কাজির বাজার ডেস্ক
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার ওয়াহিদ মিয়া হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ছগির মিয়াকে ফেনীর সোনাগাজী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ছগির মিয়া (৪৫) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার বাবনাকান্দি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। বুধবার চট্টগ্রাম র্যাব- ৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোহাম্মদ শরিফ উল আলম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিহত ভিকটিম ওয়াহিদ মিয়া (৩২) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার বাবনাকান্দি গ্রামের ইছাক উল্লার ছেলে। একই গ্রামের আব্দুল হাই ও ছায়েদ মিয়ার সঙ্গে পূর্ব থেকেই জমিজমা নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে ছায়েদ মিয়া ও আসামি ছগির মিয়াসহ অন্যান্য লোকবল নিয়ে আব্দুল হাই এর একটি জায়গা দখল করতে গেলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, শিকল, লাঠিসোঁটা, রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছায়েদ মিয়া ওরফে আব্দুল কাইয়ুম ও ছগির মিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের শিকল, দা, লাঠিসোটা, রডসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আব্দুল হাই পক্ষের লোক ভিকটিম ওয়াহিদ মিয়া গুরুতর রক্তাক্ত হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। একই সংঘর্ষে আরও ২০/২৫ জন আহত হয়।
স্থানীয় লোকজন ভিকটিম ওয়াহিদ মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
র্যাব-৭ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, উক্ত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ছগির মিয়া ফেনী জেলার সোনাগাজীর উত্তর চর চান্দিয়া এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার ২৯ (অক্টোবর) বিকেলে সেখানে অভিযান চালিয়ে আসামি ছগির মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে গ্রেফতার এড়াতে ফেনী জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল বলেও জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।