল, সাইফুল আলম রুহেল, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, তপন মিত্র, আরমান আহমদ শিপলু, কবির উদ্দিন আহমদ, খোকন কুমার দত্ত, এনাম উদ্দিন মানিক, দিবাকর ধর রাম, জগদিস চন্দ্র দাস, এডভোকেট মাহফুরুর রহমান, আব্দুল বাছি, এডভোকেট আজমল আলী, ইশতিয়াক আহমদ শামীম, জামাল আহমদ চৌধুরী, নুরুল আমিন, সালাউর আলী, আব্দুস সোবহান, এজাজুল হক এজাজ, এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, রুবি ফাতেমা ইসলাম, আসমা কামরান, মহসিন কামরান, জালাল উদ্দিন কয়েস, দেবাংশু দাস মিটু, আব্দুল বাছিত রুম্মান, শাহরিয়ার আলম সামাদ, আব্দুল আলীম তুষার, বাদশা গাজী, শামীম রশিদ চৌধুরী, নাজমূল ইসলাম রোমেন, রায়হান চৌধুরী, ডা, নাজরা চৌধুরী, হাসিনা বেগম, আব্দুর রকিব বাবলূ, কয়েছ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
সভার শুরুতে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগ : আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রত্যেক্ষ মদদে ২১ আগষ্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির নেতাদের হত্যার উদ্দেশে এ জঘন্য হামলা চালানো হয়েছিল, সাধারণ মানুষের দোয়ায় তিনি বেঁচে আছেন। ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার নিশ্চত করার দাবি জানান। সোমবার বিকেলে উপজেলা সদরের টুকের বাজার তেমুখি এলাকায়, সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার নিশ্চত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মিফতাহ উল উসলাম লিমনের সভাপতিত্বে ও শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন এর পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ শাহনুর, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য নুরে আলম সিরাজী, ৭নং মোগল গাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ হিরন মিয়া, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির উদ্দিন আহমদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ।
এছাড়াও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ সহ অংগসংগঠনের সেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি সিলেট সদর উপজেলার তেমুখী পয়েন্ট থেকে শুরু করে বেশ কিছু সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার তেমুখী পয়েন্টে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
মহানগর শ্রমিক লীগ : ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগের উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় মিনার প্রাঙ্গণে সোমবার বিকাল ৪টায় এক মানবববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জামায়াত বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বক্তারা এই ঘটনার মূল হোতাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি ও সিলেট জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন।
অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর শ্রমিকলীগ নেতা মাসুক আহমদ, কয়েছ আহমদ, মো. জাকির হোসেন, ধ্র“বজ্যোতি দে, মাছুম আহমদ তারেক, জহির ইসলাম, রাসেলুজ্জামান, শফিক আহমদ, আতিয়ার রহমান, আফিফুর রহমান আফিফ, আব্দুল মালেক তালুকদার, রিয়াজ উদ্দিন বাবু, আব্দুল জলিল, সাব্বির আহমদ, নাজিম উদ্দিন, কামাল হোসেন, জাহাঙ্গির আলম, আবু সাঈদ, মাসুদ করিম জুয়েল, আব্দুল মন্নান, কুনু মিয়া, গোলাম মোস্তফা, রিন্টু তালুকদার, কাওছার আহমদ, নজরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন, সুমন আহমদ, এরশাদ মিয়া, আলম মূল্লা, মুহিবুর রহমান, শাহিনুর রহমান শাহিন, আনোয়ার হোসেন, ইদ্রিছ আলী, ফজল আহমদ, শহিদ হাওলাদার, আব্দুল মতিন, শাকিল তালুকদার, রিপন হাওলাদার, সুহেল আহমদ, খালেদ আহমদ, ফরহাদ আহমদ, মোশাহিদ খান, ইব্রাহিম জাহেদ, ফয়েজ আহমদ, মাহমুদ হোসেন হিব্র“, খন্দকার জিসান আহমদ, মাছুম আহমদ, আনোয়ার হোসেন, খালেদ আহমদ, ইয়াসিন সুমন, এরশাদ মিয়া, সুহেল আহমদ, কাজিবুল ইসলাম, মুহিবুর রহমান, আলাল আহমদ কাজল, সামিউল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, আসাদ আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি