ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগরে শ্যামলী পরিবহনের বাসের চাপায় ২ সিএনজি যাত্রী নিহত হয়েছেন। তবে এই দুর্ঘটনায় এই পর্যন্ত মোট ৩ জন মারা গেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানিয়েছেন। নিহতরা হলেন-ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রামের আছকন্দর আলী (৬০) ও একই ইউনিয়নের পূর্ব সিরাজ নগর গ্রামের মঙ্গল মিয়া (২৫)। দুর্ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি চালক সহ ৪ জনকে সজ্ঞাহীন অবস্থায় সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সজ্ঞাহীন এই ৪ জনের মধ্যে ১জন হাসপাতালে নেয়ার পথে জন মারা গেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে তাৎক্ষণিক নিহত এই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি। দুর্ঘটনায় বাস ও সিএনজি যাত্রীদের মধ্যে আহত আরো ১০ জনকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্র ও সিলেট শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারের নিকটবর্তী স্থানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের উদ্ধার এবং আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওসমানীনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি আটক করলেও ঘাতক বাস চালক ও তার সহযোগী পলাতক রয়েছে। তাজপুরস্থ বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার মজনু মিয়া বলেন, দুর্ঘটনায় ২ ব্যক্তি ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং ৪ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা সজ্ঞাহীন ও গুরুতর অবস্থায় থাকায় তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। গোয়ালা বাজারের ব্যবসায়ী সহ প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানান, ঘটনাস্থলে ৩ জনই মারা গেছেন। ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ উল্যাহ জানান, ঢাকা থেকে সিলেটগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত হয়েছেন। এদিকে ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ভাংচুরের চেষ্টা চালায় এবং প্রায় আধাঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।