স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর লন্ডনী রোডে গৃহবধূ ও খাদিমনগরে এক যুবকসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে ও দুপুরের পৃথকভাবে এ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। পুলিশ গৃহবধূ ও যুবকের লাশ দুইটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহতরা হচ্ছেন- রুজিনা আক্তার রুজি (৩৫)। তিনি নগরীর লন্ডনী রোড এলাকার ১৭৯/৩ নম্বর বাসার বাসন্দিা আলকাছ আলীর স্ত্রী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজলোর ফাউয়া ইউনয়িনরে ফাউয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক মিয়ার কন্যা এবং সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের চাতল গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক নুরে আলম টিটুর পুত্র রিয়াজুল হক রাজু (১৮)। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায়।
নিহত রুজি’র স্বামী আলকাছ আলী জানান, গতকাল সকালে আমি আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসায় যাই। সেখান থেকে নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজে যাওয়া পথে রুমের দরজা বন্ধ খবর পাই। সাথে সাথে বাসায় ফিরে দেখি রুমের দরজা বন্ধ। তখন বাসাটির দ্বিতীয় তলার অন্য এক ব্যক্তিকে নিয়ে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করি। তখন দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পাই রুজির দেহ ঝুলানো অবস্থায় রয়েছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দুপুর ১ টার দিকে বাসাটির ওই কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। আলকাছ আলী জানান, রুজি মানসিক ভাবে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় নিহত রুজির লাশ পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে খাদিমে আত্মহত্যা রাজু সম্পর্কে জানায়, ৭ মাস আগে চাতল গ্রামে এক আত্মীয়ের জমি ক্রয় করে বসতি গড়েন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার রাজুর পরিবার। গত মঙ্গলবার মোবাইল সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় কিছু যুবক রাজুর বিচার করেন। এসময় তার পরিবারকে ডেকে নিয়ে অপমানও করা হয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে রাজু। গতকাল বুধবার সকালে ঘরের ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় রাজুর লাশ উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, রাজু নামের একটা ছেলের ঝুলন্ত লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। তবে মঙ্গলবার নাকি এলাকার কিছু ছেলে মোবাইল সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে একটি রুমে আটকে রেখে তার বিচার করে। পরে তার পরিবারকে ডেকে নিয়ে রাজুকে দেওয়া হয়। তবে ওই বিচার স্থানীয় কোন মুরব্বীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি জানিয়ে ওসি জানান- বিচারে থাকা ২/৩ জনের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন- ঘটনার পর থেকে বিচারে থাকা ওই যুবকরা গা ঢাকা দিয়েছে।