কাজিরবাজার ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতি বরাবর ৪৯ ধারায় আবেদন লিখেছেন। এর অর্থ আপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তবে তা দেখানো যাবে না।
গতকাল রবিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
বিদেশি মদদদাতাদের খুশি করতে প্রাণভিক্ষা নিয়ে সাকা ও মুজাহিদের পরিবার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, দুজনই প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। এ নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সালাউদ্দিন ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরে বিদেশি কোনো চাপ ছিল না। তবে কয়েকটি সংস্থা চেষ্টা করেছে। সরকার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করেছে। এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের কিছু করার নেই।
সালাউদ্দিন ও মুজাহিদ সংবিধানের ৪৯ ধারায় প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রপতি তাদের প্রাণভিক্ষা নাকচ করেছেন। এরপর আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”
সালাউদ্দিন ও মুজাহিদ তাদের আবেদনে কী লিখেছেন এবং তা দেখা যাবে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, সাকা চৌধুরী ইংরেজিতে এবং মুজাহিদ বাংলায় আবেদন লিখেছেন। তবে দুজনে ৪৯ ধারায় লিখেছেন। তার মানে কী? সেখানে (৪৯ ধারা) বলা হয়েছে, আপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রর্থানা করা। তাদের আবেদন আমরা দেখাতে পারি না। তা দেখাতে হলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগে।”
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের বিচারে বিদেশি কোনো চাপ ছিল না বলে জানান মন্ত্রী।