বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
সর্পবন্ধু ইব্রাহিমের সহযোগিতায় অবশেষে সাপের ছোবল থেকে রক্ষা পেলো সাংবাদিক খায়েরের পরিবারসহ আরও একটি পরিবার। গতকাল সোমবার বিশ্বনাথ নতুন বাজারে (পূর্ব-জানাইয়া) বসবাসকারী সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম খায়েরের বাসা থেকে ১৩টি ডিমসহ ১০ফুট লম্বা ২টি পঙ্কি আলদ মন্ত্র দিয়ে আটকালেন। তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে এরআগে বিশ্বনাথ থানাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প মুল্যে সাপ ধরে মানুষকে বিপদমুক্ত করেছেন ইব্রাহিম।
ভারতের আসামে জন্মগ্রহণকারী সর্পরাজ ইব্রাহিমের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে। তার বাবা তাহের আলীও ছিলেন ওঝা ও কবিরাজ। বর্তমানে তিনি ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের পাশে বসবাস করছেন। এর আগে বিশ্বনাথের কালিগঞ্জ বাজারে দীর্ঘদিন ছিলেন।
জানা গেছে, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম খায়ের দীর্ঘ ৩বছর ধরে উপজেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তি পূর্ব-জানাইয়া লম্বা-মার্কেটের বিপরীত প্রবাসী তৈয়ব আলীর বাসায় (ভাড়ায়) বসবাস করে আসছেন। গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর অপর সাংবাদিক আব্দুস সালাম তার বাসায় যান। এসময় বাসার মুল গেটের ভিতর দরজার সামনে গেলে পায়ের কাছে একটি বিষধর সাপ দেখতে পান। চিৎকার দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সালাম বেরিয়ে গেলে খায়ের দরজা খুলতেই সাপটি ঘরে ঢুকে যায় এবং ধাওয়া করায় পরক্ষণে বেরিয়েও যায়। এরপর থেকে প্রায়ই বাসার আশেপাশে সাপের উপদ্রপ দেখা দেয়।
গত ৬ আগষ্ট রাববার সকালে একইভাবে সামনের দরজার পাশে বাসার অপর ইউনিটের ফার্মেসি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম একটি বিষাক্ত সাপ দেখতে পান। ঘরের ভেতরে থেকে মোবাইল ফোনে সাংবাদিক খায়েরকে জানান, ভাই বের হবেন না, দরজায় অনেক বড় সাপ? এরপর থেকে বাসায় উভয় ইউনিটের লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। প্রায় দেড়ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সাংবাদিক সালামকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি সংবাদকর্মী নবীণ সুহেলকে সাথে নিয়ে বাসায় আসেন। তাদের সহযোগিতায় সাপটিকে ধাওয়া করলেও আটকানো যায়নি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে সর্পরাজ ইব্রাহিম আলীকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে ১৩টি ডিমসহ দু’টি পঙ্কি আলদ ধরতে সক্ষম হন। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা ছাড়াও সর্পরাজ ইব্রাহিমের সঙ্গে ছিলেন, তারপুত্র সর্পরাজ আল মামুন, মাহিদুল হোসেন, ভাগনে সাদ্দাম হোসেন।
জীবণের ৫৭টি বছর সাপ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা ইব্রাহিম আলী বলেন, আসলে সাপ কারও ক্ষতি করেনা। কিন্তু যদি ভুলবশত সাপের ওপর পা’ পড়ে কিংবা কারো দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ফলে সাপ কামড়ানোর চেষ্টা করে।