মুনতাহার পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসক

কানাইঘাট প্রতিনিধি

কানাইঘাটের নিহত শিশু মুনতাহা জেরিনের পরিবারের সদস্যদের প্রতি স্বান্ত্বনা প্রদান ও মুনতাহা জেরিনের কবর জিয়ারত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসক মুনতাহা জেরিনের বাড়ি বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামে যান এবং হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ শিশু মুনতাহা জেরিনের হত্যাকান্ডের বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং এ নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত সহ প্রশাসন সব সময় মুনতাহা জেরিনের পরিবারের পাশে রয়েছে বলে নিহতের পিতা শামীম আহমদ সহ আত্মীয়-স্বজন’কে শান্তনা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসককে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুনতাহার স্বজনরা তারা খুনীদের ফাঁসির দাবী জানান। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ নিহত মুনতাহা কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব মানব সম্পদ) হোসাইন মোঃ আল জুনায়েদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি), ওয়াজিদ ওয়াসিফ, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল।

নগরীতে গ্রেফতারকৃত যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই নেতা কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার

মহানগরীতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতাকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ এর দুটি টিম শাহপরান ও এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত দুজনই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সহিংসতা সৃষ্টি ও আন্দোলনকারীদের উপর হামলাকারী।
র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি মশিহুর রহমান জানান- সোমবার বিকেল ৫টার দিকে শাহপরাণ থানা এলাকা থেকে যুবলীগ ক্যাডার জুমায়েল ইসলাম চৌধুরী (৩৮)-কে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর (ব্রাহ্মণগ্রাম) গ্রামের মো. আব্দুল হান্নান চৌধুরীর ছেলে। জুমায়েল শাহপরান বাইপাস এলাকায় বসবাস করতেন। তার বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর নাশকতা, সহিংসতা, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে মামলা (কোতোয়ালি থানার এফআইআর নং-১৪/৪৯৫) দায়ের করা হয়।
এদিকে, র‌্যাব-৯ এর অপর একটি টিম সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে মহানগর ৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফছর মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে। তিনি এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিছা এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ২১ অক্টোবর নাশকতা, সহিংসতা, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে মামলা (এয়াপোর্ট থানার এফআইআর নং-৭/১৪৪) দায়ের করা হয়।
গ্রেফতারকৃত দুজনকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব-৯। পরে মঙ্গলবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সুস্থ থাকতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে -মো. আনোয়ার উজ জামান

 

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার উজ জামান বলেছেন, শুধু খাদ্য গ্রহণ করলেই হবে না। সুস্থ থাকতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ভোক্তা হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। বাড়ির মায়েদেরও এ বিষয়ে অনেক ভ‚মিকা রাখতে হবে। শিশুরা কি খেলো, সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। তাদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যেতে পারে এমনকি নানাবিদ রোগবালাইও বাঁধতে পারে। তাই আমাদের সবার সচেতনতাই পারে একটি সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ (এফআইভিডিবি)-এর যৌথ উদ্যোগে স্কুল পর্যায়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সচেতনতা বিষয়ক ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার সকালে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ অডিটোরিয়ামে ওয়েল্টহাঙ্গারহিলফি এর কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিল চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আরিফ মোর্শেদ মিশু, বিএসটিআই সিলেটের উপ-পরিচালক মোঃ মাজাহারুল হক, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সিলেটের নিরাপদ খাদ্য অফিসার সৈয়দ সারফরাজ হোসেন, রাজা গিরিশচন্দ্র মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ সিলেটের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মুমিত। প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. শামিম আহমেদ। ক্যাব’র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আহমদ একরামুল্লাহ’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফআইভিডিবি’র কো-অর্ডিনেটর দেলোয়ার হোসেন। প্রকল্প পরিচিতি ও ক্যাম্পেইন সম্পর্কিত আলোচনা উপস্থাপন করেন এফআইভিডিবি’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. হাসনাইন।
দ্বিতীয় পর্বে টিফিন প্রদর্শনী ও রন্ধন শিল্পী কুমকুম মারুফা ও হাসান জাহান কর্তৃক নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ‘রেড অ্যালার্ট’ চেয়ে ইন্টারপোলে চিঠি

কাজির বাজার ডেস্ক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে গত রবিবার ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন।
এ রকম একজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে গত রবিবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, চিঠিতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহŸান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারপোলকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, তাকে দ্রæত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের মুখোমুখি করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরনো ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে জানান, হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাফলংয়ে নৌকা ও ড্রাম ট্রাকসহ বিপুল পরিমাণ বালু ও পাথর জব্দ

গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা

গোয়াইনঘাটে জাফলংয়ে ফের অভিযান চালিয়েছে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন প্রতিরোধে গঠিত টাস্কফোর্স। অভিযানকালে ১০ লাখ ঘনফুট বালু, ২০ হাজার ঘনফুট পাথর, ৫০টি ড্রাম ট্র্যাক, ৫ শতাধিক বারকি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিজিবি, পুলিশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর’র যৌথ টাস্কফোর্স এ অভিযান চালায়। জব্দ করা মালামালের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জাফলংয়ে বালু-পাথর উত্তোলন প্রতিরোধে বিজিবি, পুলিশ এবং পরিবেশ অধিদপ্তর মিলে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় ইসিএভুক্ত জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে বল্লাঘাট, লাখেরপাড়, জুম পাড়, কান্দুবস্তি, নয়াবস্তি এলাকায় নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে আনুমানিক ১০ লাখ ঘনফুট বালু এবং ২০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। ৫০টি যানবাহন (ড্রাম ট্রাক, পে লোডার, ট্রাক) এবং ৫ শতাধিক বারকি নৌকাও জব্দ করা হয়।
নদী ও নদী তীরবর্তী ইসিএভুক্ত এলাকায় অভিযান শেষে জাফলংয়ের বল্লাঘাট তীরবর্তী ক্রাশার মিল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় মিলগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা এলসি পাথরের পাশাপাশি দেশি পাথরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সার্বিক বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মামলা দায়ের করা হবে। অভিযান পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. সাঈদুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মামুন, বিজিবির সংগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আলী ও তামাবিল ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার আরিফ।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযানকালে পরিবহন শ্রমিক, মালিক ও শ্রমিক নেতারা জব্দকরা মালামাল ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য বিপুল সংখ্যক জনবল নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় পরিবহনগুলো থেকে বালু আনলোড করে পরিবহন শ্রমিক নেতা মো. ইয়াসিনের নিকট থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়। পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা ইসিএভুক্ত এলাকাসহ গোয়াইনঘাটে বালু-পাথর অবৈধভাবে উত্তোলনে যুক্ত থাকবে না মর্মে উপস্থিত টাস্কফোর্স টিমের ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অঙ্গীকার করেন।

সাহেবের বাজারে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেট সদর উপজেলার সাহেবের বাজারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে নের্তৃত্ব দেন সিলেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ‚মি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম। সোমবার বিকেলে উচ্ছেদ অভিযানে ১টি পাজকা দোকান ও বেশ কয়কটি টিনসেটের অস্থায়ী দোকান ভেঙে দেওয়া হয়।
সাহেবের বাজারের ভিতরে খোলাবাজারে সরকারি জায়গার উপর রাতের আঁধারে পাকা করে ১টি দোকান ঘর নির্মাণ করেন ফরিংউরা গ্রামের বাচ্চু মিয়া। বাজারের ভিতরে প্রবেশের চলাচলের রাস্তার উপর তিনি পাকা করে দোকান ঘর তৈরি করেন। পাকা দোকান ঘর তৈরি না করতে বাচ্চু মিয়াকে কয়েক দফা সরকারি নিষেধ দেওয়া হলেও তিনি তা পাত্তা দেননি। পরে বিষয়টি নিয়ে সাহেবের বাজারের ইজারাদার ও ব্যবসায়ী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে সহকারী কমিশনার ভ‚মি মো. মাহবুবুল ইসলাম উপস্থিত থেকে খোলাবাজারের উপর নির্মিত পাকা দোকান শ্রমিক দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরে বাজারের ভেতরে খোলাবাজারের জায়গার উপর দখল হওয়া সবকয়টি টিনসেটের অস্থায়ী দোকান আগামী ৩ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি তদারকির জন্য বাজারের ইজারাদার ও ব্যবসায়ী সমিতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সহকারী কমিশনার ভ‚মি মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন- সরকারি প্রতিটি বাজার ২ ভাগে ভাগ করা হয়। চান্দিনা ভিট দোকান ও খোলাবাজার বা তোহাবাজার। খোলাবাজার এর উপর কেউ কোনো ধরনের স্থায়ী কাঠামো তৈরি করতে পারবেন না। শুধুমাত্র বাজারের ফেরিফেরি ভুক্ত ম্যাপ অনুযায়ী যতগুলো চান্দিনা ভিট আছে। ততগুলো দোকান সরকারি ভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এই বাজারের ভেতর অশং তোহাবাজার বা খোলাবাজার রয়েছে। এ খোলাবাজারে অনেক মানুষ টিনসেট দিয়ে ছোট ছোট করে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করেছেন। এসব অস্থায়ী কাঠামো আগামী ৩ দিনের মধ্যে খোলাবাজারের উপর থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছি। যদি কেউ সরকারি আদেশ অমান্য করে তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরো বলেন- সাহেবের বাজারে সরকারি ভ‚মির উপর এক ব্যক্তি একটি পাকা দোকান তৈরি করেন। এটি চলাচলের রাস্তা ও টুল বাজারের জায়গা হওয়ায় দোকানটি ভেঙ্গে দিয়েছি। তোহাবাজারে কোন অবস্থাতেই স্থায়ী কাঠামো করা যাবে না, কেউ আইন অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বাজারের আরো বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। বাজারের ইজারাদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টি সমাধানের জন্য।
এদিকে দীর্ঘদিন পর সাহেবের বাজারে উচ্ছেদ অভিযানে খুশি এলাকাবাসী, তারা জানান- বাজারের সরকারি জায়গা বিভিন্ন ভাবে মানুষ দখল করতে চায়। সঠিক সময়ে এ অভিযান পরিচালনা করায় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

বৈষম্যহীন দেশ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়তে এক সাথে কাজ করতে হবে

কানাইঘাট প্রতিনিধি

সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেছেন বৈষম্যহীন দেশ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারি কর্মকর্তা সহ সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। তিনি সিলেটে সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড স্বচ্ছতার সহিত বাস্তবায়নে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন দায়িত্ব পালনে সবাইকে আরো আন্তরিক হতে হবে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনসাধারনের প্রত্যাশা, প্রাপ্তি, অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ গতকাল দুপুর ১২টায় কানাইঘাট উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, সায়রাত মহালের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য উপলক্ষে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জেলা প্রশাসকের কাছে কানাইঘাটের দাবী দাওয়া, সমস্যাগুলোর মধ্যে লোভাছড়া পাথর কোয়ারী খুলে দেওয়া, জব্দকৃত পাথরের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন, সুরমা ও লোভী নদীর ভাঙ্গন কবলিত ডাউকগুলোর বøক দ্বারা টেকসই কাজ এবং যান চলাচলের অনুপযোগী জনগুরুত্বপূর্ণ গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের দ্রæত সংস্কার কাজ, কানাইঘাট বাজারসহ অন্যান্য বাজারের ফুটপাত দখলমুক্ত ও যানযট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সুরমা ও লোভা নদী খনন, এলজিডির গ্রামীন পাকা সড়কগুলো সংস্কার সহ বিভিন্ন দাবী দাওয়া জানালে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ আশ^স্থ করেন। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট এর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব মানব সম্পদ) হোসাইন মোঃ আল জুনায়েদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি), ওয়াজিদ ওয়াসিফ, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল। বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ সুবল চন্দ্র বর্মন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবু হানিফা, উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমীর মাওলানা কামাল আহমদ, জেলা মজলিসে ছোরা সদস্য মাওলানা ফয়ছল আহমদ, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তায়্যিব শামীম, বড়চতুল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক চৌধুরী, দক্ষিন বানীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ, ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা জামাল উদ্দিন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক, কৃষক সুলতান আহমদ প্রমুখ। মতবিনিময় সভার আগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ কানাইঘাট পৌরসভা কার্যালয়, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সদর ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস, পৌরসভার চলমান নির্মানাধীন পানি শোধনাগার, জৈব সারকারখানা কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

জগন্নাথপুরে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৩০

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ফেইসবুক পোস্ট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না তাজপুর গ্রামে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, ফেইসবুক পোস্ট নিয়ে গত ১১ নভেম্বর সোমবার বাগময়না তাজপুর গ্রামের সুজাত মিয়া ও আবদুলকাছ এর লোকজনের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরণের কোন হতাহতের আগেই স্থানীয় শালিসি ব্যক্তিরা উভয়কে সরিয়ে দিলে আর সংঘর্ষ হয়নি। এরই জের ধরে ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে আবারো দুই পক্ষের লোকজন রণসাজে সজ্জিত হয়ে মাইকিং করে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এলাক্ ারণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধ সুজাত মিয়া (৭০) সুলফির আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন। যদিও জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডা.সৃজনা সরকার তমা তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, জাবেদ আলী, রেকুল মিয়া, সুনু মিয়া, মহিম মিয়া, সেজুল মিয়া, লিটন মিয়া, হেলাল মিয়া, আবদুল মোমিন, কাজল মিয়া, মারুফ মিয়া, জয়নাল আবেদীন, জুনেদ আলী, হোসেন মিয়া ও সেকুল মিয়া। এর মধ্যে ১৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। বিষয়টি নিস্পত্তি হওয়ার পরও কথা কাটাকাটি নিয়ে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বালাগঞ্জে নতুন ইউএনও সুজিত কুমার চন্দ

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি

সিলেটের বালাগঞ্জে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসাবে যোগদান করেছেন সুজিত কুমার চন্দ। তিনি সোমবার সদ্য বদলী হওয়া ইউএনও মারিয়া হকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উবাইয়া গ্রামে জন্মগ্রহনকারী সুজিত কুমার চন্দ বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) হিসাবে যোগদানের পূর্বে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডেপুটি কালেক্টকর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বালাগঞ্জ উপজেলাবাসীকে কাঙ্খিত সেবা দিতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) সুজিত কুমার চন্দ।

হবিগঞ্জে দুর্র্ধর্ষ ডাকাত সর্দার শিপন গ্রেফতার

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা

হবিগঞ্জ সদর থেকে দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার শিপন মিয়াকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯’র সদস্যরা। শায়েস্তাগঞ্জ র‌্যাবের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম ভাদৈ গ্রাম থেকে শিপনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শিপন মিয়া (৩৬) বানিয়াচং উপজেলার চতুরঙ্গ রায়ের পাড়া গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। সোমবার রাতে র‌্যাব শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র‌্যাব জানায়, দুর্র্ধর্ষ ডাকাত সর্দার শিপনের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলার অভিযোগ রয়েছে। তিনি চুনারুঘাট থানার একটি ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।