তাহিরপুরে বিকাশ ব্যবসায়ীর টাকার ব্যাগ ছিনতাই

বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর

তাহিরপুর সদরে বিকাশ ব্যবসায়ীর ব্যাগে রক্ষিত নগদ ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, ৩টি বাটন মোবাইল, ১টি রবি ট্যাব ও ৬০টি সিমকার্ড ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাত ৯ টায় তাহিরপুর থানার দেয়াল সংলগ্ন পূর্বদিকের রাস্তায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। বিকাশ ব্যবসায়ী মধ্য তাহিরপুর (রায়পাড়া) গ্রামের মাহমুদুর রশিদ সাব্বির জানান, তিনি প্রতিদিনের মতো তাহিরপুর বাজার থেকে ব্যবসা কার্যক্রম শেষ করে মোটর সাইকেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাহিরপুর থানার পূর্বদিকের রাস্তায় যাওয়া মাত্রই হঠাৎ তাহার কাঁধে রাখা ব্যাগটি টান মেরে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মাহমুদুর রশিদ সাব্বির রাতেই তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং তিনি এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করে পুলিশকে তথ্য দিলে আনাস নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশ আটক করে।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিকাশ ব্যবসায়ীর টাকা ও মোবাইল সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

নগরীতে অপরাধ দমনে পুলিশের হোন্ডা টহল ডিউটি তৎপর

স্টাফ রিপোর্টার

মহানগরীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নতুন কৌশল নিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। বিশেষ একটি টিমের মাধ্যমে তৎপর রয়েছে বাহিনীটি। বিশেষ এ টিমের নাম ‘হোন্ডা টহল ডিউটি’। রাতে ও দিনে মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন এলাকা টহল দেন এই টিমের সদস্যরা।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকসহ অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছেন তারা।
সিলেট মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে ও সবজায়গায় পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করেতে এই টিম গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি এসএমপির সকল থানায় এই টিম গঠন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে মহানগরীর কোতোয়ালী মডেল থানায় এই টিম গঠন করে কাজ শুরু করা হয়েছে। মহানগরীর যেসব রাস্তা ছোট, পুলিশ ভ্যান চলাচল করতে অসুবিধা হয়। সেসব রাস্তায় এই হোন্ডা টহল ডিউটির উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অপরাধীদের মনে কম্পন ধরাতে আমাদের এই টিম মহানগরীর সকল স্থানে কাজ করবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা নির্বিঘœ করতে সক্রিয় থাকবে হোন্ডা টহল ডিউটি।
এদিকে পুলিশের এমন উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে নাগরিক সমাজের মধ্যে। বিভিন্ন অলি-গলি, কিশোর গ্যাংয়ের আড্ডার স্থান, নিয়মিত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান হলে জনমনে আরও স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা মহানগরবাসীর।

হজের টাকা ফেরতের নামে প্রতারণা সতর্ক করল ধর্ম মন্ত্রণালয়

কাজির বাজার ডেস্ক

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোনে হজের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে হাজি, হজযাত্রী ও এজেন্সি মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে একটি চক্র। এ ধরনের প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘হাজিদের টাকা ফেরতের নামে একাধিক প্রতারকচক্রের মাঠে সক্রিয় থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে এক শ্রেণির প্রতারকচক্র হজের রিফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে হাজি, হজ এজেন্সির মালিক বা প্রতিনিধি ও হজ গাইডদের ফোন করে তাদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ কিংবা নগদ ইত্যাদির তথ্য চাচ্ছে। এভাবে দুয়েকটা প্রতারণার ঘটনাও ঘটেছে।’
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হাজি, হজ এজেন্সি ও হজ গাইডদের রিফান্ডের টাকা সরাসরি ব্যাংক হিসাবে বিইএফটিএন অথবা চেকের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এজন্য কোনো ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ কিংবা নগদের তথ্য চাওয়া হয় না। প্রতারক চক্র ফোন করে টাকা ফেরতের কথা বলে এ ধরনের কোনো তথ্য চাইলে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এছাড়া এ ধরনের ফোন আসলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে এই মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সিলেটে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ১২টি বাগানে চা উৎপাদন বন্ধ

কাজির বাজার ডেস্ক

প্রায় ৯ সপ্তাহ ধরে বেতন না পাওয়ায় সিলেটে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১২টি চা বাগানে আন্দোলন করছে শ্রমিকরা। শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে এসব বাগানের উৎপাদন।
শ্রমিকরা বলছে, বেতন না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চলা দায় হয়ে পড়েছে তাদের। আর বাগান কর্তৃপক্ষ বলছে, শ্রমিকদের বেতন দ্রæত পরিশোধে কাজ করছে তারা।
সারা দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির ফাঁড়ি বাগানসহ ১৬টি চা-বাগান রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে এনটিসির বাগান রয়েছে ১২টি। এসব বাগানে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক কাজ করলেও গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তারা কোনো মজুরি পাচ্ছে না। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমিক ও পরিবারের সদস্যরা। বেতন-ভাতা না পেয়ে গত ১১ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা।
লাক্কাতুরা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য নিরেন গোয়ালা বলেন, ৯ সপ্তাহের বকেয়া বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ১৩ মাস ধরে ভবিষ্যৎ ফান্ডে জমা না হওয়া, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা না পাওয়া ও ভাঙাচোরা ঘরবাড়ি সংস্কার করে না দেওয়ায় কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা।
সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. আক্তার শাহেদ বলেন, কৃষি ব্যাংকের ঋণ জটিলতায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রæত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রায় একমাসেরও বেশি সময় শ্রমিক আন্দোলনে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় রাষ্ট্রীয় ন্যাশনাল টি কোম্পানি ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

জগন্নাথপুরে বেইলি সেতুতে ফের যান চলাচল শুরু

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভেঙে যাওয়া সেই বেইলি সেতুতে ফের যান চলাচল শুরু হয়েছে। ভেঙে যাওয়ার একদিন পর ১৬ নভেম্বর শনিবার বিকেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাটাগাং নামক নদীতে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙে একটি মালবাহী ট্রাক নদীতে পড়তে গিয়ে ভাগ্যক্রমে আটকে যায়। এতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা হয়। সেতুর মধ্যস্থানে ট্রাকটি আটকে থাকায় সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মালবাহী ট্রাককে সরিয়ে পুনরায় মেরামত করে দেয়ায় আবারো সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এতে যাত্রী-জনতার ভোগান্তি লাঘব হয়েছে।

শান্তির মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সম্প্রীতির দেশ গড়ে তুলতে হবে

সিলেটে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মেলনে বক্তারা

সিলেটে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ সম্মেলনে সিলেট বিভাগের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, আইনজীবী, ছাত্র, এনজিও, এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
ইউএসএআইডি এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এর আর্থিক সহায়তায় ‘নাগরিক’ প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপসা এই বিভাগীয় সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে কমিউনিটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণে শান্তি অঙ্গিকারনামা স্বাক্ষর ও প্রচার কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। রূপসা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মন্ডলের সভাপতিত্বে ও প্রোগ্রাম পরিচালক শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইআরআই বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ।
সম্মেলনে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন মজুমদার, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ এহসান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ সিলেটের সভাপতি শ্রী অমৃতরাম ভট্টাচার্য্য, নয়াসড়ক প্রেজবিটারিয়ান চার্চের ফাদার রেভারেন্ড ফিলিপ সমাদ্দার ও সিলেট বৌদ্ধ বিহারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহানাম ভিক্ষু।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সব ধর্মের মূলমন্ত্র হলো শান্তি। তাই শান্তির মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে এবং নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। তারা বলেন, সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহানুভ‚তি ও বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠিত হলে যেকোন অন্যায় মোকাবেলা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব।
বক্তারা আরও বলেন, এই সম্মেলন বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ তৈরি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
সম্মেলনে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগর শাখার সহসভাপতি হাফিজ মিফতাহ উদ্দিন আহমদ, খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, সিলেট আইডিয়াল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. এএইচএম সোলায়মান, সিলেট কল্যাণ সংস্থার সভাপতি এহছানুল হক তাহের প্রমুখ।
সম্মেলনে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতার প্রতিশ্রæতির লক্ষ্যে শান্তি অঙ্গিকারনামা পাঠ করেন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।
এতে উপস্থিত সকলে একমত হয়ে সেই অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর করেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার

কাজির বাজার ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার প্রথম ১০০ দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। পুলিশে অনুপস্থিতি ও পরিস্থিতির পরিবর্তনের সুযোগে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে- বিশেষ করে ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যাকাÐে। ইজিবাইক চালকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, কারণ তাদের গাড়ি ছিনতাই করা হচ্ছে এবং অনেক চালক নিহত হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে কঠোর পদক্ষেপ দাবি করছেন। পাশাপাশি, গণপিটুনি ও বিচার বহিভর্‚ত হত্যার ঘটনা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুন বিবিসিকে জানান, ৫ আগস্টের পর এক মাসের মতো পুলিশের অনুপস্থিতি অপরাধ বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রেখেছে। এখন সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে টহল এবং পুলিশিং চলছে। তিনি বলেন, নিয়মিত পুলিশিংটা আমি আসার আগ পর্যন্ত বন্ধই ছিল। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে আমি জয়েন করার পর আস্তে আস্তে পুলিশিংটা দৃশ্যমান হয়েছে। এখন আমরা ফুল ফিল্ডওয়ার্কে আছি। আগে চারটা টহল বের হতো এখন যানবাহন সংকটে দুইটা টহল বের হয়। একটা ভাড়া নেই আরেকটা সরকারি গাড়ি আছে। থানার গাড়িতো পুড়ায় দিছে অনেকগুলো। রাজধানী ঢাকার মধ্যে মোহাম্মদপুর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে। সেখানে বিহারী ক্যাম্পে খুনোখুনি, প্রকাশ্যে ছিনতাই, ডাকাতি, সশস্ত্র মহড়ার ঘটনা ঘটেছে।
পরিস্থিতি উন্নতির জন্য মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান হয়েছে। জেনেভা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক সন্দেহভাজনক আসামী গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু এখনো মানুষের আতঙ্ক কাটেনি বলেই জানান এলাকার একজন বাসিন্দা জেসমিন। তার ভাষায়, ‘এখন একটু পরিস্থিতি ভয়াবহ। কেমন যেন একটা আতঙ্কে আছি আমরা। আগে রাতে বারোটা একটায় মানুষ যাইতে পারছে বাইরে। এখন তো মানুষ ভয়ের চোটে বাইরায় না।’
স্কুলে সন্তানকে নিয়মিত আনা নেয়া করা একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমি ২০১০ সালের পর থেকে ঢাকাতে আছি। আমার কখনো আমাদের এলাকার মধ্যে এমন নিউজ পাইনি। গÐগোলের পর থেকে যখন এরকম দেখতেছি তখন আতঙ্কতো থাকবেই।’
তিনি বলেন, চলন্ত রিকশা থেকে বয়স্ক একজনের কানের দুলটা ছিড়ে নিয়ে গেছে। রক্ত ঝরছে। এটা দেখার পর থেকে আমার বাচ্চাকে আমি বাসা থেকে হিজাব পরায় নিয়ে আসি, স্কুলের কাছে এসে হিজাবটা খুলি।
আইন শৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টি অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তবে পরিচয় প্রকাশ করে মিডিয়ায় বক্তব্য দিতে অনিচ্ছুক অনেকে।
একজন নারী বলেন, সন্ধ্যার পরে বের হওয়াটা যেন খুব একটা সিরিয়াস ব্যাপার। মনে হয় যে তাড়াতাড়ি বাসায় ঢুইকা যাই।’
তার ভাষায় গত কিছুদিনের ঘটনায় এখন আতঙ্ক কাজ করে। ‘আমরাতো স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। যে সরকারই আসুক, যেই আসুক, আমাদেরকে কেউ খাওয়াবে না পরাবে না। খাবারটা নিজেই আর্ন করে খেতে হবে। তাহলে আমাদের মূল চাওয়াটা হচ্ছে সেইফটিটা যেন সরকারের থেকে পাই।’
মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী ইফতেখার হাসানের দাবি বিশেষ অভিযানের পর এলাকার পরিস্থিতি অনেকটাই তার ভাষায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তিনি বলেন, গত আড়াই মাসে দুটো ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা দ্রæততম সময় ডাকাতির ঘটনায় আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা রহস্য উদঘাটন করেছি। কিছু আসামী পলাতক আছে। ঘটনা ঘটতে পারে কিন্তু ঘটনা প্রতিকার পাচ্ছে কিনা জনগণ সেটাই হলো বিবেচ্য বিষয়। সেই হিসেবে আমরা বলতে পারি আমরা সফলতার সাথে মোকাবেলা করছি চ্যালেঞ্জগুলো। চ্যালেঞ্জ থাকবেই। পরিস্থিতি নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না বিবিসিকে বলেন, “নরসিংদী কারাগার থেকে যে জঙ্গীরা বের হইছিল সেটার ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিছে। সেখান থেকে যে আর্মসগুলো যে লুট হইছিল সেগুলো কতটা উদ্ধার হইছে। সেগুলো নিছিলো কে? তারপরে রাতারাতি আমরা দেখলাম যে সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুক্তি পাইছে কারাগার থেকে। কী গ্রাউন্ডে পাইলো না পাইলো কিছুই জানি না। এইগুলাতো হতাশা আনে।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের কতটা নিয়ন্ত্রণ আছে সে প্রশ্ন রাখেন খান।
তিনি বলেন, ‘আমিতো দেখি হোম মিনিস্টার (উপদেষ্টা) অনেক সময় শুনেও না শোনার ভান করেন, উত্তর দিতে চান না এভয়েড করে যান। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে নাই। পুলিশ অসহযোগিতা করতেছে এতে কোনো সন্দেহ নাই। আনসার ননকোওপারেশন করবে এতেও কোনও সন্দেহ নাই। খোঁজ নিয়ে দেখেন সারাদেশের অবস্থা কী? চাঁদাবাজি চলছে সেই আগের মতো। ইজারাদারি প্রথা আমার জায়গায় আপনি আসছেন আপনার জায়গায় আমি আসছি এই চলতেছে। হাট বাজার দখল চলছে।’
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোনো সাক্ষাৎকার দেননি। তবে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভ‚ঁইয়া বলেন, আগামী তিনমাসের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আমরা আশাকরি যে ছয় মাসের মধ্যে একটা টাইমফ্রেমের মধ্যে আগামি তিন মাসের মধ্যে আমরা পুরোপুরি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো। এবং পুলিশ পুরোপুরি ফাংশনাল হবে।
তিনি জানান, সে লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় খোদা বক্সকে নিয়োগ করা হয়েছে।
‘আইনশৃঙ্খলা হচ্ছে প্রায়োরিটি ওয়ান। কারণ এটার সাথে মানুষের জীবনযাত্রা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত, ’ বলেন আসিফ মাহমুদ।
সরকার জানাচ্ছে, নতুন করে পুলিশ ও আনসার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর জন নিরাপত্তার স্বার্থে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে মাঠে রাখার চিন্তা ভাবনাও আছে অন্তবর্তী সরকারের।
‘২২ তারিখ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে। আমরা চাই খুব দ্রæত সেনাবাহিনী তার যে নিয়মিত কার্যক্রম স্বাভাবিক কার্যক্রম সেটাতে ফিরে যাক। সরকার চায় তারা দ্রত ফিরে যাক। তবে পুলিশ সম্পূর্ণভাবে রিভাইভ করা এবং আমাদের যে অভ্যন্তরীণ যে অন্যান্য বাহিনীগুলো যারা আইনশৃঙ্খলা দেখে থাকে তাদের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা পুরোপুরি কন্ট্রোলে আসার পরপরই সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাবে, ’ বলেন আসিফ মাহমুদ।

আলু ও পেঁয়াজের দাম চড়া খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস

স্টাফ রিপোর্টার

খাদ্য তালিকায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পণ্য আলু ও পেঁয়াজ। এই দুই পণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণই নেই সিলেটের বাজারে। এরমধ্যে শীতের সবজি, ডিম, মুরগির দাম কমার যে স্বস্তি, ক্রেতাদের কাছ থেকে তা উবে যাচ্ছে এই দুই পণ্য কিনতে।
বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে, যা গত মাসে ৫৫-৬০ টাকা ছিল। ১১০-১২০ টাকার দেশি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১৪০-১৫০ টাকায়। তবে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকার মধ্যে। সিলেটের বাজারে এখন বেশী ভারতীয় আলু। এ আলু নগরীতে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও পাড়া-মহল্লা এ আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।
শুক্রবার সিলেট নগরীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আলু, পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক দামকে খুব অস্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন। মিজানুর রহমান নামে একজন বলেন, আলুর দাম ৭০ টাকা, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। একই অবস্থা পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। কিন্তু দুটি পণ্য এতটাই প্রয়োজনীয় যে বাজারে এলে কিনতেই হয়। বিকল্প কিছু নেই। তিনি আরো বলেন, মাসে পরিবারের যদি পাঁচ কেজি আলু আর পাঁচ কেজি পেঁয়াজ লাগে তাহলে শুধু এই খাতে ব্যয় করতে হবে এক হাজার টাকা। এটা কি স্বাভাবিক কথা।
এই দুই পণ্যের দামের বিষয়ে নগরীর সোবহানীঘাটের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলু-পেঁয়াজের মৌসুম এখন শেষের দিকে। প্রতি বছর এ সময়ে দাম বাড়ে। তবে এ বছরে শুরু থেকেই দাম চড়া। এরপর এখন বেড়ে আরও বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে।
তাছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের দাম না বাড়লেও খোলা তেলের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭১ টাকায় উঠেছে। যেখানে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ থেকে ১৭২ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১৬২ থেকে ১৬৩ টাকা ও সুপার পাম তেল ১৬৪ থেকে ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কম গত সপ্তাহ থেকে। এখন প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা উঠেছিল। সোনালি মুরগির দাম ৩১০-৩২০ টাকা প্রতিকেজি। এছাড়া বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ১৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, বাজারে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমেছে গত মাসের তুলনায়। এরমধ্যে ঢ্যাঁড়স, পটোল, ঝিঙা, চিচিঙা ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া বেগুন, বরবটি, করলা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকায় ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল। অপরদিকে, ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা এবং লাউ ৮০-১০০ টাকা থেকে ৫০-৬০ টাকায় নেমেছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। সবজি বিক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আগামীতে দাম আরও কমে আসবে।

ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন অ্যান্টিবডির উদ্ভাবন

কাজির বাজার ডেস্ক

ইডেনের আপসালা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেএইচটি রয়েল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা এমন একটি অ্যান্টিবডির উদ্ভাবন করেছেন যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে। গবেষকরা এই অ্যান্টিবডিতে তিনটি ভিন্ন ধরনের কার্যকরিতা একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছেন, যার ফলে এটি ক্যান্সার টিউমারের বিরুদ্ধে টি সেলগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। এই নতুন অ্যান্টিবডি ক্যান্সারের চিকিৎসায় সম্ভাবনা তৈরি করেছে এবং এটি ব্যক্তিগত ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসার জন্য নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
৩-ইন-১ ডিজাইন: ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন পথ
গবেষকরা একটি নতুন ধরনের অ্যান্টিবডি উদ্ভাবন করেছেন যা একদিকে টিউমারের নির্দিষ্ট উপাদানগুলোকে লক্ষ্য করে, অন্যদিকে এই অ্যান্টিবডি নিজেই একটি ওষুধের প্যাকেজ সরবরাহ করে এবং তৃতীয়ত এটি ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে। একে বলা হয় ‘৩-ইন-১ ডিজাইন’ – অর্থাৎ তিনটি কার্যকারিতা একত্রিত করা হয়েছে, যা টিউমারের প্রতিটি সেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নতুন অ্যান্টিবডি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে একটি ব্যক্তিগত ইমিউনোথেরাপি হিসাবে কাজ করার জন্য প্রমাণিত হয়েছে।
গবেষণার অন্যতম প্রধান নেতা উফসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক সারা মাংসবো এবং কেএইচটি রয়েল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক জোহান রকবের্গ জানান, ‘আমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে সঠিক চিকিৎসা (প্রেসিশন মেডিসিন) নিয়ে গবেষণা করছি এবং কীভাবে অ্যান্টিবডির মাধ্যমে আমাদের ইমিউন সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন (ঈউ৪০) প্রভাবিত করা যায় তা নিয়ে কাজ করেছি। আমরা এখন দেখাতে পারছি যে, আমাদের নতুন অ্যান্টিবডি পদ্ধতি ক্যান্সারের জন্য প্রেসিশন মেডিসিন হিসেবে কার্যকর’।
নতুন অ্যান্টিবডি কীভাবে কাজ করে
এই নতুন অ্যান্টিবডি ক্যান্সারের চিকিৎসায় একটি বিপ্লবী ভ‚মিকা পালন করছে, কারণ এটি নির্দিষ্ট জিনগত পরিবর্তন ও মিউটেশনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে যা কেবল ক্যান্সার কোষে থাকে। এই পরিবর্তনগুলোকে বলা হয় ‘নেওএন্টিজেনস’। অ্যান্টিবডিটি টিউমার-নির্দিষ্ট উপাদানটি সরাসরি একটি নির্দিষ্ট ধরনের ইমিউন সেলে পৌঁছে দেয় এবং একসঙ্গে সেই সেলটিকে সক্রিয় করে। এর ফলে টি সেলের প্রতিক্রিয়া ক্যান্সার টিউমারের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই পদ্ধতি কেবল মানব রক্তের নমুনাগুলোতে সঠিক ধরনের ইমিউন সেল সক্রিয় করে না, বরং প্রাণী মডেলেও মাউসের মধ্যে এটি কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। মাউসগুলি এই চিকিৎসা পেলে তারা দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে এবং উচ্চ মাত্রায় এটি ক্যান্সার থেকে মুক্তি পায়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই পদ্ধতি পূর্বের চিকিৎসার তুলনায় অনেক নিরাপদ।
কাস্টমাইজড প্রেসিশন মেডিসিন: একাধিক সুবিধা
কাস্টমাইজড প্রেসিশন মেডিসিনগুলো সাধারণত সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হতে পারে। তবে, নতুন এই অ্যান্টিবডি অনেক সহজে উৎপাদন করা যায় এবং এটি রোগীর ক্যান্সার বা টিউমারের ধরন অনুযায়ী দ্রæতভাবে কাস্টমাইজ করা যায়। এই অ্যান্টিবডিটি দুইটি অংশ নিয়ে তৈরি: একদিকে একটি টার্গেটিং বিস্পেসিফিক অ্যান্টিবডি, যা পূর্বেই বড় পরিমাণে উৎপাদন করা যায়, অন্যদিকে একটি কাস্টম পেপটাইড অংশ, যা সঠিক ক্যান্সারের জন্য দ্রæত এবং ছোট পরিসরে তৈরি করা যায়। এই উৎপাদন প্রক্রিয়াটি কম খরচে এবং দ্রæত হওয়ার কারণে রোগীদের জন্য এটি অনেক বেশি সুবিধাজনক।
নতুন চিকিৎসার সম্ভাবনা
গবেষকরা তাদের লক্ষ্য হিসেবে একটি আরও নমনীয়, দ্রæত এবং নিরাপদ ক্যান্সার চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশে সফল হয়েছে। নতুন অ্যান্টিবডি পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিটি রোগীর জন্য এককভাবে কাস্টমাইজড চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব, যা তাদের ইমিউন সিস্টেমকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করে তুলবে। এই পদ্ধতি এখন পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে সফল হয়েছে এবং আগামীতে এটি মানবদেহে পরীক্ষিত হবে।
ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও পরবর্তী পদক্ষেপ
গবেষণার পরবর্তী ধাপ হলো, সম্পূর্ণরূপে অপটিমাইজড উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে এই অ্যান্টিবডি-ভিত্তিক চিকিৎসার জন্য আরও নিরাপত্তা পরীক্ষা চালানো। এরপর এটি মানুষের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এই গবেষণা কেবল ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে না, বরং ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও একটি বড় বিপ্লব আনতে পারে। ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের বিরুদ্ধে এই নতুন অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী রোগীদের জন্য এক নতুন দিশা দেখাতে পারে।
এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে, তবে এই নতুন অ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতি সম্ভবত ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশলকে আরও কার্যকর, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ করে তুলবে। এর মাধ্যমে ক্যান্সারের মতো মরণঘাতী রোগের বিরুদ্ধে একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে।

পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে জাফলংয়ে শ্রমিক জমিয়তের মানববন্ধন

জাফলং, বিছনাকান্দি ও ভোলাগঞ্জসহ সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে জাফলংয়ে শ্রমিক জমিয়ত বাংলাদেশ গোয়াইনঘাট উপজেলার উদ্যোগে শুক্রবার উদ্যোগে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে ২০১৮ সালে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো বেলা করে দেওয়া হয়। পাথর কোয়ারি সংশ্লিষ্ট ১০ লক্ষ শ্রমিক-ব্যবসায়ী পথে বসেছে। মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে সিলেটের অর্থনীতিতে বিরাট ধাক্কা লেগেছে, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় মানুষ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতায় লিপ্ত হয়ে পড়ছে।
সংগঠনের সদস্য সচিব হাফিজ এহসান উল্লার সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা হাফিজ জাকির হোসাইন এর পরিচালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ।
তিনি বলেন, পাথর হচ্ছে তেল-গ্যাস এর মত এদেশের খনিজ সম্পদ। এগুলো ভোগ করতে না পারলে মাটিতে মিশে যাবে। আমাদের পাথর রেখে ভারত থেকে এলসি পাথর এনে মোদীর ব্যবসাবৃদ্ধির কোনো মানে হয় না। আমরা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, যত দ্রæত সম্ভব পাথর কোয়ারি সচল করে দিন, অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
বক্তব্য রাখেন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হুসাইন, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, চতুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, জমিয়ত নেতা ফরিদ উদ্দিন কয়েছ, মাওলানা রফিক আহমদ, যুবনেতা আবুল হাসানাত, সুলতান মাহমুদ, সুফিয়ান সাদাত, ছাত্রনেতা আবু তালহা তোফায়েল, মাওলানা কাওছার আহমদ, নিজাম উদ্দিন, ইকরামুল হক জাবের, আব্দুল্লাহ মাহফুজ, মারুফ ও আব্দুর রহমান প্রমুখ।