প্রতিবছর জানুয়ারী-ফেব্র“য়ারী মাসে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হলেও এবার নভেম্বর মাসেই মশক নিধনের ‘বিশেষ অভিযান’-এ নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। বিশেষ এই অভিযানের আওতায় সিলেট মহানগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা, ডোবা-পুকুর, জলাশয়ে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এবার মশার উৎপত্তিস্থলকে ধ্বংস করার টার্গেট নিয়েই বিশেষ এই অভিযান চালাচ্ছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ইতোমধ্যে একাধিক ওয়ার্ডে ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মহানগরীর ১৮, ১৯, ২০ নম্বর ওয়াডের্র সকল নালা-নর্দমা, ডোবা-পুকুর, জলাশয়সহ অন্যান্য সম্ভাব্য মশার উৎপত্তিস্থলে মশক নিধন অভিযান চালানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, ইপিআই সুপার ভাইজার ভুপাল রঞ্জন চন্দ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আলবাব আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষন পরিদর্শক মো: জাবেরুল ইসলাম, মোহাম্মদ উল্লাহ বুলবুল, কবির আহমদ।
রবিবার বিকেল ৪টা থেকে মহানগরীর চৌহাট্টা থেকে দরগাগেইট পর্যন্ত এলাকায় ফগার মেশিনের সাহায্যে মশক নিধন অভিযানও পরিচালনা করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
এছাড়াও শনিবার (৭ নভেম্বর) ১০ ও ১১ ও ১২ওয়ার্ডের শেখঘাট, ভাঙাটিকর, কুয়ারপাড়ের সকল ড্রেন নালা মসজিদের আশপাশ, নবাবরোডের সকল ড্রেন নালা, জিতু মিয়ার পযেন্টে আশপাশ ড্রেন, বাগবাড়ী এতিমখানার ভেতর, ভাতালিয়া এলাকার সকল ড্রেন, সরসপুর এলাকার সকল ড্রেন, ডাবা-পুকুর, জলাশয়সহ অন্যান্য সম্ভাব্য মশার উৎপত্তিস্থলে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়।
এদিকে এই কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে সরেজমিন পরিদর্শনকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, ‘আগাম’ এই অভিযান চালানোর পাশাপাশি মশার উৎপত্তিস্থল ও বংশবৃদ্ধি হতে পারে এরকম সম্ভাব্য জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি মহানগরীর সম্মানিত নাগরিকদেরকেও নিজেদের বাড়ি ও আশাপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অনুরোধ জানিয়ে এনামুল হাবীব বলেন, ‘শুধুমাত্র ওষুধ স্প্রে করলেই মশক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, বাড়ির আশেপাশে যাতে মশার বংশবৃদ্ধি না ঘটে সেজন্য নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।’ বিজ্ঞপ্তি