বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বিয়ানীবাজারে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে থেমে থেমে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং প্রবল বর্ষণে বিয়ানীবাজারের ৬ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বিয়ানীবাজার-সিলেট ও বিয়ানীবাজার চন্দরপুর সড়কের বেশ কিছু অংশ। এছাড়া অনেক এলাকার গ্রামীণ রাস্তা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
জানা যায়, গত রবিবার রাতে কুশিয়ারা নদীর পশ্চিম মেওয়া এলাকার ডাইক ভেঙ্গে বিয়ানীবাজার-সিলেট সড়কের মায়ন চত্বর এলাকায় তলিয়ে গেছে। সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুশিয়ারা পানি। বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের তিলপাড়া বাজার এলাকা ডুবে গেছে। এ সড়কের আরও কয়েকটি অংশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। গতকাল বুধবার কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপদ সীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মুড়িয়া, মাথিউরা ও তিলপাড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায়। দুবাগ ইউনিয়নের খাড়াভরা এলাকা থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মিছবাহ ও থানা পুলিশের সহযোগিতা নিরাপদ স্থানে নেয়া হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের অধিবাসীরা অনেকটা পানি বন্ধি হয়ে পড়বেন।
এ দিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদে ও চেয়ারম্যানদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু:আসাদুজ্জামান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। এখনো কোন পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আসেনি। তবে যদি বন্যা কবলিত কোন এলাকায় ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছেন এরকম পরিবারের সন্ধান পাই- আমরা তাদেও দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসবো।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুবাগ ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। তিনি আরোও বলেন, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সবাইকে এগিয়ে এসে কবলিত মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।