এই দেশ আলিম উলামার দেশ -মাও. মজদুদ্দীন আহমদ

আতিকুর রহমান, ছাতক

ছাতকে খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে বিশাল কর্মী সভা অনুষ্টিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের পাবলিক খেলার মাঠে খেলাফত মজলিস ছাতক উপজেলা ও ছাতক পৌর শাখার যোথ উদ্যোগে একর্মী সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। ছাতক পৌর শাখার সভাপতি মাওলানা জহির আহমদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জসিম উদ্দিন এবং পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক কে এম সুলাইমান আহমদ তালুকদারের যৌথ পরিচালনায় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা শায়খ মজদুদ্দীন আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন, সংগঠনের সিলেট জোনের সহকারী ইনচার্জ অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শায়খ ইমাম উদ্দিন, সহ-সভাপতি মাওলানা ছদরুল আমীন, মাওলানা আকিক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আখতার হোসাইন, সিলেট মহানগর খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি কেএম আবদুল্লাহ আল মামুন, সিলেট জালালাবাদ থানা শাখার সভাপতি কামরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা ইসলামী যুব মজলিসের সভাপতি ফারুক আহমদ জাবেদ, সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক মজলিসের আহবায়ক ফারুক আহমদ, জেলা ইসলামী ছাত্র মজলিসের সভাপতি এনামুল হক আলী।
খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা শায়খ মজদুদ্দীন আহমদ বক্তব্যে বলেছেন, কোন কালেই জালিম-নমরুদদের আল্লাহ পাক রেহায় দেন নি। অতীতে নমরুদ জালিমরা পুরুষ ছিল কিন্তু আমাদের কষ্ট দিয়েছে নির্যাতন করেছে মহিলা জালিম। এই জালিম চেয়েছিল সারা জীবন সরকার থাকবে এবং তার পরে সরকার হবে ছেলে কিন্তু আল্লাহ পাক তা পূরণ করতে দেন নি। ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ভোটের অধিকার হরণ করেছিল। বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে হাসিনাসহ বিনা ভোটে এমপি মন্ত্রী হয়ে দেশ লুটে পুটে খেয়েছে। কথা বলারও স্বাধীনতা ছিলনা। কথা বললে গুম খুন করা হয়েছিল। সিলেটের এম ইলিয়াস আলীকেও ওই জালিম সরকার গুম করেছে। পুলিশ আর্মি দিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। অসংখ্য মানুষকে পঙ্গু করেছে। জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে দেশের মানুষ। এই দেশ আলিম উলামার দেশ। আগামীর সরকার হবে ইসলামী সরকার। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ পরিচালনায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আরো বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিস দোয়ারাবাজার উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মঈনুল হক, ছাতক পৌর শাখার সহ সভাপতি মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ, ছাতক উপজেলার সহ সভাপতি কেএম সালেহ আহমদ, পৌর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম চৌধুরী, খেলাফত মজলিস ছাতক উপজেলার সহ সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল হাই, দোয়ারাবাজার উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাকির হোসাইন সাঈদ, জেলা ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জুবায়ের আহমেদ নাবিল, সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা কাওছার আহমদ তালুকদার, ছাতক পৌর শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মঞ্জুরুর রহমান, ছাতক পৌর যুব মজলিসের সভাপতি হাফেজ আবুল হোসেন ইনু, হাফেজ উমায়রুল ইসলাম লস্কর, তোফায়েল আহমদ, হাফেজ মাওলানা আজহারুল ইসলাম, ক্বারী নজরুল ইসলাম, মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা বায়েজিদ আহমদ, মাওলানা রশিদ আহমদ, আবু সালেহ প্রমুখ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আবুল হাসনাত।

সংস্কার সেরে দ্রæত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন -মিজান চৌধুরী

শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘জবাবদিহিতামূলক সরকার ফিরিয়ে আনুন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, সমর্থন দিয়ে যাব। আমরা সরকারের কাছে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাই এবং সংস্কার সেরে দ্রæত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন ও খুনী হাসিনা পালিয়ে গেলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতিটি সেক্টরে এখনো বাকশালীদের প্রেতাত্মারা বসে আছে। তারা নানা ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করছে। এ ব্যাপারে সর্বস্তরের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
বুধবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সম্মেলনে মিজানুর রহমান চৌধুরী উপরোক্ত কথা বলেছেন।
এসময় উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মানিক মাস্টার, যুগ্ম আহবায়ক ও সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ, খোরশেদ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য এইচএম কামাল, আবু হেনা আজিজ, আব্দুল হক, আফিকুল ইসলাম, সামছুল ইসলাম, আমান উল্লাহ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এরশাদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর আলম, আব্দুল আজিজ, আব্দুল মচব্বির, হাফিজুর রহমান, আব্দুল মতিন।
উপস্থিত ছিলেন, দোয়ারাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহির মিয়া, পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ, মান্নারগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল আলীম, নরসিংপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লয়লুছ খাঁন, দোহালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা: শওকত, পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান, বাংলাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালিব ভুইঁয়া, সুরমা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাহাত হোসেন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, জয়নাল আবেদীন, শাহজাহান মিন্টু, যুবদল নেতা সানোয়ার হোসেন, রিপন আহমদ, রুহুল আমীন, হামদু মিয়া, জহিরুল ইসলাম বাবুল, আশরাফুল ইসলাম জুয়েল, আব্দুল মনাফ, এরশাদ মেম্বার প্রমুখ।

গ্রেফতারকৃত আ.লীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও মাদক ব্যবসায়ীসহ সাত জন কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার
এসএমপি ও কুলাউড়া পুলিশের পৃথক অভিযানে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, একজন আওয়ামী লীগ নেতা, একজন পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও ৪ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া শাখা জানায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিনকে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তেতলী বাইপাস এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হামলা ও সহিংসতা ঘটানোর একাধিক মামলা এবং হত্যা মামলাও রয়েছে।
এছাড়াও এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার জাহাঙ্গীরনগর গ্রাম থেকে আজিজুল হক সেলিম (৬০) নামের ওই মাদক ব্যবসায়ীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ঐ গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে। একই থানা পুলিশের পৃথক টিম মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দিলদার হোসেন (২৪) নামের এক পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তিনি এয়ারপোর্ট থানার লিলাপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে।
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ভারতীয় রেডবুল নামক কোমল পানীয়ের ২০০টি ক্যানসহ আব্দুল কাদির (২৪) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন কেওয়াছড়া চা বাগানের গেইটের সামনে কোম্পানীগঞ্জ থেকে সিলেটের দিকে আসা একটি বাস আটকে তল্লাশি করে এসব অবৈধ পানীয়সহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কাদির সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লাচুখাল গ্রামের মো. সঈদ মিয়ার ছেলে।
এদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মো দিলু মিয়া (৩৪) নামের একজনকে জেল রোড এলাকা থেকে ৮১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের দেওয়ারাই (আছিরগঞ্জ) গ্রামের বলু মিয়ার ছেলে।
অপরদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালালাবাদ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালিগাঁও এলাকা থেকে ২৪ বোতল ভারতীয় মদসহ ১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা (রেজি. নং-সিলেট-থ-১২-৫৯৩৬) জব্দ করে। এসময় দুজন পালিয়ে যায়। তবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন নেহারিপাড়া থেকে মো. জুয়েল মিয়া (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করে। তিনি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার কুর্শা খাগাউড়া গ্রামের মো. সুজন আলীর ছেলে। গ্রেফতারকৃত সবাইকে পরে আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এদিকে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের একাধিক পদের নেতা সৈয়দ নাজিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাকে উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাজিম ওই ইউনিয়নের নওয়াগাঁও এলাকার মনফর মিয়ার ছেলে। নাজিম ভাটেরা ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সহসভাপতি, ইউনিয়ন আওয়ামী তথ্যপ্রযুক্তি লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আফছার বলেন, নাজিমের বিরুদ্ধে থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর বুধবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
অপরদিকে

কুলাউড়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, প্রেমিকসহ আটক ২

কুলাউড়া সংবাদদাতা

কুলাউড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ওই ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে মো. সোয়েব ইসলাম তানিম (২৩) ও একই এলাকার উস্তার আলীর ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন জায়েদ (২২)। ধর্ষণের ঘটনায় ওই ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুইমাস আগে তানিমের সাথে ভিকটিমের প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন কথাবার্তার একপর্যায়ে গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে জায়েদের ভাড়া বাসায় ওই তরুণীকে নিয়ে যান তানিম। সেখানে গিয়ে তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই তরুণী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তানিমের পরিবারের সাথে তারা যোগাযোগ করেন। কিন্তু তানিমের পরিবার এবং তানিম বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ২৯ অক্টোবর ওই তরুণী বাদী হয়ে অভিযুক্ত তানিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয় জায়েদকেও। পরে থানার এসআই হাবিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন।
কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ও এক ট্রাকের হেলপার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টায় ও সাড়ে ১১টার দিকে এ দুই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ থানার সামনে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে রনি মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। সংঘর্ষের সময় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ লাশ ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের পানিউমদা বাজারে একটি লরির পেছনে ট্রাকের ধাক্কা লাগে। এতে ট্রাকের হেলপার ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। যদিও তাৎক্ষনিক তার পরিচয় জানা যায়নি।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন- লরির ধাক্কায় ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।

হবিগঞ্জের হত্যা মামলার আসামি ফেনীতে গ্রেফতার

কাজির বাজার ডেস্ক

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার ওয়াহিদ মিয়া হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ছগির মিয়াকে ফেনীর সোনাগাজী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ছগির মিয়া (৪৫) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার বাবনাকান্দি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। বুধবার চট্টগ্রাম র‌্যাব- ৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোহাম্মদ শরিফ উল আলম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত ভিকটিম ওয়াহিদ মিয়া (৩২) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার বাবনাকান্দি গ্রামের ইছাক উল্লার ছেলে। একই গ্রামের আব্দুল হাই ও ছায়েদ মিয়ার সঙ্গে পূর্ব থেকেই জমিজমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে ছায়েদ মিয়া ও আসামি ছগির মিয়াসহ অন্যান্য লোকবল নিয়ে আব্দুল হাই এর একটি জায়গা দখল করতে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, শিকল, লাঠিসোঁটা, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছায়েদ মিয়া ওরফে আব্দুল কাইয়ুম ও ছগির মিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের শিকল, দা, লাঠিসোটা, রডসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আব্দুল হাই পক্ষের লোক ভিকটিম ওয়াহিদ মিয়া গুরুতর রক্তাক্ত হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। একই সংঘর্ষে আরও ২০/২৫ জন আহত হয়।
স্থানীয় লোকজন ভিকটিম ওয়াহিদ মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
র‌্যাব-৭ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, উক্ত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ছগির মিয়া ফেনী জেলার সোনাগাজীর উত্তর চর চান্দিয়া এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার ২৯ (অক্টোবর) বিকেলে সেখানে অভিযান চালিয়ে আসামি ছগির মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেফতার এড়াতে ফেনী জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল বলেও জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মাধবপুর সীমান্তে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় আটক ২

মাধবপুর সংবাদদাতা

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় হবিগঞ্জের মাধবপুরে দুই যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার সকালে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ ধর্মঘর বিওপির একটি টহল দল উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সিংহগ্রাম এলাকার রাধাগোবিন্দ সরকারের ছেলে রতন সরকার (৩০) ও মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আরিফুল ইসলাম রাকিব (২২)।
বিজিবি সরাইল (২৫) ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে.কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রজু করে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জগন্নাথপুরে গরু চুরি মামলার ২ আসামী গ্রেফতার

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

সমুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানা পুলিশের অভিযানে গরু চুরি মামলার ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার আমড়াতৈল গ্রামের কদরিছ আলীর ছেলে জুনেদ হোসেন (৩০) ও ছাতক উপজেলার চান্দভরাং গ্রামের মৃত মোস্তফা আলীর ছেলে রুবেল আহমদ (৩৫)।
থানা সূত্র জানান, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ এর দিক-নির্দেশনায় থানার এসআই শাহিন হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ দল গরু চুরি মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে ৩০ অক্টোবর বুধবার সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

জৈন্তাপুরে পাথরবাহী ট্রাকে ১৮৪ বস্তা চিনিসহ আটক ২

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

জৈন্তাপুরে পাথরবাহী ট্রাক হতে ১৮৪ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করেছে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বিরাইমারা কদমখাল এলাকায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত সোয়া ১টায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাথরবাহী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৭৩৭৯) তল্লাশি করে পাথরচাপা দিয়ে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ১৮৪ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ ট্রাক আটক করা হয়। এ সময় ট্রাকচালক ও তার সহকারি নওগাঁ সদরের চকমহাদেব গ্রামের মোস্তাক আলীর ছেলে মো. রকি বাবু (২৬), মান্দা উপজেলার শাহাপাড়া গ্রামের মো. সাব্বির হোসেন (১৯) কে আটক করে পুলিশ। জব্দকৃত চিনির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, চোরাচালানের চিনি জব্দের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক দুইজন সহ পলাতক একজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক দুইজনকে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নগরী থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগষ্ট ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ছাত্র জনতার উপর আক্রমণ ও গুলিবর্ষণে নিহত হওয়া শিক্ষার্থী পংকজ কুমার হত্যা মামলার পলাতক আসামি রফিক আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৯। ধৃত রফিক বিশ্বনাথ পৌরশহরের পাশ্ববর্তি শাহজীর গাঁওয়ের মৃত আরজান আলীর ছেলে ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বন্দরবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-৯ এর একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার মো. মশিহুর রহমান সোহেল।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগষ্ট সিলেটের ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ছাত্র জনতার উপর আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ করে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। এতে পেটে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী পংকজ কুমার। এ-ঘটনার পর গত ২৮ আগষ্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এফআইআর নং ৩৩/৩৮৮।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেপ্তার রফিক আলীর বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানায় অপহরণ মামলাসহ ২টি মামলা রয়েছে। দু’টির মধ্যে একটি হচ্ছে গত ২৬ আগষ্ট দায়ের করা মামলা নং ৯, মামলার জিআর নং ১৪২/২৪ইং। আর ১১ সেপ্টেম্বর দায়ের করা অপর মামলা নং ৯, মামলার জিআর নং ১৫৪/২৪ইং। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় দায়ের করা আলহেরা শপিং সিটিতে হামলা ও ভাংচুর মামলা রয়েছে।