ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে শ্রমিকলীগের সম্মেলনে পরিচয় করিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে আ’লীগ ও যুবলীগের দু-গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলুর ছোট ভাই নাবেদুর রহমান চৌধুরী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১১। এঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে, সোহেল গ্র“পের ইউসুফ চৌধুরী (৩০) ও জসিম মিয়া (২০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাতাফুর রহমান সোহেলসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনকে মামরায় আসামী করা হয়েছে। এ দিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সুহেল পক্ষ থেকে থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে একটি সুত্রে জানা যায়। এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধিসহ পূর্ব ঘোষিত ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মুরসালিন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামীকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে শ্রমিকলীগের সম্মেলন চলাকালিন সময়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সুহেল এর পরিচয় করিয়ে না দেয়ায় সম্মেলনের মধ্যে সুহেল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে আলতাফুর রহমান সোহেল চুরিকাঘাতসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন। পরবর্তীতে সুহেল এর সমর্থকরা গোয়ালাবাজারে অবস্থিত নাজলু চৌধুরী’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিগত অফিস ও অফিসের সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, অতিরিক্ত পুলিশ ও ডিবি পুলিশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও উপজেলার গোয়ালা বাজারসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।