স্টাফ রিপোর্টার :
কোতোয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে ২ মামলার আসামী যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান ইস্পাহানীকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, চুরি ও দস্যুতানহ বিভিন্ন মামলায় ২২টি মামলা রয়েছে। সেই সাথে গত ২৩ জুলাই কোতোয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে কিশোরি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। হাসানুজ্জামান ইস্পাহানী সুনামগঞ্জ পৌর যুবলীগের সিনিয়র সদস্য।
ওই মামলায় গত বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের সদরের আরফিন নগর নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। সে সুনামগঞ্জের আরিফন নগরের আব্দুল আলীর পুত্র। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় কোতোয়ালী থানায় সাংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় কোতোয়ালী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২২ জুলাই নগরীর বাগবাড়ি থানা এলাকা থেকে এক হিন্দু কিশোরিকে (১৭ ) অপহরণ করে হাসানুজ্জামান ইস্পাহানী তার ভাই হাসানুজ্জামান জেক (৩২), নগরীর সুবিদবাজার এলাকার নাবিল রাজা চৌধুরী, শামীমসহ (৩৬) অজ্ঞাত ৩/৪ জন। এ ঘটনায় ২৩ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা (৩৯) দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পরদিনই সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ তবে সে সময় কাউকে গ্রেফতার করেত পারেনি। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে হাসানুজ্জামান ইস্পাহীনে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায় মামলার অন্যন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে, গত বুধবার ওই কিশোরীকে আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দী নেওয়া হয়। জবানবন্দীতে সে জানায়, ইস্পাহানী ও তাঁর সহযোগীরা অপহরণের পর সুনামগঞ্জের একটি নির্জন বাড়িতে আটকে রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।