স্পেনে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮

কাজির বাজার ডেস্ক

স্পেনে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮ পৌঁছেছে। উদ্ধারকারী দল এখনও নিখোঁজদের সন্ধান করছে। চলমান পরিস্থিতিকে পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় বন্যা ভাবা হচ্ছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। স্পেনের মন্ত্রী অ্যাঞ্জেল ভিক্টর টোরেস বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১৫৮ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে এবং এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে। সেখানে অন্তত ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভয়ঙ্কর জলোচ্ছ¡াসে এলাকাজুড়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, গাড়িগুলো পরস্পরের ওপর ভেঙে পড়েছে, গাছপালা উপড়ে গেছে, বিদ্যুতের লাইন ভেঙে গেছে এবং মাটিতে আটকে পড়েছে ঘরের বিভিন্ন সামগ্রী।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হলো মৃতদেহ এবং নিখোঁজদের সন্ধান করা। যাতে তাদের পরিবারের দুঃখ লাঘব করা যায়।
পেদ্রো সানচেজ বৃহস্পতিবার ভ্যালেন্সিয়ায় জরুরি পরিষেবা এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা এই ভয়াবহ ঘটনার কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। স্পেনে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ও খরার পাশাপাশি ভ‚মধ্যসাগরের পানির উচ্চ তাপমাত্রাও এই দুর্যোগের পেছনে একটি কারণ বলে ভাবা হয়।

দোয়ারায় আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

দোয়ারাবাজার সংবাদদাতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলী মনরকে গ্রেফতার করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নরসিংপুর ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রাম থেকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় নরসিংপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলী মনরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামের মৃত মখলিছ মিয়ার ছেলে। দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল হক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকসহ ৯৯ জনকে আসামি করে দ্রæত বিচার আইনে মামলা করেন হামলায় আহত জহিরের ভাই।

বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে শায়েস্তাগঞ্জে নিহত ২, আহত ২৫

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জের নূরপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, বাসচালক রাজু মিয়া (৩৫) এবং ট্রাকচালক আজিজুল হক (৪০)।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি তৈমুর ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে সিলেটগামী মিতালি পরিবহনের একটি বাস অপর একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়ে। এতে বাস ও ট্রাকের সামনের অংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। গুরুতর অবস্থায় দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি তৈমুর ইসলাম বলেন, নিহতদের পুরো পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ চলছে। এই দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েকশ যানবাহন আটকে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার

কাজির বাজার ডেস্ক

সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চালের উপর থেকে সব আমদানি ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজস্ব কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ আদেশ (এসআরও) জারি করেছে। এর আগে খাদ্য অধিদপ্তর দেশের সামগ্রিক চালের মজুদ নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) চালের দাম পরিস্থিতি নিয়ে খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরকে আরেকটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। দু’টি প্রতিবেদনেই চালের ওপর সব ধরনের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। স্থানীয় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য গত ২০ অক্টোবর এনবিআর আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, আমদানি ও নিয়ন্ত্রক শুল্কের উপর এই মওকুফ চালের দাম স্থিতিশীল করতে এবং সাধারণ গ্রাহকদের কাছে এটি আরও সহজলভ্য করতে সহায়তা করবে।

২০২৪ সালে জাতীয় পার্টিকে হাসিনা সরকার জোর করে নির্বাচনে এনেছিল

কাজির বাজার ডেস্ক

২০২৪ সালে জাতীয় পার্টিকে হাসিনা সরকার জোর করে নির্বাচনে এনেছিল বলে অভিযোগ করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেছেন, বø্যাকমেইল করে আমাদের নির্বাচনে আনা হয়েছিল। এছাড়াও আওয়ামী লীগের আমলে আমরা যেসব নির্বাচনে অংশ নেই- সেগুলো স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন তিনি এ অভিযোগ করেন। জিএম কাদের বলেন, একটি গোষ্ঠী অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে, আমরা আওয়ামী লীগের দোসর, এসব অপবাদের সত্যতা নেই। এর পেছনে ষড়যন্ত্র চলছে, এসবের সঙ্গে কিছু বুদ্ধিজীবীও জড়িত। তিনি বলেন, আমাদেরকে বলা হয় আওয়ামী লীগের দোসর? কীভাবে ২০০৮ সালে নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। সেই শেখ হাসিনার সরকারে আমি মন্ত্রী ছিলাম। তাই বলে আমরা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও অন্যায়ের ভাগিদার হবো কেন? সেই সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী থাকাকালে হজযাত্রীদের খারাপ বিমানে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তার প্রতিবাদে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম।
বৃহস্পতিবার রাতে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পরপর সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় জাপা অফিসে হামলার ঘটনায় দলটির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সানাউল্লাহ শানু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম আহত হন।
জাতীয় পাার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে জিএম কাদের বলেন, সরকার যেমন নির্বাচনে যেতে চাপ দিত, তেমনি অন্যদিক থেকেও জোর করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সবাই আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছিল। ২০১৪ ও ২০২৪-এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে জোর করে নির্বাচন করতে বাধ্য করেছিল।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই কেন অপরাধ হবে? সাংবিধানিক অধিকার এটা। শেষ ৩টি নির্বাচন নিয়ে তথ্য ও ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। বিএনপি-আওয়ামী লীগের হামলা, মামলা ও দলীয় বিভক্তির রাজনীতির শিকার জাতীয় পার্টি হয়েছে বলেও দাবি করেন জি এম কাদের।

জুলাই বিপ্লবে সপ্তাহে শহীদ ২০০ পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা আজ থেকে শুরু

কাজির বাজার ডেস্ক

জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া ছাত্র-জনতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু হচ্ছে। ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ আজ ২ নভেম্বর থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০০ শহিদ পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেবে। প্রতিটি শহিদ পরিবার ৫ লাখ টাকা করে পাবে। শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সারজিস আলম।
তিনি বলেন, (শনিবার) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের শহিদদের পরিবারের কাছে প্রথম এই অর্থ তুলে দেওয়া হবে। ঢাকার সব শহিদ পরিবার কাল (শনিবার) আসবে না। কাল যাদের অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আশা করা যায়, ডিসেম্বরের মধ্যেই সব পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে যাবে।
সদস্য সচিব সারজিস আলম বলেন, আমরা শনিবার ২০০ পরিবারের মাঝে সহায়তা দেব। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চারটি ভাগে টাকা দেওয়া হবে। প্রতি ভাগে ৫০ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। যেন কেউ এসে বিকাল পর্যন্ত বসে থাকতে না হয়। এজন্য ২০ জনের একটি দল প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রথম ঢাকা বিভাগ নিয়ে কাজ করছি। ঢাকায় শহিদের সংখ্যা দুইশর বেশি। তাদের দেওয়ার পর আট বিভাগে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিটি শহিদ পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া আহতদের এক লাখ করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান সারজিস আলম। তিনি বলেন, আহতদের সহায়তা বিকাশের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছি। পরিমাণ বেশি হলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। তবে কারো জরুরি সহযোগিতা প্রয়োজন হলে হেলপলাইন ১৬০০০-এ যোগাযোগ করলে তিন দিনের মধ্যে সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হবে।
এই সহায়তার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’র সদস্য সচিব বলেন, এরপর আমাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। যারা আর কখনো কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারবেন না, তাদের দীর্ঘ সময়জুড়ে কোনো সম্মানি দেওয়া যায় কি না- এটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ছাত্র-জনতার

 

কাজির বাজার ডেস্ক

রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার ব্যানারে একদল লোক একটি মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে যায়। সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আগুন দেওয়া হয়। দুই পক্ষই দাবি করেছে, তাদের ওপর আগে হামলা হয়েছে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। সেই মিছিলটি শাহবাগ হয়ে বিজয়নগরে যায়।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক রাত আটটার দিকে বলেন, তারা আগামীকাল শনিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সমাবেশ করতে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যার পরে শাহবাগ থেকে একটি মশাল নিয়ে একদল লোক কার্যালয়ে হামলা করে।
মুজিবুল হক বলেন, কর্মীদের প্রতিরোধে হামলাকারীরা মার খেয়ে পালিয়ে যায়। আধা ঘণ্টা পর সংঘবদ্ধ হয়ে ফিরে তারা কার্যালয় আগুন দেয়। তিনি আরও বলেন, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস এসেছিল। তাদের আগুন নেভাতে দেওয়া হয়নি। মুজিবুল হক বলেন, ‘এভাবে যদি একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে হামলা হয়, তাহলে দেশে কীসের গণতন্ত্র, কীসের রাজনীতি।’
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহŸায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্টে বলেন, ‘জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।’ এর কিছুক্ষণ পর হাসনাত আবদুল্লাহ আরেকটি পোস্টে লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে রাত সাড়ে আটটায় মিছিল নিয়ে তাঁরা বিজয়নগরে যাবেন। ‘জাতীয় বেইমানদের’ নিশ্চিহ্ন করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলম সাড়ে সাতটার দিকে একই রকম একটি পোস্ট দেন। তিনি লিখেছেন, ‘রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে যাচ্ছি।’
রাত সোয়া ৮টার পরে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের নিচতলায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। তবে তা নিভিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তখনো ভাঙচুর চলছিল।
গণ অধিকার পরিষদের (নুরুল হক নূরের দল) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন ঘটনাস্থলে বলেন, ‘শাহবাগে সমাবেশ শেষ করে আমরা বিজয়নগরে আসি। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।’

নগরীতে গ্রেফতারকৃত আ.লীগ ও যুবলীগ নেতা কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সিলেটে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথক দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ তাদের আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে, বুধবার রাতে র‌্যাব ও পুলিশের পৃথক অভিযানে এই ২ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কানাইঘাট উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল (৫০) ও ফিনল্যান্ড যুবলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদুর রহমান মুন্না। র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেল জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে রিকাবিবাজার পয়েন্ট থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আলী হোসেন কাজলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি কানাইঘাটের সড়কের বাজার এলাকার সাহাপুর গ্রামের মৃত মহিবুর রহমানের ছেলে।
র‌্যাবের মিডিয়া অফিসার জানান, কাজল দক্ষিণ সুরমায় ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। গ্রেফতারের পর তাকে মোগলাবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, একইদিন রাতে নগরীর শিবগঞ্জ এলাকার একটি বাসা থেকে ফিনল্যান্ড যুবলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ধৃত মুন্না কুলাউড়ার হিরা মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. জিয়াউল হক।

বিসিএস পরীক্ষায় ৪ বার অংশগ্রহণ করা যাবে

কাজির বাজার ডেস্ক

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (বিসিএস) একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার অংশহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অন্তর্র্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফিন্যানশিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর আলোকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা-৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ পুনর্গঠনপূর্বক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার অংশ নিতে পারবে। এতে আরো বলা হয়, এই বিধি সংযোজনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উপদেষ্টা পরিষদ নির্দেশনা প্রদান করেছে।

শীতের বদলে সিলেটে পড়ছে বৃষ্টি

স্টাফ রিপোর্টার

বছরের এই সময় শীত নামার কথা থাকলেও, শীতের বদলে উল্টো সিলেটে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। বৃষ্টির কিছুদিন পরেই টের পাওয়া যেতে পারে শীতের আগমনী বার্তা। সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এখন রাতে বা ভোরের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার পাওয়া যাচ্ছে। দিনের দৈর্ঘ্যও কমছে ধীরে ধীরে। বাড়ছে রাতের বিস্তৃতি।
আবহাওয়া অফিস বলছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আর কিছুদিন পরেই টের পাওয়া যেতে পারে শীতের আগমনী বার্তা। প্রান্তিক অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীত অনুভুত হতে পারে মধ্য নভেম্বরেই। আবহাওয়া এখন একেবারেই স্বাভাবিক। তবে তাপমাত্রা এখন ধীরে ধীরে কমবে। সামনে রাতের ব্যাপ্তিকাল ক্রমে বাড়তে থাকবে এবং দিনের ব্যাপ্তি কমবে। এতে দিনের সূর্যের কিরণকালও ধীরে ধীরে কমবে। সব মিলিয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় নাগাদ প্রান্তিক পর্যায়ে মোটা দাগে শীত অনুভ‚ত হওয়া শুরু হতে পারে।