কুলাউড়ায় ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

কমলগঞ্জ সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সীমান্ত এলাকার শরীফপুর ইউনিয়নের আমতলা বাজার এলাকা থেকে ৩০ পিস ইয়াবা টেবলেটসহ দুই সহোদরকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইয়াবা টেবলেটসহ বিজিবি তাদের আটক করে কুলাউড়া থানায় সোপর্দ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাতলাপুর-শমশেরনগর সড়ক ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ভারতীয় মাদক, ইয়াবা টেবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ীদের রুট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ওই সড়কে সন্দেহজনক ঘুরাঘুরি দেখে বিজিবি আমতলা বাজার ক্যাম্পের সদস্যরা আতাউর রহমানকে (৩৫) তল্লাশি করে ৩০ পিস ইয়াবা টেবলেট পায়। এসময় ইয়াবা টেবলেটসহ তাকে আটক করলে তার ছোট ভাই বিজিবি সদস্যদের উপর আক্রমনের চেষ্টা করলে সাইফুর রহমানকে (২৫) আটক করে বিজিবি। আটককৃত আতাউর রহমান ও সাইফুর রহমান খিদিরপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে। তাদের দু’জনকে কুলাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আফসার এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদক আইনে মামলায় তাদের দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক জাতীয় ঐক্য গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার আহŸান বিএনপির

কাজির বাজার ডেস্ক

দেশের শান্তি বিনষ্টকারী শক্তিকে প্রতিহত করতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার আহŸান জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় ঐক্য গঠনে উদ্যোগ নেওয়া আহŸান জানিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির প্রতিনিধি দল। বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিনের কর্মকাÐ নিয়ে আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে উদ্বেগ- সেই উদ্বেগের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানাতে এসেছি। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়টি দ্রæত শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। দেশে যেন এমন কোনো অবস্থার সৃষ্টি না হয় যাতে বিভাজন সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, ‘এখন যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো জাতীয় ঐক্য। আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ করে যারা বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় অথবা স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলেতে হবে। এই কথাগুলো আমরা বলে এসেছি।’
টিসিবির ট্রাক বাড়ানোর কথা বলেছি: বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সেই সঙ্গে জনগণের যে দুর্ভোগ, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি তুলে ধরেছি। টিসিবির ট্রাকগুলো এলাকাভিত্তিক বাড়ানোর কথা বলেছি। ট্রাক চলাচল, যানবাহন চলাচল যাতে নির্বিঘেœ হয় সেটা বলেছি। সেইসঙ্গে কৃষিতে বিশেষ করে সার বিতরণের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো এখনও ফ্যাসিস্টদের দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে। এক্ষেত্রে যারা জনগণের পক্ষে আছে তাদের এখানে নিয়ে আসার কথা আমরা বলেছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সেই সঙ্গে শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি নরমাল যে অ্যাক্টিভিটিস আছে সেটা যেন চালু থাকে। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতনের ক্ষেত্রে যেন বাধা সৃষ্টি না হয়। তারা যাতে নিয়মিত বেতন পান সেজন্য সরকার যেন ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে: তিনি বলেন, আমরা মনে করি, যেহেতু সিটি কর্পোরেশন ও পৌর সভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে- এখন ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী নির্বাচন দিতে হবে। সামগ্রিকভাবে আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য গঠন করার আহŸান জানিয়েছি।
নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি: ‘আমরা এটাও বলেছি, সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নির্বাচনী সংস্কারগুলো সম্পূর্ণ করে যত দ্রæত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা অত্যন্ত জরুরি।’ বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৩ অক্টোবর যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির তিন নেতা। ওই বৈঠকে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমদ। বৈঠকের বিষয় নিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে যাতে নতুন করে সাংবিধানিক সংকট না সৃষ্টি হয়, সে জন্য তারা সরকারকে খেয়াল রাখতে বলেছেন।
তারও আগে ৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের রোডম্যাপসহ আরও কিছু দাবির কথা তুলে ধরে বিএনপি। ওই বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের মধ্যেও এমন অনেকে আছেন, যারা গণঅভ‚্যত্থানের যে স্পিরিট সেটাকে ব্যাহত করছেন। তাদেরকে সরানোর কথা বলে এসেছি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার কাছে চুক্তিভিত্তিক কিছু নিয়োগ বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচন বিষয়ে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে বলেছি। আমরা বলেছি, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে রোডম্যাপ দিতে বলেছি। জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অধ্যাদেশ দিয়ে বাতিল করতে বলেছি। বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যেন নির্বাচন সংস্কার কমিটিতে না যায়, সেটা আমরা বলেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ভুয়া ভোটের মাধ্যমে হওয়া সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। সেইসঙ্গে ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে নির্বাচনের সময় যারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার ছিলেন তাদেরসহ ভুয়া ও পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।

 

আগামী দুই বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে

কাজির বাজার ডেস্ক

আগামী দুই বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভ‚ঁইয়া। শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই; যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত হবে, সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে, কেউ তার লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ এবং ভাষার কারণে নিগৃহীত ও বঞ্চিত হবে না। এক্ষেত্রে অগ্রপথিকের ভ‚মিকা পালন করবে আজকের ছাত্র-তরুণ-যুবসমাজ।
তিনি বলেন, জাতীয় যুব দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আমরা কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে যারা ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা, ট্রাফিক সবকিছুর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাদেরকে সরকারের সকল কার্যক্রমে যুক্ত করা আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। তারই অংশ হিসেবে ট্রাফিক কার্যক্রমের দায়িত্ব নেওয়া শিক্ষার্থীদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণের আয়োজন করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং সেই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগানোর জন্য সহায়ক পুলিশ হিসেবে তাদের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে ৬৪টি জেলায় ৬৪টি খাল ও জলাশয় পরিচ্ছন্নকরণ কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি। এর পাশাপাশি আমাদের আয়োজনের অংশ হিসেবে রয়েছে জাতীয় যুব মেলা। ২ নভেম্বর থেকে সাত দিনব্যাপী সেই যুব মেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ, শিক্ষা বা এ ধরনের কার্যক্রমে যারা যুক্ত নেই, এমন ৯ লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার একটি কার্যক্রম আমাদের আসছে। আমি আহŸান জানাবো, যুবক ও যুব নারীদের এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, তরুণদের নিয়ে শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয় সমগ্র পৃথিবী নতুন করে ভাবছে, অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের তরুণরা এই জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে একটি নতুন পথ দেখিয়েছে।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, তারুণ্যের ভিতরে যে উদ্যম, স্পৃহা ও ইচ্ছাশক্তি রয়েছে এই সকল গুণাবলীকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ একটি ভালো জায়গায় যাবে। এই জুলাই অভ্যুত্থানের সকলেই রাস্তায় নেমে এসেছিল। একদিকে ছিল দেশমাতৃকা অপরদিকে ছিল মৃত্যু। মাতৃভ‚মি অথবা মৃত্যু কোনো একটাকে বেছে নিয়ে আমাদের লড়তে হয়েছিল। ফলে আমরা মনে করি আমাদের এই লড়াইটা চলমান এবং আমরা অবশ্যই আমাদের মাতৃভ‚মিকে রক্ষা করে নতুন করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়া করাবো।
এরপর উপদেষ্টাদ্বয় জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত যুব মেলা পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে ১২ জন সফল আত্মকর্মী ও ৩ জন শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠককে জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

হাসিনা-কাদেরসহ আ. লীগ নেতৃত্বের বিচার দাবি করলেন তাজকন্যা

কাজির বাজার ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ হাসিনা-কাদেরসহ আ. লীগ নেতৃত্বের বিচার দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন। শারমিন আহমদ বলেন, মাফিয়াতন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কার করে, পরিচ্ছন্ন কারোর হাতে নেতৃত্ব দিলে এক বা দুই যুগ পরে আওয়ামী লীগ আবার দেশে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসতে পারে। তবে, আপাতত এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনার পর শারমিন আহমদের মা জোহরা তাজউদ্দীন আওয়ামী লীগের হাল ধরে বিলুপ্তির হাত থেকে দলটিকে রক্ষা করেন। এ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে শারমিন আহমদ বলেন, ‘আমার মা (১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর) দলের হাল ধরেছিলেন। কিন্তু পররবর্তীতে সে দলটি হাইজ্যাক হয়ে গেল এবং একটি পরিবারের হাতে বন্দি হয়ে গেল। এবারের প্রেক্ষাপটটি কিন্তু আরও ভিন্ন। কারণ, গণঅভ্যুত্থানের সময় এবার এ দলটির হাতে এত এত তরুণের মৃত্যু, জগণের মৃত্যু, মানুষের দেহে এখনও বুলেট। কাজেই আমরা কেন আওয়ামী লীগে যাব? এ আওয়ামী লীগতো একটি মাফিয়া লীগ। এমন আওয়ামী লীগ আমরা কেন করব, যাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই?’
শারমিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের ভালো লোকগুলোকে একত্র করে, জনতার পাশে দাঁড়িয়ে মাফিয়া লীগের নেতৃত্বে যারা ছিল তাদের বহিষ্কারের দাবি জানাতে হবে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কারোরই আর দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। আমি মনে করি শেখ হাসিনা বা শেখ পরিবারের কারোরই আর রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।

বানিয়াচংয়ে ৭২ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, আটক ৪

বানিয়াচং সংবাদদাতা

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গভীর রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে হতদরিদ্রদের জন্য সরকারি ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডাবিøউবি) এর ৭২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ২টার দিকে উপজেলার সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের হাজী মদরিস আলী মার্কেটের ধান চাল ব্যবসায়ী সনজব আলীর গোডাউন থেকে সরকারি চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়।
এসময় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- গোডাউন মালিক ও যাত্রাপাশা এলাকার সনজব আলী ও তার ছেলে নুর আলম এবং ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের চান্দের মহল্লার টমটম চালক মুশাহিদ মিয়া (২৪) ও ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের সাগর দিঘির পাড়ের বাসিন্দা আবজাল মিয়া (১৯)।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন শুক্রবার সকালে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার খলিল মিয়ার নেতৃত্বে থানা পুলিশসহ উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের হাজী মদরিস আলী মার্কেটের ধান চাল ব্যবসায়ী সনজব আলীর গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় ৩০ কেজি ওজনের ৭২ বস্তা হতদরিদ্রদের জন্য কার্ডের (ভিডাবিøউবি) সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত চালের কোন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই সংশ্লিষ্টরা।
ধারণা করা হচ্ছে, বেশি দামে বিক্রির জন্য সরকারি চালগুলো মওজুদ করা হয়েছিল। পরে জব্দকৃত চালসহ আটকদের থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে অধিকতর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহপূর্বক আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

নগরীতে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বেড়েছে আলু-পেঁয়াজ ও মাছ-মাংসের দাম

কাজির বাজার ডেস্ক

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ছে। এ কারণে সবজির বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বাড়েনি সবজির দাম, বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল বলা চলে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজ, আলু ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। কাঁচা মরিচ কেজিতে ৮০ টাকা কমে প্রকারভেদে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার সিলেট নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। ৬০ টাকা কমে শিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন কেজিতে ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা ও কাঁকরোল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটলের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লাউ প্রতি ৪০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, প্রতি কেজি পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা। বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা ও পুরোনো আলু কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বাজারগুলোতে লাল ডিমের হালি ৫৫ টাকা, এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। হাঁসের ডিম ২৩০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৮০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ৩৫০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ১০০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও বাজারে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৪০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৮২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে

কাজির বাজার ডেস্ক

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তথ্য যাচাইয়ের জন্য ১৬০০০ নাম্বার থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের তথ্য যাচাই করার জন্য ১৬০০০ নাম্বার থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।

রোটারি ক্লাব সিলেট সেন্ট্রালের সেলাই মেশিন সহ বিভিন্ন ট্রেড এ টুলস বিতরণ

 

সিলেট টেকনিকাল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ নাহিদ নিয়াজ বলেছেন, রোটারিয়ানরা আত্ম মানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নানা সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন রোটারিয়ানরা। রোটারি সারা বিশ্বে আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রোটারী ক্লাব অব সিলেট সেন্ট্রাল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সমাজের অবহেলিত অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগিতা করে তাদেরকে স্বাবলম্বি করে তুলছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকেও রোটারিয়ানরা নিজেদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে প্রশিক্ষিতদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছেন। প্রশিক্ষিতরা এই সেলাই মেশিনের মাধ্যমে নিজেদেরকে স্বাবলম্বি করতে ভ‚মিকা রাখবে।
তিনি রোটারী ক্লাব অব সিলেট সেন্ট্রালের বাস্তবায়নে ও সিলেট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের তত্ত¡াবধানে ইকনোমিক এন্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট মাস উপলক্ষে প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের মাঝে সেলাই মেশিন, প্লাম্বিং, রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশন, মোবাইল মেকানিক টুলস বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ক্লাব প্রেসিডেন্ট রোটাঃ আব্দুর রহমান আরএফএসএম এর সভাপতিত্বে ও রোটাঃ পিপি বিকাশ কান্তি দাস পিএইচএফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ক্লাব সেক্রেটারি রোটাঃ মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম সুমন আরএফএসএম। স্বাগত বক্তব্যঃ রোটাঃ পিপি ইঞ্জিঃ মনিরুল ইসলাম মনির (রোটারী ক্লাব অব সিলেট প্যারাডাইস)
উপস্থিত ছিলেন, রোটাঃ পিপি এম এ রহিম আরএফএসএম, রোটাঃ পিপি ড. এম শহিদুল ইসলাম এড. পিএইচএফ, রোটাঃ পিপি মোঃ নজরুল ইসলাম পিএইচএফ, রোটাঃ পিপি কামরুজ্জামান চৌধুরী রুম্মান, এডমিন ডি-৬৫, পিপি ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান মনির (সিলেট প্যারাডাইজ), আইপিপি সুলতান মোহাম্মদ রাজু (সিলেট প্যারাডাইজ), ট্রেনিং ইন্সট্রাক্টর মাজেদুর রহমান, মোঃ জয়নাল আবেদীন, খাঁন মোঃ দেলোয়ার, মুজিবুর রহমান, জাকারিয়া আহমদ ও মোঃ শাহিন উদ্দিন। সুবিধা ভোগীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন, আবু তাহের। এছাড়াও ট্রেড ইলেকট্রিক্যাল সহ প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি

আগামীদিনের রাজনীতি হবে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণের রাজনীতি

কাজিরখলাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে খন্দকার মুক্তাদির

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, আগামীদিনের রাজনীতি হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশের গড়ার রাজনীতি, নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণের রাজনীতি। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে জনমানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো হবে। এজন্য ঐক্যবন্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উন্নয়ন ও সমৃদ্ধশীল দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছেন, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলবার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, বাংলাদেশকে উন্নয়ন, সমৃদ্ধশীল অর্থনীতি গঠনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে দেশের সর্বস্থরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যাচ্ছেন। গণমানুষের দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে অতিতের ন্যায় আগামীতেও কাজ করে যাবে বিএনপি। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নাগরিক সেবা সহ ধরনে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করবে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
তিনি আরোও বলেন, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠা করা, মুক্ত বাজার অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করব আমরা সবাই। চলতি বছরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি তার জন্যে বিএনপি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। বিএনপির সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে। দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারপরও দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অব্যাহত ছিলে। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে গণতান্ত্রীক কার্যক্রম করতে পারছি আমরা। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপি সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে, আগামী দিনে সঠিক রাজনীতি এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সঠিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ।
তিনি শুক্রবার বিকেলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের কাজিরখলা এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী মো.নূর উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিলেট পেশাজীবি পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব এবং বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশ (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুর্শেদ আহমদ মুকুল, আবুল কালাম, দিলোয়ার হোসেন রানা, ডা, এম এ হক বাবুল, জাবেদুর রহমান দিদার, লোকমানুজ্জামান লোকমান, আজহার আলী অনিক, রহিম আলী রাসু, সৈয়দ সরওয়ার রেজা, মিহাজ পাঠান, হাবিবুর রহমান হাবিব, জুবেদুর রহমান জুবেদ, আলাল মিয়া, সেলিম আহমদ, আলী হোসেন সুমন, আরমান আলী লালা, ইব্রাহীম আহমদ রাজু, সালেহ আহমদ নয়ন, জিন্দাবাজারের বিশিষ্ট বাহার উদ্দিন, লায়েক মিয়া, রফিক মিয়া, কামাল মিয়া, মাখন মিয়া, নান্নু মিয়া, মখন মিয়া, মজনু মিয়া, জুনদে আহমদ, আলা উদ্দিন, নাসিম আহমদ, রাবেল আহমদ, সুমন আহমদ, খালেদ আহমদ, সাহেদ আহমদ, রকিবুল ইসলাম, মোহিন আহমদ, প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সিলেট আইডিয়াল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান লাবিব। -বিজ্ঞপ্তি

পশ্চিম দর্শা গ্রামকে ভাঙন থেকে রক্ষার দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

সিলেট সদর উপজেলার ৮ নং কান্দিগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম দর্শা গ্রামকে সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন থেকে রক্ষার দাবীতে মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার বাদ জুমা পশ্চিম দর্শা সুরমা নদী পারে এ মানব্বন্ধন পালন করেন তারা। এসময় বক্তারা বলেন পশ্চিম দর্শা গ্রামবাসী সুরমা নদীর ভাঙনে আতঙ্কিত। এর মধ্যে অনেক বাড়ি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে অনেক পরিবার। এতো মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গ্যাস লাইন নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়ে গেছে। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু তাই নয় এই ভাঙ্গন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে পশ্চিম দর্শা জামে মসজিদ, কবরস্থান, মাদ্রাসা ও পশ্চিম দর্শা ঈদগাহ এবং হযরত শাহজামাল (রহ.) এর অন্যতম সফর সঙ্গি হযরত খন্দকার (রহ.) এর মাজারও ভাঙ্গনের শিকার হয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে এব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর সাথে যোগাযোগ করা হলেও এর কোন সুরাহা হয়নি। তাই এলাকাবাসী বন পরিবেশ ও পানি উন্নয়ন উপদেষ্টা সহ সকলের দৃষ্টি কামনা করছেন।
এসময় উপস্থিত ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মনাফ, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীন নাজির উদ্দিন আহমদ, মো. জসিম উদ্দিন, এলাকার মুরব্বী মো. ছাদ খান, মো. সুরুজ আলী, সাংবাদিক এম রহমান ফারুক, ইঞ্জিনিয়ার লুৎফুর রহমান, প্রভাষক তাজউদ্দিন, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুস সামাদ, সাবেক মেম্বার দুলাল আহমদ, মো. বদরুল খান, জমির আলী পটুল, মাওলানা আলী হোসেন, চাঁন মিয়া, সোহেল আহমদ, আনোয়ার হোসেন, তৈমুছ আলী, রহমত আলী, রহমত খান, হাজী তজমুল আলী, আফজল হোসেন, মো. তজমুল আলী, মহিবুর রহমান মাখন, ফজলুর রহমান, অলিউর রহমান, ফারুক আহমদ, আবুল কালাম, সাদ উল্লাহ, আজাদ আহমদ, মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি