স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট সদর উপজেলার সাহেবের বাজারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে নের্তৃত্ব দেন সিলেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ‚মি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম। সোমবার বিকেলে উচ্ছেদ অভিযানে ১টি পাজকা দোকান ও বেশ কয়কটি টিনসেটের অস্থায়ী দোকান ভেঙে দেওয়া হয়।
সাহেবের বাজারের ভিতরে খোলাবাজারে সরকারি জায়গার উপর রাতের আঁধারে পাকা করে ১টি দোকান ঘর নির্মাণ করেন ফরিংউরা গ্রামের বাচ্চু মিয়া। বাজারের ভিতরে প্রবেশের চলাচলের রাস্তার উপর তিনি পাকা করে দোকান ঘর তৈরি করেন। পাকা দোকান ঘর তৈরি না করতে বাচ্চু মিয়াকে কয়েক দফা সরকারি নিষেধ দেওয়া হলেও তিনি তা পাত্তা দেননি। পরে বিষয়টি নিয়ে সাহেবের বাজারের ইজারাদার ও ব্যবসায়ী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে সহকারী কমিশনার ভ‚মি মো. মাহবুবুল ইসলাম উপস্থিত থেকে খোলাবাজারের উপর নির্মিত পাকা দোকান শ্রমিক দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরে বাজারের ভেতরে খোলাবাজারের জায়গার উপর দখল হওয়া সবকয়টি টিনসেটের অস্থায়ী দোকান আগামী ৩ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি তদারকির জন্য বাজারের ইজারাদার ও ব্যবসায়ী সমিতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সহকারী কমিশনার ভ‚মি মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন- সরকারি প্রতিটি বাজার ২ ভাগে ভাগ করা হয়। চান্দিনা ভিট দোকান ও খোলাবাজার বা তোহাবাজার। খোলাবাজার এর উপর কেউ কোনো ধরনের স্থায়ী কাঠামো তৈরি করতে পারবেন না। শুধুমাত্র বাজারের ফেরিফেরি ভুক্ত ম্যাপ অনুযায়ী যতগুলো চান্দিনা ভিট আছে। ততগুলো দোকান সরকারি ভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এই বাজারের ভেতর অশং তোহাবাজার বা খোলাবাজার রয়েছে। এ খোলাবাজারে অনেক মানুষ টিনসেট দিয়ে ছোট ছোট করে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করেছেন। এসব অস্থায়ী কাঠামো আগামী ৩ দিনের মধ্যে খোলাবাজারের উপর থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছি। যদি কেউ সরকারি আদেশ অমান্য করে তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরো বলেন- সাহেবের বাজারে সরকারি ভ‚মির উপর এক ব্যক্তি একটি পাকা দোকান তৈরি করেন। এটি চলাচলের রাস্তা ও টুল বাজারের জায়গা হওয়ায় দোকানটি ভেঙ্গে দিয়েছি। তোহাবাজারে কোন অবস্থাতেই স্থায়ী কাঠামো করা যাবে না, কেউ আইন অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বাজারের আরো বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। বাজারের ইজারাদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টি সমাধানের জন্য।
এদিকে দীর্ঘদিন পর সাহেবের বাজারে উচ্ছেদ অভিযানে খুশি এলাকাবাসী, তারা জানান- বাজারের সরকারি জায়গা বিভিন্ন ভাবে মানুষ দখল করতে চায়। সঠিক সময়ে এ অভিযান পরিচালনা করায় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।