স্টাফ রিপোর্টার :
দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছর পর অবশেষে স্থায়ী ঠিকানাতে সুসজ্জিত নতুন ভবনে ফিরছে সিলেট সিটি কপোরেশনের কার্যক্রম। এতদিন নগরীর তোপখানা এলাকার অস্থায়ী ভবনে কার্যক্রম চলছিল নগরভবনের। স্থানাস্তরের লক্ষ্যে গতকাল রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে কাজ। ১২ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের ৫ম তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় নতুন ভবনে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কার্যক্রম। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নগরভবন সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনেও নগরভবন কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীকে চান। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় বরাদ্দ চেয়ে আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছেও। অস্থায়ী ভবন থেকে সরানো হয়েছে মালামাল। এটি শেষ হতে মাস খানেক সময় প্রয়োজন। এরপরই আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন নগর ভবন উদ্বোধন করা হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, গত ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগর ভবনের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এরপর থেকে টানা এই সাড়ে ৫ বছর চলে নির্মাণ কাজ। বরাদ্দকৃত অর্থে ৫ম তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ৭ তলা পূর্ণ করতে আরো অর্থের প্রয়োজন।
এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগর ভবনের ১২ তলা বিশিষ্টভবনের ৫ তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই অস্থায়ী ঠিকানা থেকে স্থায়ী ঠিকানাতে নগর ভবনের মালামাল ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। এটি স্থানান্তর হতে মাসখানেক সময় লাগবে। এরপর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নগরবাসীকে জানাবো স্থানান্তরের বিষয়টি। এছাড়া পুরোপুরিভাবে স্থানান্তরের পর উদ্বোধনের মাধ্যমে পুরোদমে শুরু হবে নগরভবনের সেবা প্রদান কার্যক্রম।