কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটের দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় ১০ বছরের এক শিশু কন্যাকে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদের নির্দেশে ধর্ষণের চেষ্টাকারী লম্পটকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। জানা যায় কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির দুর্গম পাহাড়ী এলাকার লোহাজুরী মিকিরপাড়া গ্রামের দরিদ্র শুক্কুর আলীর ১০ বছরের শিশু মেয়ে গত ২৪ জুলাই দুপুর ১২টায় গ্রামের একটি ঢিলার পাশে গরু চড়াতে যায়। এ সময় একই গ্রামের মৃত জফুর উদ্দিনের পুত্র আব্দুল খালিক (২৮) মেয়েটিকে একা পেয়ে ঢিলার উপরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটির আর্তচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটি ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করে। এ সময় লম্পট আব্দুল খালিক পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি এলাকায় জানা জানি হলে মান সম্মানের ভয়ে মেয়েটির বাবা দরিদ্র শুক্কুর আলী ও তার মা সাহিদা বেগম থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেন নি। কিন্তু ১০ বছরের শিশু মেয়েটিকে নরপশু আব্দুল খালিক কর্তৃক ধর্ষণের চেষ্টার খবর বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরে কানাইঘাট থানার ওসি মোঃ আব্দুল আহাদ থানার এসআই রাজিব মন্ডলকে ঘটনাটির দায়িত্ব দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী আব্দুল খালিককে গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন। এসআই রাজিব মন্ডল একদল পুলিশ নিয়ে গত শনিবার দুপুর ১২ টায় মিকিরপার গ্রামের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে লম্পট আব্দুল খালিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় শিশু মেয়েটির মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে আব্দুল খালিককে আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন । মামলা নং ১৯-২৯/৭/১৭ইং। এসআই রাজিব মন্ডল জানিয়েছেন ১০ বছরের এই কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় ওসি স্যার আমাকে দায়িত্ব প্রদান করলে ধষর্ণের চেষ্টাকারী আব্দুল খালিককে আমি গ্রেফতার করেছি। ধৃত আসামীকে গতকাল রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভিকটিম মেয়েটির শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে গত শনিবার পাঠানো হয়েছে। এ দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন তিনি ঘটনাটি জানার পর নিজ উদ্যোগে আমলে না নিতেন তাহলে দরিদ্র মেয়েটির পরিবার সমাজের কোথাও ন্যায় বিচার পেত কিনা সন্দেহ ছিল। পুলিশ আব্দুল খালিককে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এলাকায় ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে এলাকাবাসী মনে করেন।