দক্ষিণ সুরমায় ইউপি সদস্যের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ॥ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট, আহত ৬

35

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলফু মিয়ার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। গত শনিবার রাত ২টার দিকে তেলীবাজার এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী ডাকাতরা হানা দিয়ে এ সময় পরিবারের ৬ সদস্যকে গুরুতর আহত করে নগদ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আহতদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন ইউপি সদস্য আব্দুল মুমিন আলফু মিয়া (৭০), স্ত্রী রিনা বেগম (৫০), ছেলে রুবেল আহমদ, (২৫) কাইয়ুম (৩২) রাইয়ুম (২৮) মাছুম আহমদ (২০)। তবে আলফু মিয়া ডাকাতদের সনাক্ত করতে পেরেছেন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলফু মেম্বর গত বৃহস্পতিবার বিক্রিকৃত জমির ৫ লাখ টাকা শুক্রবার বিকালে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার ভাই মতিন মিয়ার ঘরেও নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিলো। রাত ১টার দিকে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত আলফু মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়। প্রথমে ঘরে প্রবেশের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু দরজা না খোলায় ডাকাতরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। সাথে সাথে বেঁেধ ফেলে আলফু মিয়া ও পরিবারের লোকজনকে। এক পর্যায়ে আলফু মিয়া ও তার ছেলেরা ডাকাতদের শনাক্ত করায় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আলফু মিয়া ও তার ছেলে রুবেল, কাইয়ুম, রাইয়ুম, মাছুমকে আহত করে ঘরে রাখা নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণ ও ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। সাথে সাথে ডাকাতরা হানা দেয় আলফু মিয়ার ভাই মতিন মিয়ার ঘরে। তার ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ ৭০হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণ ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ সময় পিছন দিক থেকে বাড়ির লোকজন ডাকাত-ডাকাত বলে চিৎকার করলেও তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ডাকাতরা (ঢাকা মেট্রো-চ-১৩ ৪২৭২) নং নোহা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে বঙ্গবীর রোডের যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে একটি টেম্পুর সাথে ধাক্কা খেলে গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পালিয়ে যায়। গতকাল সকালে খবর পেয়ে মোগলাবাজার থানা পুলিশ দক্ষিণ সুরমা থানার সহযোগিতায় গাড়িটি উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ গাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র’সহ কিছু জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউপি সদস্য আলফু মিয়া মেম্বার জানান, ডাকাতদেরকে আমরা সনাক্ত করেছি। পুলিশ একটু অগ্রনী ভুমিকা ও সহযোগীতা করলে তাদেরকে আটক ও মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোগলাবাজার থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ডাকাতদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।