ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারি শিক্ষক অফিস সহকারিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।
জানা যায়, সদর উপজেলার আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান অফিস সহকারি দিপক দাসকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। তার সাথে সহযোগিতা করেন প্রধান শিক্ষকের এলাকার সহকারি শিক্ষক মফিজুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের আয়া কুলসুম বেগম তাদের বেপরোয়া আক্রমন থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যান্য শিক্ষকের হস্তক্ষেপে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির অবসান হয়। তখন স্কুলে এসএসসি পর্যায়ের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা চলছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি তাৎক্ষণিক জরুরী বৈঠকে বসে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সালিশ বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে এই প্রধান শিক্ষক তার অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য ছাত্র, সহকর্মী ও অভিভাবক দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ নজরুল বখত মোবাইল ফোনে জানান হেড মাষ্টার ও অফিস সহকারির মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা মীমাংসা ও দোষী ব্যক্তিকে সমুচিত শাস্তি প্রদান করে সহকারি প্রধান শিক্ষক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের দায়িত্ব দিয়েছি।
প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন পিওন রানু পরিচয়ে এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে জানান স্যার স্কুলে ফোন রেখে বাইরে গেছেন।