দুই লাখ বিদেশি কর্মী নেবে জার্মানি

কাজির বাজার ডেস্ক

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে কর্মী সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। দীর্ঘদিন ধরে চলমান জনবল সংকট কাটাতে এবার আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে বার্লিন। যার ফলে ইউরোপের দুয়ারে প্রবেশের সুযোগ পেতে পারেন লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী। যেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ইউরোপের অন্যান্য দেশে কঠোর সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই এসব সুযোগ দিল জার্মানি।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মী সংকট কাটাতে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই অতিরিক্ত ২ লাখ দক্ষ কর্মী ভিসা প্রদান করবে দেশটি। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার জানান, দক্ষ তরুণরা জার্মানিতে আরও সহজে তাদের প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনা শেষ করত পারবে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা খুব দ্রæত এবং সহজেই জার্মানিতে তাদের কাজ খুঁজে নিতে পারবে।
২০২৩ সালে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার পেশাদার ভিসা ইস্যু করেছিল জার্মানি, চলতি বছর এই ভিসার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ১০ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদি সংকট সমাধানে ভিসাসংক্রান্ত নিয়মকানুন শিথিল করার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জার্মানিতে বিভিন্ন চাকরিতে ১৩ লাখ ৪০ হাজার পদ খালি রয়েছে। এই কর্মী ঘাটতি না থাকলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছরে আরও বেশি হতে পারতো বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। গত পাঁচ বছরে জার্মানিতে ১৬ লাখ চাকরি সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন বিদেশিরা।
ভাষার দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং কম বয়সের ভিত্তিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পয়েন্ট সিস্টেমে এক বছরের ভিসা দেবে জার্মানি। এজন্য ‘অপরচুনিটি কার্ড’ চালু করেছে দেশটি। এই কার্ডের কারণে পেশাজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা শিক্ষার্থীদের জার্মানিতে পড়ালেখা ও চাকরি খোঁজার সুযোগ বেড়েছে। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের মানুষরাও সরাসরি জার্মানিতে যেতে পারবেন এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারবেন।
দক্ষ কর্মী ভিসার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিয়েছে জার্মান সরকার। আগামী ২০২৫ সালে ২০ শতাংশ বাড়ানো হবে শিক্ষার্থী ভিসার পরিমাণ। ভবিষ্যতে তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে আশা

সিলেটে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিলেট প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, আশার কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমানের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। কর্মকর্তাগণ জানান, আশার প্রাতিষ্ঠানিক কর্ম-প্রয়াস চার দশকের বেশী সময় ধরে চলছে। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের বাইরেও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে তাদের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।
আশা বিশ্বের শীর্ষ আত্মনির্ভর ও স্ব-অর্থায়িত ক্ষুদ্রঋণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে কর্মকর্তারা বলেন, সিলেটে ১১৭টি ব্রাঞ্চ অফিসের মাধ্যমে ঋণ কর্মসূচিতে আশার ঋণ স্থিতির পরিমাণ ১ হাজার ১০ কোটি টাকা। এছাড়া, আশার শিক্ষা কর্মসূচি, স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে বলেও মতবিনিময় সভায় জানানো হয়। এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কর্মকর্তাগণ।
আশা সিলেট ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র ডিস্ট্রিক ম্যানেজার তৌফিক আহম্মেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আশার জুনিয়র এসিসট্যান্ট ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মো. বাহারুল ইসলাম ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় সিলেটের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত ৩০ জন সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশার সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশন্যাল ম্যানেজার মো. আমিরুল ইসলাম ও মো. সামছুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক ম্যানেজার আলা উদ্দিন আলী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ আশাজাগানিয়া

বর্তমান সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে রোববার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ভাষণ দেবেন, এ ঘোষণা শোনার পর সমগ্র জাতি অধীর অপেক্ষায় সময় গুনছিল। বর্তমান সরকার এ যাবৎ কী করেছে, আগামীর পরিকল্পনা কী, নির্বাচনই বা কবে হবে-এসব প্রশ্নের উত্তর চাচ্ছিল জাতি। প্রধান উপদেষ্টা তার আধঘণ্টার ভাষণে বিস্তারিতভাবেই এসব অনুসন্ধিৎসার মীমাংসা করেছেন। তিনি গত ১০০ দিনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রসঙ্গ টেনে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছে এবং সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে, সেসব কথাও বলেছেন তিনি। তবে ভাষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি ছিল সংস্কার সম্পর্কিত। বলেছেন, সংস্কার হয়ে গেলে খুব দ্রæতই নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই সংস্কার কমিশনগুলো তাদের সুপারিশমালা সরকারের কাছে পেশ করতে পারবে। তাদের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ক্রমাগতভাবে আলোচনায় বসা হবে। নির্বাচন কমিশনের সংস্কার খুব জরুরি বলেছেন তিনি। এই কমিশনের কোন কোন অংশ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, তার ভিত্তিতে নির্বাচনি আইন সংশোধন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে কিছু বলেননি সত্য; কিন্তু সংস্কার হয়ে গেলেই যে নির্বাচন হবে, তা স্পষ্ট করেছেন। এখন দেখার বিষয়, সংস্কার কার্যক্রম কবে নাগাদ শেষ হয়। প্রধান উপদেষ্টা এমন অঙ্গীকারও করেছেন, সংঘটিত সব হত্যার বিচার নিশ্চিত করা হবে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কেমন হতে পারে তার একটি আভাস পাওয়া গেছে। আশান্বিত হওয়ার অনেক কিছুই আছে তার ভাষণে। তবে এটা ঠিক, নির্বাচন ঠিক কবে হবে, এ নিয়ে জাতি কোনো সুস্পষ্ট ধারণা পায়নি। বলার অপেক্ষা রাখে না, অন্তর্র্বর্তী সরকার কোনো স্থায়ী সরকার নয়। দলীয় সরকারও পাঁচ বছরের বেশি স্থায়ী হয় না, যদি না দলটি পরবর্তী নির্বাচনেও বিজয়ী হয়। বর্তমান সরকার যেহেতু একটি রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছে এবং এসেছে সংস্কারের অঙ্গীকার নিয়ে, তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, দ্রæত সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। দেশের সাধারণ মানুষ পরপর তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তারা পছন্দের দলকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। রাজনৈতিক দলগুলোও চাচ্ছে যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই নির্বাচনে অংশ নিতে।
বর্তমান সরকারকে আমরা সবাই সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে সাধারণ মানুষ যেসব সমস্যায় ভুগছে, সেগুলোর প্রতি সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্র খুব নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। সরকারের উচিত হবে, এসব ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে দেশবাসীকে সরকারের প্রতি আরও আস্থাশীল করে তোলা।

শিক্ষক সংকটে গোয়াইনঘাটের দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঠদান ব্যাহত

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট

সরকারি নথি অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে শিশুর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানবিক ও নান্দনিক বিকাশ সাধন এবং তাদের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করা। কিন্তু সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নবগঠিত বিছনাকান্দি ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেষা জনপদের ১৩ নং দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে তা যেন অকার্যকর। এতে করে মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রায় আড়াই শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম।
শিক্ষক সংকট নিরসনের আবেদন করা হলেও তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষক সংকট দূর করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিশ্চিতের দাবি অভিভাবকসহ স্থানীয় সচেতন মহলের।
সোমবার বেলা ৩টায় বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত রয়েছেন। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীতে শিক্ষক থাকলেও পঞ্চম শ্রেণীতে কোন শিক্ষক নেই।
শিক্ষক নেই কেন জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের স্কুলে স্যার ও ম্যাডাম মাত্র দুইজন, এজন্য আমাদের ক্লাসে স্যার নেই।
এ সময় আরও জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা। বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সমস্যা না থাকলেও শিক্ষক স্বল্পতার কারণে গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষাদান করা সম্ভব হয়ে উঠছে না বলে জানান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: সাদিকুর রহমান জানান, উপজেলার অজ পাড়া-গাঁয়ের মধ্যে বিদ্যালয়টি অবস্থিত হলেও পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক মÐলী ও অভিভাবকদের আন্তরিকতার কারণে অত্র বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ভাল। প্রায় আড়াইশো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করে।
বিদ্যালয়টিতে ৬ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বিদ্যালয়ে মাত্র ৩ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন।
এরমধ্যে একজন শিক্ষক মাতৃকালীন ছুটিতে রয়েছেন। বর্তমানে ২ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করতে আমাদের খুবই কষ্ট করতে হয়। প্রতি শিফটে একসাথে তিনটি করে ক্লাস থাকলেও ২ জন শিক্ষক দিয়ে এত শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো কষ্টসাধ্য। আমরা বার বার শিক্ষা অফিসে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন নিবেদন করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবেদা আক্তার জানান, আমাদের ক্লাসে প্রায় সময় স্যার থাকেন না, স্যাররা অন্য ক্লাসে ক্লাস নেন। প্রতিদিন আমাদের ৬ টি বিষয়ের উপর ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও স্যাররা তিন-চাঁরটার উপরে ক্লাস নিতে পারেন না। এতে করে আমাদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। অপর আরকে শিক্ষার্থী আক্ষেপের সাথে বলেন, সামনেই আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা, কিন্তু এখনো আমাদের বইয়ের পড়া শেষ হয়নি। পড়া শেষ না হলে আমরা কিভাবে পরীক্ষা দিব?
অভিভাবক শাহাবউদ্দিন বলেন, সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত প্রাক প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাস চলে। ১২টা থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস চলমান থাকে। এক সাথে তিনটি শ্রেণিকক্ষ চলমান থাকলে দুজন শিক্ষক কিভাবে ক্লাস করান? শিক্ষক সংকটের কারণে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে, এর দায়ভার কে নিবে? আমাদের কোমলমতি সন্তানদের সুশিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দ্রæততম সময়ের মধ্যে দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাহিদা মত শিক্ষক দেওয়ার জন্য শিক্ষা অফিসের প্রতি আহŸান জানাই।
গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও দমদমা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক হারুন অর রশিদ বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক, নান্দনিক, আধ্যাত্মিক, ও আবেগিক বিকাশ সাধন এবং তাদের দেশাত্মবোধক, বিজ্ঞানমনষ্কতা, সৃজনশীল ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করা। কিন্তু এই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকট থাকায় তা বাস্তবায়ন করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।
কোন শিক্ষকের পক্ষে এক টানা ক্লাস নেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়, এর মধ্যে আবার এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে দৌড়াদৌড়ি করে পাঠদান করানো। অত্র এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণে দ্রæত ব্যবস্থা নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা উচিত বলে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রতুল চন্দ্র সরকার বলেন, দমদমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমরা অবগত। যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ ও সীমান্তে স্কুলটির অবস্থান হওয়ায় কোন শিক্ষকই সেখানে যেতে রাজি হচ্ছে না। বিদ্যালয়টির চাহিদা মত শিগগিরই শিক্ষক নিয়োগ দিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

‘এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হচ্ছে’

কাজির বাজার ডেস্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মানবদেহে ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে অনেক সময় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হচ্ছে। তিনি বলেন, তার চেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য হলো আমরা যে এন্টিবায়োটিক খাচ্ছি, তা আবার পরিবেশে ফিরে যাচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে কেউ ভাবছে না, এই যে ভাববার বিষয় তা আমাদের ঠিক করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) জনসচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪’-উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফরিদা আখতার। ফরিদা আখতার বলেন, ওয়ান হেলথ বলতে যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্রীয়ভাবে রাখা হয় তাহলে শুধু তাদের বিষয় নিয়েই কাজ করবে। ওয়ান+ওয়ান=ওয়ান হবে, না ওয়ান বলতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অথবা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বুঝাবে তা ভেবে দেখা উচিৎ। তিনি বলেন, এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপারে অত্যন্ত দেরি হয়েছে, এখনই কাজ করার সময়-প্রতিটি মুহ‚র্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবিষয়ে বোঝার ক্ষেত্রে এখনও ঘাটতি রয়েছে। এখন সময় এসেছে দায়িত্ব নেয়ার, কোনো কাজ কোথায় করবো তা জেনে বুঝে করা অতীব জরুরি।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে এর অর্থ এই নয় যে স্বাস্থ্যের দিক থেকে আমরা অনেক উন্নত। আমরা বেঁচে আছি তবে ভালোভাবে বাঁচছি না। সুস্থ্যতার জন্য ওষুধের ওপর নির্ভর নয় বরং ওষুধ ছাড়া আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হবে। এখনও অনেক মানুষ অসুখ হলেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হওয়ার ফলে মানুষ তথা রাষ্ট্রের খরচ বাড়ছে আর মানুষ অসুস্থ থেকে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য কথাতেই আপত্তি রয়েছে, তার মানে খাদ্য নিরাপদ নয়-খাদ্য নিরাপদ হতে হবে। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে প্রমাণ হয়েছে তরুণরাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। খাদ্যকে অনিরাপদ করার জন্য বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে, তা আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না-এখানে আমাদের কাজ করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশকে সুস্থ রাখতে তরুণ ছাত্রদের এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
বক্তারা প্রাণিজাত খাদ্য উৎপাদন ও চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ উত্তম খামার চর্চায় খামারীকে উৎসাহ প্রদান, এন্টিবায়োটিক প্রত্যাহার সম্পর্কে খামারীকে সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, প্রেসক্রিপশনের সময় সঠিক এন্টিবায়োটিক নির্বাচন, মাত্রা, ব্যবহার ও প্রয়োগবিধি নিশ্চিত করতে হবে। জীবাণু সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে এন্টিবায়োটিক নির্বাচন করা এবং সম্ভব হলে এন্টিবায়োটিকের বিকল্প ব্যবহার করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি

কাজির বাজার ডেস্ক

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কর্তৃক অধ্যাদেশটি সোমবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মুদ্রণ ও প্রকাশনা শাখা থেকে (অধ্যাদেশ নং ১১, ২০২৪) বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। অধ্যাদেশ : যেহেতু সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে তা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে আশু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে। সেহেতু বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন। ‘এই অধ্যাদেশ সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪ নামে অভিহিত হবে। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, রাষ্ট্রপতির আদেশ, অধ্যাদেশ, বিধিমালা, প্রবিধানমালা, সংবিধি, আদেশ, নির্দেশ বা আইনগত দলিলে যা কিছুই থাকুক না কেন- (ক) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।
(খ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতা বহিভর্‚ত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।
(গ) স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের চাকরির যে সকল পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বা অনূর্ধ্ব ৩২ বছর উল্লেখ রয়েছে, সর্বত্র উক্ত বয়সসীমা ৩২ বছর প্রতিস্থাপিত হবে।
(ঘ) প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগসমূহ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বা ক্ষেত্রমাত, প্রবিধানমালা বহাল থাকবে।
এই অধ্যাদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই অধ্যাদেশের বিধানের সাথে সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্তরূপ অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দূর করতে পারবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের যৌক্তিক বয়সসীমা নির্ধারণের বিষয়ে সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই দিন ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সেখানে সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর এবং সিভিল সার্ভিসের আওতা বহিভর্‚ত সকল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার জন্য নির্ধারণ করা হয়।
এই অধ্যাদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোন অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই অধ্যাদেশের বিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্তরূপ অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দূর করতে পারবে।

সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত থেকে ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকার চোরাচালান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির পৃথক অভিযানে এসব ভারতীয় চোরাচালান জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর দায়িত্বাধীন সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় শাড়ী, কাশ্মীরি শাল, ক্লপ জি ক্রিম, মাই ফেয়ার ক্রিম, শীতের কম্বল, সাবান, অলিভ ওয়েল, রসুন, মদ, বিয়ার, বিড়ি এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী নৌকাসহ অন্যান্য ভারতীয় পণ্য আটক করে। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৬২ হাজার ১৭০ টাকা।
এবিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.হাফিজুর রহমান, পিএসসি বলেন, উর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়। আটককৃত চোরাচালানী মালামাল সমূহের বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেটের সদস্য সংগ্রহ শুরু

 

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটি নতুন সদস্য আহবান করেছে। আগ্রহীরা আগামী ২১ নভেম্বর থেকে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। পূরণ করে ফরম জমা দিতে পারবেন ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহীরা এসোসিয়েশনের বন্দরবাজারস্থ মধুবন সুপার মার্কেটের ৫ম তলার কার্যালয় থেকে এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম (০১৭১৮৫৩৮০৪৫) সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন। -বিজ্ঞপ্তি

 

বড়লেখায় দুই দিনে পরোয়ানাভুক্ত ৭ আসামী গ্রেফতার

বড়লেখা সংবাদদাতা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে জিআর ও সিআর মামলায় এক নারীসহ ওয়ারেন্টভুক্ত ৭ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার দোহালীয়া গ্রামের সমছ উদ্দিনের ছেলে আহমদ আলী রুহুল, কাশেমনগর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আলী নেওয়াজ, বিওসি কেছরীগুল গ্রামের জয়নাল আবেদীন, তার স্ত্রী বদরুন্নেছা, মহদিকোনা গ্রামের মৃত মাহজ মিয়ার ছেলে মনু মিয়া ও তার ছেলে উজ্জল আহমদ, একই এলাকার ইয়াছিন আলীর ছেলে জবিল আহমদ।
বড়লেখা থানার ওসি মো. আবদুল কাইয়ূম মঙ্গলবার দুপুরে জানান, পৃথক অভিযানে এক নারীসহ ওয়ারেন্টভুক্ত ৭ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে বিধি মোতাবেক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কানাইঘাটে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে স্যানসিটাইজেশন সভা অনুষ্ঠিত

 

সিলেটে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরবর্তী করণীয় বিষয়ক স্যানসিটাইজেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তাগণ বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা নাসরীন। সভায় আরো বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সূত্রধর, উপজলা সমাজসেবা অফিসার মো. জিলানী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা নাসরীন বলেন, বন্যাপ্রবণ এলাকাখ্যাত কনাইঘাট উপজেলার জনসাধারণ প্রতিনিয়তই বন্যার সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। বছরে এক বা একাধিক বন্যায় এ এলাকার ঘর-বাড়িসহ ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ে। তবে এ সকল ক্ষতি কমিয়ে আনা যায় যদি বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি থাকে। আর সে লক্ষ্যেই জেলা তথ্য অফিস, সিলেটের এ আয়োজন। অংশগ্রহণকারীদের অনুষ্ঠানে আহরিত তথ্যসমূহ সকলের নিকট পৌঁছানোরও আহŸান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, বন্যার তিনটি পর্যায় থাকে, বন্যার পূর্বে, বন্যাকালীন এবং তৃতীয়টি হচ্ছে বন্যাপরবর্তী করণীয়- এ বিষয়গুলো সকলকে অবহিত করতেই এ আয়োজন। বন্যায় যাতে প্রাণহানি না ঘটে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে সংশ্লিষ্টদের আহŸান জানান তিনি। দুর্যোগকালে সচেতনতামূলক এ বার্তাসমূহ যদি তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় তাহলেই এ আয়োজন স্বার্থক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জেলা তথ্য অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. লেবাছ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি