বিশ্বনাথে পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের অবহেলায় প্রাণ গেল মাদ্রাসা ছাত্রের

32

জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ থেকে  :
বিশ্বনাথে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের অবহেলায় বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ হারিয়েছে মাদ্রাসা ছাত্র রুহুল আমীন Photo, (Ruhul Amin) Biswanath, Sylhet 17.08.17(১৬)। সে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের সৌদী প্রবাসী চান মিয়ার ছেলে। তেলীকোনা এলাহাবাদ আলীম মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রুহুল আমীন গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঝুলন্ত লাইনে বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৩বছর ধরে পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রাম দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ লাইনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে চারিদিকে অতৈই পানি থাকায় ১০ফুট উঁচু লাইনটি মাত্র ২ফুটে পরিণত হয়েছে। বলা আবশ্যক যে, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি বিভিন্ন গাছের সাথে, বাঁশের খুঁটিসহ বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের লোহার পাতের সঙ্গে বিদ্যুতের লাইন সংযোগ দেয়া হয়ে থাকে। গ্রাহকদের দাবি দুর্ঘটনা এড়াতে সমগ্র উপজেলায় ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার।
ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎলাইনের নিচ দিয়ে নৌকাযোগ মাদ্রাসা যাবার পথে রুহুল আমীনের অকাল মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তার চাচা লাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বার বার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিলেও দীর্ঘ ৩বছর ধরে গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া ওই বিদ্যুৎ লাইনটি ঝুলন্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কেবলমাত্র পল্লী-বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই  রুহুল আমীনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ঝুলন্ত লাইনে বিদ্যুৎস্পর্শে ওই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। তবে, এমন অভিযোগ মানতে নারাজ বিশ্বনাথ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম অমলেশ চন্ত্র বর্মন। অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে বলেন, ঝুলন্ত লাইনের কোন অভিযোগ আজ পর্যন্ত তার জানানেই।
থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।