সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ ছাতকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

44

স্টাফ রিপোর্টার :
ছাতকে অসামাজিক কার্যকলাপে বাধা দেয়ায় প্রবাসীর ইন্ধনে পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধ এবং আলেম-ওলামাসহ গ্রামের মুরব্বীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সুহিতপুর গ্রামবাসীর পক্ষে এ অভিযোগ করে সৈয়দেরগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুন্দর আলী।
লিখিত বক্তব্যে সুন্দর আলী বলেন, সুহিতপুর গ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মনাফের বাড়ি দেখাশোনা করে আলী হোসেন বুলুর স্ত্রী নাজমা আক্তার। নাজমা তার স্বামীর সরলতার সুযোগে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়লে বুলু তাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর নাজমার অনৈতিক কর্মকান্ড আরো বেড়ে যায়। গ্রামের চান্দ আলীর পুত্র শিমুল আহমদ আবুর সাথে নাজমার অনৈতিক সম্পর্ক বেপরোয়া আকার ধারণ করে। প্রায়ই গ্রামের মানুষ তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। তাদের এই কর্মকান্ডে গ্রামের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত নাজমা আক্তারের অপকর্ম থেকে বিরত রাখতে বাড়ির মালিক প্রবাসী আব্দুল মনাফকে বারবার অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি এর কোনো প্রতিকার না করে বরং আশকারা দেন। এতে নাজমা আক্তার ও বুলুর বেহায়াপনা আরো বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে নাজমা আক্তার প্রতিবাদকারীদের শায়েস্তা করার হুমকি দেয়। যার ফলে প্রতিবাদীকারীদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে গত ৩ জুলাই মামলা দায়ের করে। মামলা নং ০৬। মামলায় পঞ্চায়েতের বয়োবৃদ্ধ মুরব্বি, মসজিদের মোতায়াল্লি, মাদরাসা পড়–য়া ছাত্র ও আলেম ওলামাসহ ৩০ জন নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ৭৫ বছরের বৃদ্ধও  আসামি রয়েছেন। মামলার পর ছাতক থানার ওসি ঘটনাস্থলে যান এবং বাড়ির প্রহরিসহ আশাপাশের লোকদের বাদীর অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তারা এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে ওসিকে জানান।
তিনি আরো বলেন, মামলার পর তিনি ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে নানা টালবাহানা করে ওসি তা গ্রহণ করতে চাননি। পরে অনেক কথা কাটাকাটির পর তার সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করেন। কিন্তু এর পরপরই ওসি এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রবাসী আব্দুল মনাফের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নাজমার মামলাকে এফআইআর করেন। মিথ্যা এই মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রামের মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায় গত ২১ জুলাই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনা সম্পর্কে জানতে গ্রামে আসেন। গ্রামবাসীর বক্তব্য শোনে তিনি আশ্বস্ত করেন বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। কাউকে হয়রানি করা হবে না এবং গ্রামবাসীকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ছাতক থানা পুলিশ গ্রামবাসীকে বারবার হয়রানি করছে। অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের মানুষ গত ২৫ জুলাই বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবরে পুলিশের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামের প্রায় অর্ধশত বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।