গোয়াইনঘাট সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকালে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট

অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশকালে ৪ বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর বিওপির মায়াবী ঝর্ণা নামক এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, নরসিংদী জেলার পলাশ থানার খানেপুর গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর মেয়ে মোছা. রুবিনা আক্তার (৩৭), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার সূর্যখালী গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ে মোছা. লাবনী আক্তার (৩৪), চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার সুজাতপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার মেয়ে মরিয়ম বেগম (৩১) এবং ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানার উত্তর রামপুরা গ্রামের রমিজুল ইসলামের মেয়ে মোছা. রুমি আক্তার (২৬)। মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর প্রায় পৌনে ২টায় সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবি’র অধীনস্থ প্রতাপপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১২৭২/১-এস সংলগ্ন মায়াবী ঝর্ণা নামক স্থানের নিকট দিয়ে মানব পাচারকারীর সহায়তায় চার বাংলাদেশী নারী অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনাসাধারণ তাদেরকে আটক করে প্রতাপপুর বিওপির টহলদলের নিকট স্থানান্তর করে।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় মামলা দায়ের পূর্বক গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে বানর উদ্ধার

শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে লোকালয় থেকে একটি প্রাপ্তবয়স্ক বানর উদ্ধার করা হয়েছে। বানরটি কয়েক মাস ধরে মানুষের বাসাবাড়িতে ঢুকে ক্ষতিসাধন করত। এ বানরটি নিয়ে এলাকায় মানুষ আতঙ্কে ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রামনগর মণিপুরিপাড়া এলাকা থেকে বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বানরটিকে উদ্ধারের পর লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যান।
রামনগর এলাকার বাসিন্দা বর্ণা রানি দেব বলেন, প্রায় দু-তিন মাস বানরটি এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। প্রায়ই মানুষের ঘরবাড়িতে ঢুকে যায়। মানুষের ঘরের জিনিসপত্র ক্ষতি করে। আমাদের এলাকায় অনেক শিশু আছে। আমরা এই বানরটিকে নিয়ে অনেক আতঙ্কে থাকতাম। মঙ্গলবার সকালে আমাদের বাড়িতে বানরটি ঢুকে গেলে আমরা ঘরের সব দরজা বন্ধ করে বন বিভাগকে জানাই। পরে বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন এসে এটি ধরে নিয়ে গেছেন।
বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এই বানরটির বিষয়ে জানার পর আমাদের লোকজন সেখানে যান। বানরটি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় এটিকে কৌশল করে খাঁচায় খাবার দিয়ে অনেক কষ্ট করে ধরতে হয়েছে। বানরটি সুস্থ অবস্থায় রয়েছে। আমরা বানরটিকে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করে দেব।
বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, বানর দল বেঁধে থাকে, এটি একটি দলছুট বানর। খাবারের সন্ধানে বন ছেড়ে লোকালয়ে এটি অনেক দিন ধরেই রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

ঢাকার মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি সিলেটের হারিছ চৌধুরীর

কাজির বাজার ডেস্ক

ঢাকার সাভারে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটিই হারিছ চৌধুরীর। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর আদালতে সেই ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশে প্রয়াত বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে তাঁর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দেন। গত ১৬ অক্টোবর সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থান থেকে ডিএন পরীক্ষার জন্য মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি কবর থেকে তোলা হয়।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় হারিছ চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আর প্রকাশ্যে ছিলেন না তিনি। ওই ডিএনএ রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কামরুন মুনিরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আদালতের। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই।
তবে সিআইডি সূত্র জানায়, নমুনা পরীক্ষা করে দুই সপ্তাহ পরেই রিপোর্ট সাভার থানার পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর সাভার থানায় হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। সেই জিডির রেফারেন্সে ডিএনএ পরীক্ষা হয়।
হারিছ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হারিছ চৌধুরী ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তারপর ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদরাসায় মাহমুদুর রহমান নামে তাঁকে দাফন করা হয়। তখন আবার হঠাৎ করেই আলোচনায় আসে হারিছ চৌধুরীর নাম।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘তিন দিন আগেই আমরা ডিএনএ রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছি। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর লাশটি হারিছ চৌধুরীরই বলে জানা গেছে।’
জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়। এ ছাড়া দুদকের দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁর যথাক্রমে তিন ও সাত বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। ২০১৮ সালে ইন্টারপোলে তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিস ইস্যু করা হয়।

জৈন্তাপুরে প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ মালামাল জব্দ

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি

জৈন্তাপুরে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পরিবেশ ধ্বংস করে টিলা কেটে উত্তোলন করা পাথর ও বালু জব্দ করা হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলার আলুবাগান হেনরী লামিন ক্রাশিং জোনে অভিযানে আসেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া। এ সময় জোনের শেষ প্রান্তে একটি ক্রাশার মিলে টিলা কেটে উত্তোলিত পাথরের স্তুপ দেখতে পান তিনি। পরে ক্রাশার মিলে আস্ত ও ক্রাশিং এর মাধ্যমে পাউডার করে রাখা ২ হাজার ঘনফুট পাথর তিনি জব্দ করেন।
আলুবাগান মোকামবাড়ী এলাকায় জৈন্তাপুর উপজেলার শেষ প্রান্তে খাসি নদী সংলগ্ন এলাকায় বারকি নৌকা দিয়ে নদীর কীনারায় বালু উত্তোলনের সময় পাঁচটি নৌকা ও ২ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি চক্র টিলার কেটে পাথর উত্তোলন ও ক্রাশিং করে আসছিলো। আজ উক্ত ক্রাশার মিল কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এ নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় সহ সকল পাথর জব্দ করা হয়েছে। সেই সাথে বালু উত্তোলনে ব্যবহাহৃত পাঁচটি নৌকা ও বালু জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান প্রশাসনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।

 

জলবায়ু সম্মেলন বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

কাজির বাজার ডেস্ক

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতা সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় তারা জলবায়ু সংকট সমাধানের উপায় এবং পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বাসসকে বলেন, ‘জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও আরব-আমিরাতে প্রেসিডেন্টসহ ২০জন বিশ্ব নেতা আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ায় তারা উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান।’
অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান অধ্যাপক ইউনূসকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এবং চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রæতি দেন।
অধ্যাপক ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিককে মুক্তি দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা আরব-আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ধন্যবাদ জানান।
মঙ্গলবার জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা বিশ্ব নেতাদের মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আড্ডো, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাষ্ট্রপতি ডেনিস বেচিরোভিচ রয়েছেন।
এছাড়া তিনি বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা, লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারির সাথেও সাইডলাইনে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জলবায়ু সম্মেলননে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বর্তমানে চার দিনের সরকারি সফরে বাকুতে অবস্থান করছেন।
আজারবাইজানের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বাকু পৌঁছেন।
তিনি কপ-২৯ সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন এবং সাইডলাইনে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
সোমবার সম্মেলন শুরু হয়েছে, চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত।
বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট সমাধানের লক্ষ্যে এবারের সম্মেলনে প্রায় ২০০ দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্রিত হয়েছেন।
এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য জলবায়ু সংকটের ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলোকে আরও অর্থসহায়তা দেওয়ার পথ খুঁজে বের করা।

সিলেটে প্রায় কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসা বিজিবি সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর পৃথক অভিযানে ৯৩ লক্ষ ৩১ হাজার ২শত ৫০ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি।
বিজিবি’র প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর দায়িত্বাধীন সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় শাড়ী- ৭২ পিস, পর্দার কাপড়-২১৭.৫ মিটার, মোটরসাইকেল-০২ টি, রসুন-১৪ হাজার ৮৪০ কেজি এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী নৌকা-৫টিসহ অন্যান্য পণ্য আটক করে। যার আনুমানিক সিজার মূল্য ৯৩ লক্ষ ৩১ হাজার ২শত ৫০ টাকা।
এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি বলেন, উর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি’র আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চোরাচালানী মালামাল সমূহের বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানায় বিজিবি।

লটারির বাইরে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি যেভাবে

কাজির বাজার ডেস্ক

সারা দেশের সব সরকারি (সরকারিকরণসহ) ও বেসরকারি (মহানগর ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ের) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ ১২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক নির্দেশনায় বলা হয়, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত যেসব প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
এসব নির্দেশনা হলো, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারি ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন ফরমের ফি (সরকারি ও বেসরকারি) ১১০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। প্রতি শ্রেণি বা শাখার বিপরীতে কোনোভাবেই ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে যৌক্তিক কোনো কারণে সরকারি বা বেসরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত হতে না পারলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারির প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করবে। তবে সেক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা মহানগরের বাইরে অর্থাৎ জেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালায় গঠিত সংশ্লিষ্ট জেলা ভর্তি কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালায় গঠিত সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি মনোনীত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ডিজিটাল বা ম্যানুয়ালি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিভিত্তিক শূন্য আসনের তুলনায় আবেদনের সংখ্যা কম হলে প্রতিষ্ঠানগুলো লটারি ছাড়া সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে।
এসব নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহিভর্‚তভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।

কুয়ারপাড় থেকে ৫ জুয়াড়ি আটক

স্টাফ রিপোর্টার

নগরীর কামারপাড়া এলাকা থেকে ৫ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কোতোয়ালী থানার কুয়ারপাড় পয়েন্টের একটি দোকানে অভিযানে পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম সোমবার রাতে কোতোয়ালী থানার কুয়ারপাড় পয়েন্টের একটি দোকানে অভিযানে পরিচালনা করে জুয়া খেলার সামগ্রীসহ ৫ জুয়াড়িকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- মো. জিসান আহমেদ (২০), মো. বাবর আলী (৩২), ইমন আহমেদ (২০), মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০) ও কৃতিশ দে (৫৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আটক আসামিদের সিলেট মহানগরী পুলিশ আইন, ২০০৯ এর ৯৫ মোতাবেক পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলা : আদালতে হাজিরা দিলেন সাবেক মেয়র আরিফ-গউছসহ ৭ জন

স্টাফ রিপোর্টার

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও জি.কে গউছসহ আরও ৭ আসামি। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা সিলেট দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ হাজিরা দেন।
শুনানি শেষে আদালতের বিচারক স্বপন কুমার সরকার আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন। সিলেটের বিভাগীয় দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আবুল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবেদীন বলেন, মঙ্গলবার আদালতে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জি. কে গউছ ও কারাগারে থাকা ৫ জনসহ ৭ জন হাজিরা দেন। এর মধ্যে ৬ জন সময় চেয়ে দরখাস্ত দিয়েছেন। মামলার আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও অবগতিপত্র পাঠিয়েছেন।
১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসামিদেরপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জামিন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক স্বপন কুমার সরকার। এরই মধ্যে সিলেটের আদালতেই ছয় বিচারকের হাত বদল হয়েছে এ মামলাটির। বর্তমানে সিলেট দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচার কার্য চলছে। এর আগে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল্লাহ, মনির আহমদ পাটোয়ারী, দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিপ্লব গোস্বামী, দিলীপ কুমার দেবনাথ, মকবুল আহসানের আদালতে গিয়েছিল মামলাটি।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের ঈদ-পরবর্তী জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলীও এ ঘটনায় নিহত হন। গুরুতর আহত হন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। এছাড়াও আহত হন প্রায় ৭০ নেতাকর্মী। এখনো তারা আঘাতের যন্ত্রণা শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার পরদিন ২৮ জানুয়ারি তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। পরে মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় সিআইডি। এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন বাদী মজিদ খান। এরপর ২০০৭ সালে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য আবারও সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মামলার পঞ্চম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেরুন্নেসা পারুল সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও গোলাম কিবরিয়া (জিকে গউছ), হুজি নেতা মাওলানা তাজউদ্দিনের ভগ্নিপতি হাফেজ মো. ইয়াহিয়াসহ আবু বকর, দেলোয়ার হোসেন, শেখ ফরিদ, আবদুল জলিল ও মাওলানা শেখ আবদুস সালামকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। তাদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া ২০০৪ সালের ২১ জুন দুপুরে দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় এক যুবলীগকর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় দিরাই থানায় করা হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আরিফুলসহ ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে ওই দুটি মামলায় আরিফুলকেও গ্রেফতার দেখানো হয়। বর্তমানে ওই মামলা থেকেও জামিনে আছেন তিনি।

 

শিববাড়ীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রেলকর্মীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার

দক্ষিণ সুরমায় রেললাইনে কাজ করার সময় চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা ট্রেনে কাটা পড়ে মিজানুর রহমান নামে এক রেলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের শিববাড়ি পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিজান সিলেট রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল হকের ছেলে। তিনি রেলের হেমারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে তিনি লোহা সম্পর্কিত সব কাজ করতেন।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবু নাসের মো. রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে শিববাড়ী এলাকায় মিজান রেললাইনে কাজ করছিলেন। অসাবধানতাবশত তিনি চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পরে রেলওয়ে থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।