ওসমানীনগরে সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ

ওসমানীনগর প্রতিনিধি

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে আসা ২শ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। এসময় অবৈধ ভারতীয় চিনি পরিবহনের দায়ে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৯৬২৭) জব্দ ও চোরাচালানে জরিত থাকায় ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে। জব্দকৃত চিনির বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় সোমবার দুপুরে ওসমানীনগর থানার এস.আই ওবায়দুল্লাহ বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর থেকে ট্রাক যোগে সিলেট ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে শেরপুরে যাচ্ছিল অবৈধ চিনি বোঝাই ট্রাক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার গয়নাঘাট নামক স্থানে চেকপুস্ট বসায় পুলিশ। ট্রাকাটি ওই স্থানে পৌঁছালে সেখানে তল্লাশী করে ৯ হাজার ৬শ কেজি অবৈধ ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। এসময় ট্রাক চালক সমিরন দাসকে (৩০) আটক করে পুলিশ। সমিরন দাস জৈন্তাপুর উপজেলার পানিছড়া চা বাগান এলাকার নিরেশ দাসের পুত্র। চোরাচালান পণ্য পরিবহনের ট্রাাকটিও জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সোমবার বিকালে ওসমানীনগর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাক চালক সমিরন দাসকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
২শ বস্তা চিনি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওনমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, চোরাচালান রোধে ওসমানীনগর থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে। ট্রাক চালক সমিরন দাসকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সিটি সুপার মার্কেটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার

মহানগরীর রাস্তা-ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সর্বশেষ রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলো সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। নির্দেশনা অনুযায়ী রবিবার থেকে মহানগরীর ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে।
সোমবার বেলা ১১টায় অভিযানের শুরুতে নগরভবনের পার্শ্ববর্তী সিটি সুপার মার্কেটের প্রত্যেকটি দোকানের সামনে থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় দোকানের সামন দখল করে টানানো ত্রিপল, মালামাল ও মাল ঝুলিয়ে রাখার র‌্যাক সরিয়ে দেয় যৌথ বাহিনী। এসময় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান ও এসএমপি’র ট্রাফিক ডিসি বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের। সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন অভিযান অব্যাহত ছিলো বলে সিসিক সূত্র জানায়।
অভিযানকালে বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন- যেখানেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে, সেখানেই আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা রবিবার থেকে রাস্তাঘাট এবং ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছি। হকারদের তাদের নির্ধারিত স্থানে যেতে বার বার বলছি। কিন্তু তাদের অভিযোগ- তাদের জন্য নির্ধারিত মাঠে যাওয়ার রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তাই ক্রেতারা সেখানে যেতে চান না। তাই এ সমস্যা দূর করতে হকার মার্কেটের-ভেতর দিয়ে হকারদের মাঠে প্রবেশের যে রাস্তা সেটি দখলমুক্ত করতে আমরা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছি। দোকানের সামনে টানানো ত্রিপল, রাখা মালামাল ও মাল ঝুলিয়ে রাখার র‌্যাক সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা ছিলেন।

সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীর বালুখেকো বাবুল গ্রেফতার

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা

সুনামগঞ্জের ধোপাজান চলতি নদীতে বালু লুটপাটে জড়িত বাবুল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের ডিএস রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত বাবুল বিশ্বরম্ভপুর উপজেলার ভাতেরটেক গ্রামের আবুল খায়ের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু লুটের অভিযোগে আরও দুটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাত ৯ টায় সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশের অনুপস্থিতর সুযোগ নিয়ে ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে বালু লুটপাট শুরু করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্রকে যে কয়জন নিয়ন্ত্রণ করে তাদের অন্যতম হোতা বাবুল মিয়া। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি। পুলিশ সুপার জানান, বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বালুখেকো চক্রের সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। কারা নদীতে ড্রেজার চালাচ্ছিল। কারা বালু লুট করছে এই সম্পর্কে আরও তথ্য জানা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গ্রেফতারকৃত ৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা মামলার ঘটনায় ৪ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার বিভিন্ন সময় পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের পুলিশ আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সম্মান গ্রামের মৃত নূর মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুস সামাদ, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কুতুবের চক গ্রামের কাউছার মিয়ার ছেলে ইপ্তি মিয়া (২২), একই জেলার লাখাই উপজেলার করাব গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ছাদেকুর রহমান (২৮) ও একই উপজেলার রাঢ়িশাল গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে আমিন ইসলাম জুয়েল ওরফে নুরুল ইসলাম (২৯)।
পুলিশ জানায়, রবিবার হবিগঞ্জ জেলার লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ইপ্তি মিয়া, ছাদেকুর রহমান ও ইসলাম জুয়েল ওরফে নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, গত ২১ অক্টোবর শায়েস্তাগঞ্জ রেল পার্কিংয়ে ছাত্রদল কর্মী নূরে আলম স্বাধীনের ওপর হামলার অভিযোগে পরদিন মামলা দায়ের করা হয়। ইপ্তি মিয়া এ মামলার এজাহার নামীয় আসামি। লাখাইয়ে গ্রেপ্তার ছাদেকুর রহমান ও নুরুল ইসলাম গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি। গত ৮ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ শহরতলীর আলমপুর গ্রামের মোশাহিদ মিয়া ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বন্দে আলী জানান, গ্রেপ্তারের পর রবিবার বিকেলে ছাদেকুর ও নুরুলকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পুলিশের অভিযানে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আব্দুস সামাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার মধ্যরাতে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সম্মান গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার জানান, গ্রেপ্তারকৃত সামাদ সরকারবিরোধী কর্মকাÐের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর সোমবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

সিলেটে গ্যাস খুঁজতে গিয়ে তেলের সন্ধান

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন ১২টি গ্যাসক‚প রয়েছে। আরও তিনটি নতুন ক‚প খননে সম্প্রতি টেন্ডার হয়েছে। এতে গ্যাসের সন্ধান করতে গিয়ে মিলেছে তেল। ১০ নম্বর ক‚প খননের সময় গ্যাসের পাশাপাশি তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। ক‚পটি গ্যাস উত্তোলনের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই এই গ্যাস যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে। পাশাপাশি ওই ক‚পের পাশেই শুধু তেলের জন্য আরেকটি ক‚প খনন করার প্রস্তুতি প্রায় চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে। এমন আশার কথা জানিয়েছেন- এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর ক‚পে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া গেছে। যা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ ব্যারেল তেল উৎপাদন হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকায় প্রায় ১৫-২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল মজুত থাকতে পারে। তাই এই তেল উত্তোলনে সরাসরি তেল ক‚প খননের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
এসজিএফএলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, নতুন এই ক‚প খননের লক্ষ্যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫৬ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ‘সিলেট-১২ নম্বর ক‚প (তেল ক‚প) খনন’ নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় সিদ্ধান্ত হলে এসজিএফএল অক্টোবর ২০২৪ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত মেয়াদের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইসলাম বলেন, ভ‚তাত্তি¡ক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাসের জন্য সম্ভাবনাময়। গ্যাসের পাশাপাশি তেলেরও সম্ভাবনা আছে। তবে গ্যাসের তুলনায় তেলের স্তর ছোট। তিনি জানান, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদিত হয়েছিল সিলেটে আবিষ্কৃত দেশের প্রথম তেল ক‚প থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো সক্রিয় তেল ক‚প নেই। অথচ দেশে বর্তমানে বছরে তেলের চাহিদা প্রায় ৭২ লাখ টন। সিলেটে ক‚প খনন হলে এটা হবে বিরাট সম্ভাবনার। অধ্যাপক বদরুল বলেন, তবে তেলক্ষেত্র শুধু খনন করলেই হবে না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় উত্তোলন করা জরুরি। আর্ন্তর্জাতিকমানের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা না হলে তেল ক‚পের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনির অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
ক‚প খনন বিশেষজ্ঞদের মতে, এসজিএফএলের ১০নং ক‚পের দেড় হাজার মিটার নিচের স্তরে মিলেছে ‘ক্রুড’ বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুত। বাকি সব স্তর শুধু গ্যাসের। ‘ড্রিল স্টিম টেস্ট’ বা ‘ডিএসটি’ চলাকালে ক‚পটিতে ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাসের পর আমরা তেলের ক‚পে হাত দিচ্ছি। এখানে আশানুরূপ তেল পাওয়া গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে।

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪ পালিত মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে দরকার একটি সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ

সারাদেশের ন্যায় ২৮ অক্টোবর সিলেটেও বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো ‘কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য, অগ্রাধিকার দেওয়ার সময় এখনই। দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে সিলেটে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি এবং কুসংস্কার কমিয়ে মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য ও রোগ বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে হবে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে দরকার একটি সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ। কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে যেমন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে না, তেমনই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কর্মদক্ষতা বিঘিœত হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে সিলেট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স, অফিস স্টাফ সহ গার্লস গাইড, রেড ক্রিসেন্ট, ওসমানী মেডিকেল কলেজ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সদস্যদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে দিবসটির প্রতিপাদ্য নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায়-এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী এবং মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার ডা. মাইমুন নাহার নাসরিন। আলোচনা সভায় রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, সিলেট এম. এ. জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. উমর রাশেদ মুনির, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ আনিসুর রহমান, সিলেট এম. এ. জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রনেন্দু কুমার সিংহ, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)-এর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ), ডা. ন‚রে আলম শামীম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান। আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট-এর ১৩টি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং মেডিকেল অফিসার (মানসিক স্বাস্থ্যের ফোকাল পার্সন), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আব্দুল কাদের, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডা. আবির হোসেন, কুষ্ঠ হাসপাতালের ডা. নূপুর চক্রবর্তী, বক্ষ ব্যাধি হাসপাতালের ডা. তামান্না এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন বনিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ।
আলোচনার সময় বক্তারা মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সুস্থ কর্মপরিবেশের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় সিলেট এম. এ. জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান ডা. রনেন্দু কুমার সিংহ অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ও মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা না করে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে এটিকে প্রাধান্য দিতে সকলকে অনুরোধ জানান। আলোচনার শেষে সভাপতি ডাক্তার মনিসর চৌধুরী র‌্যালি এবং আলোচনা সভায় সকলকে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।

নবীগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রামে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতের সুরতহাল শেষে লাশটি হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছেন। পুলিশ ঘটনার দু ঘন্টার মধ্যে ঘাতক স্বামীকে সাকুয়া টুকের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত মিনা বেগম ওরপে জয়ফুল বিবির ছেলে সমুজ মিয়া বাদী হয়ে পিতা আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে আব্দুর রউফ রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী মিনা বেগম ওরপে জয়ফুল বিবি (৪৫) কে মারধোর করেন।
স্বামীর আঘাতের এক পর্যায়ে স্ত্রী মিনা বেগম মাটিতে লুটে পড়ে জ্ঞান শুন্য হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নিহতের ছেলে সমুজ মিয়া আহত মাকে নিয়ে নবীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা মৃত মিনার লাশ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ মৃতের সুরতহাল শেষে লাশটি থানায় নিয়ে এসে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। পড়ে ঘটনার দু ঘন্টার মধ্যে এসআই শুভ্র ও এসআই সুমন আহমেদের নেতৃত্বে এবং ওসি কামাল হোসেনের দিক নির্দেশনায় ঘাতক স্বামীকে উপজেলার করগাওঁ ইউনিয়নের টুকের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে সমুজ মিয়া বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় পিতার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার সকালে ধৃত আব্দুর রউফকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে নিহত মিনা বেগম এর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

নবীগঞ্জে দুই আসামী গ্রেফতার

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ধর্ষণ মামলাসহ ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো: কামাল হোসেন পিপিএম এর দিক নির্দেশনায় এস, আই সুমন মিয়া, এস, আব্দুল কাদের, এস, আই শুভ দেব নাথ, এস আই আনিসুল ইসলাম, নেতৃত্বে উপজেলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাতে অভিযান চালিয়ে ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
এজাহার নামীয় ধর্ষণ মামলার একমাত্র পলাতক আসামী হলো সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর গ্রামের নুর খার পুত্র মঈন খাঁ (২২) গুজাখাইর এলাকা থেকে আটক করা হয়। চুরির মামলার আসামী হল নাসিরনগর থানার কলমদর পশ্চিমপাড়া (ধরমন্ডল) গ্রামের কিমত আলীর পুত্র বদরুল ইসলাম (৩৮) কে উপজেলার গজনাইপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামীকে ধরতে সক্ষম হয়।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: কালাম হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারের পর তাদেরকে হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

রিমান্ড শেষে কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন

কাজির বাজার ডেস্ক

যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন)-কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন তার এ মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। গুলিও চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন।

নিরাপদ খাবারের অভাবে মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে

 

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের আয়োজনে সিলেট নগরের একটি হোটেলে নিরাপদ খাদ্য আইন ও নীতি বিষয়ক সেনসিটাইজেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের সদস্য (খাদ্যভোগ ও ভোক্তা অধিকার) যুগ্ম সচিব মো. দিদারুল ইসলাম। রবিবার ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ পলিসি লিঙ্ক এগ্রিকালচারাল পলিসি এ্যাকটিভিটি- বিএসএএফই (ঋববফ ঃযব ঋঁঃঁৎব ইধহমষধফবংয চড়ষরপু খওঘক অমৎরপঁষঃঁৎধষ চড়ষরপু অপঃরারঃু ইঝঅঋঊ ঋড়ঁহফধঃরড়হ) এর সহযোগিতায় নিরাপদ খাদ্য সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি বিষয়ক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
নিরাপদ খাদ্য অফিসার সৈয়দ সারফরাজ হোসেনের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে উপসচিব বি. এম. মশিউর রহমান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের পরিচালক (উপসচিব) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সহকারী পরিচালক ফিরোজ আহম্মদ। নিরাপদ খাদ্য সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি বিষয়ক কর্মশালাটিতে বিভাগের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বক্তাগণ বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে খাদ্য উৎপাদন, সরবরাহ ও এ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, নিরাপদ খাবারের অভাবে দেশের মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও ভোক্তাদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভোক্তাদের সচেতন করার মাধ্যমে বিএসটিআই, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন বক্তাগণ। সভায় সুস্থ্য সুন্দর জীবনের জন্য নোংরা ও খোলামেলা স্থানের পচা-বাসি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।