গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
জাফলং পাথর কোয়ারির বাঁশ কলে অবরোধ প্রত্যাহার হলেও চলছে ধর্মঘট। আদায় হচ্ছে না রয়েলিটি, বিপাকে ইজারাদারা, রয়েলিটি না দিতে শ্রমিকরা অটল। কোটি টাকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে সরকার ও ইজারাদারা।
জানা গেছে জাফলং পাথর কোয়ারি থেকে উত্তোলিত পাথর ও বালু মিশ্রিত পাথর থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্য চলতি বছরের ২২ মার্চ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ৮টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইজারা প্রদান করে। এ সময় সরকার কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত ১ টাকা ৯৬ পয়সা হারে রাজস্ব আদায় করা হতো। পরবর্তীতে ২৮ মে ২০১৫ইং তারিখে সরকার কর্তৃক আদায়যোগ্য রাজস্বের হার ১০% বৃদ্ধি করে ১ টাকা ৯৬ পয়সার স্থলে ৪ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এরপর থেকে ট্রাক মালিক ও চালক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারের পূর্ব নির্ধারিত রাজস্ব প্রতি ঘনফুট পাথর ও বালু থেকে ১ টাকা ৯৬ পয়সার অতিরিক্ত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলো। ট্রাক শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের পূর্ব নির্ধারিত রাজস্ব বহাল রাখার দাবিতে ইতিপূর্বে তারা একাধিকবার অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেছে। এর প্রেক্ষিতে গত ২/৩দিন যাবত পাথর বোঝাই ট্রাক নিয়ে রয়েলিটি না দিয়ে যাতায়াত শুরু করে। এতে শ্রমিক ও ইজারাদারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা এমনকি হাতাহাতিও হয়ে থাকে। গত সোমবারে বাসকল এলাকায় ট্রাক চালক শ্রমিকরা অবরোধ করে এবং রাতে তাহা প্রত্যাহার করে। কিন্তু রাত থেকে অঘোষিত ধর্মঘট করে থাকে এতে কোন প্রকার পাথর বাহী ট্রাক যাতায়াত করেনি। বিদায় রাজস্ব আদায় থেকে সরকার ও ইজরিাদাররা বঞ্চিত রয়েছে। ইজারদার বশির মিয়া জানান আমরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রাজস্ব জমা দিয়ে বৈধভাবে ইজারা নিয়েছি। কিন্তু ট্রাক সংগঠনের শ্রমিকরা ইজারা প্রদান করতে অন্যায় ভাবে বাধা সৃষ্টি করছে এবং বর্ধিত হারে কোন প্রকার রয়েলিটি আদায় করতে পারিনি। তাই একদিকে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত তেমনি সরকার ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের জাফলং শাখার উস্তার মিয়া জানান আমরা দীর্ঘদিন যাবত ১ টাকা ৯৬ পয়সা হারে রাজস্ব প্রদান করে আসছি। ৪ টাকা ৮০ পয়সা বৃদ্ধি করায় আমারা বৃদ্ধিকৃত রয়েলিটি দিতে অনিচ্ছুক। আমাদের অবরোধ অব্যাহত আছে এবং সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে।