স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের খালপার এলাকায় সুরমা নদীর তীর থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির আনুমানিক (৩০ বছর) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের হাত-পা ভাঙা। গলায় রয়েছে ফাঁস লাগানোর দাগ। আঘাতের চিহ্ন সমস্ত শরীর জুড়ে। একেকটি আঘাতের স্থানগুলো কালচে রঙ ধারণ করেছে। এমন নির্মম নির্যাতন করে যুবককে খুন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখতে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে গতকাল বৃজস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে খালপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সুরমা নদীর তীরে পড়ে থাকা ওই ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক ছিল। এ সময় তার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য শরীফ উদ্দিন পুলিশকে খবর দেন। এ সময় আশপাশের লোকজনও সেখানে ভিড় করেন। কিন্তু কেউ ওই আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেননি।
স্থানীয় মোল্লারগাঁও ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে মৃত দেখতে পাই। তার মুখে দাঁড়ি আছে, পরনে প্যান্ট, শার্ট ছিল। পাশেই তার জুতা, টাকা, মোবাইল ফোন, ছাতা ও অন্যান্য সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। তবে উপস্থিত কেউ লাশটি শনাক্ত করতে পারেননি। ঐ ব্যক্তির ওপর বর্বর নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, নিহত ব্যক্তির গলায় ও সমস্ত শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে লোহার রড, জিআই পাইপ বা এ ধরনের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে খুন করা হয়েছে। তাকে অন্য কোনো জায়গা থেকে অপহরণ করে এনে ভোররাতে নদী তীরে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ওই যুবকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি। খুনিরা যেই হোক তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে। এঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।