দক্ষিণ সুরমায় সবজি বিক্রেতা রুহেল খুনের ৪০ দিন পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন ॥ ২ সহোদর গ্রেফতার, হত্যার দায় স্বীকার

55

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের খালপার এলাকায় সবজি বিক্রেতা রুহেল মিয়া খুনের ৪০ দিন BRপর ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ গত সোমবার নগরীর জিন্দাবাজার ও খালপার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ সহোদরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও প্রদান করেছে।
তারা হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমা থানার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের খালপার গ্রামের আশিক মিয়ার পুত্র সাইফ আহমদ (৩০) ও তার বড় ভাই সাঈদ আহমদ (৩২)। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছে।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো: জেদান আল মুসা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়,  গত ৬ জুলাই দক্ষিণ সুরমা থানার খালপার এলাকার সুরমা নদীর তীরে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। লাশের পাশে ওই সময় সীমবিহীন একটি মোবাইল সেট পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ উক্ত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সবজি বিক্রেতা রুজনের সাথে যোগাযোগ করে। রুজন মিয়া ভিকটিম রুহেলের লাশ চিনতে পারে এবং সে তার সবজির দোকানে কাজ করত বলেও জানায় পুলিশকে। পরবর্তীতে রুজন মিয়ার মাধ্যমে জানা যায় অজ্ঞাতনামা লাশটি সুনামগঞ্জ সদর থানার হাজী পাড়ার মৃত আব্দুল সোবহান এর পুত্র মোঃ রুহেল মিয়া (৪০)। খবর পেয়ে নিহত রুহেলের ভাই সোহেল মিয়া সিলেট এসে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে গিয়া মোঃ রুহেল মিয়ার লাশ সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ নিহত রুহেলের ভাই সোহেল মিয়া সবজি বিক্রেতা রুজনের নিকট হতে জানতে পারেন তার ভাই রুহেল মিয়া ঘটনার ২০/২৫ দিন যাবৎ রুজন মিয়ার সবজির দোকানে চাকুরী করত। গত  ৫ জুলাই রাত ৯ টার দিকে রুজন মিয়ার নিকট হতে রুহেল মিয়া এক হাজার টাকা নিয়ে সুনামগঞ্জ বাড়ীর উদ্দেশ্যে বের হয়। পরবর্তীতে পুলিশ উক্ত স্থানে রুহেলের লাশ পায় এবং রুহেলের ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে আরো জানা যায়, মামলা দায়েরের পর দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ লাশের পাশে প্রাপ্ত মোবাইল সেটে থাকা নাম্বারের সুত্র ধরে আসামীদেরকে সনাক্ত করে এবং গত ১৩ আগষ্ট বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: মোস্তাফিজুর রহমান ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ মো: হারুন-অর-রশীদ এর নেতৃৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিপটন পুরকায়স্থ নগরীর জিন্দাবাজারস্থ গ্যালারীয়া শপিং সিটি হতে প্রথমে সাইফ আহমদকে এবং ওইদিন রাত পৌনে ৮ টার দিকে তার বড় ভাই সাঈদ আহমদকে তাদের খালপাড় বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদেরকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ফৌজধারী কায্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত আসামীরা কারাগারে রয়েছে।