জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জের বারঠাকুরি ইউনিয়নের খারিজা গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর স্ত্রী সোনাবান বিবি (৭০) মঙ্গলবার রাতে খুন হন। কি কারণে এ বৃদ্ধাকে উপর্যুপরি আঘাতে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা রহস্য ঘেরা এ ঘটনার প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
সোনাবান বিবি হত্যার ঘটনায় তার ছেলে মানই মিয়া (মালু) বাদী হয়ে ২৫ মার্চ মুহাম্মদপুর গ্রামের নাজু আহমদ, তার ভাই শরীফ উদ্দিন, হাতিডহর গ্রামের সফিক উদ্দিন, তিরাশী গ্রামের চিকন আলীকে আসামী করে জকিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে তিনি উলে¬খ করেন মাকে নিয়ে পৈত্রিক বাড়ী খারিজা গ্রাম থেকে তিরাশী গ্রামের বসতবাড়ীতে যাচ্ছিলেন। বাড়ীর পুকুর পাড়ে রাত ১টায় পৌছামাত্র পূর্ব শত্র“তার জেরে খুনীরা ধারালো অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে উপুর্যপুরি কুপিয়ে জখম করে। পরদিন সকালে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঐদিন থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।
সোনাবিবিকে রাত ১ টায় কুপিয়ে জখম করার পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত পুকুর পাড়ে পড়ে থাকলেও তাকে উদ্ধারে নিকট আত্মীয়সহ কেউই এগিয়ে আসেনি। এমনকি তার সাথে থাকা ছেলে মানই মিয়া মালু মাকে উদ্ধারে না এসে তার পৈত্রিক বাড়ী পাড়ি দিয়ে ৮ কিলোমিটার দুরে হাসিতলা গ্রামে অবস্থান করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রহস্য দেখা দিয়েছে। ঘটনার সময় তিরাশী গ্রামসহ আশপাশের কেউই এ বিষয়ে কিছু না জানা ও কোন শোর চিৎকার না শুনাটাও রহস্যকে আরোও ঘনিভূত করেছে। রাত ১টায় ঘটনা ঘটলেও পরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত সোনাবান বিবি কথা বলছিলেন। পার্শ্ববর্তী মসজিদে ফজরের নামাজে আসা মুসলি¬গণ সোনাবান বিবিকে উদ্ধার করলেও বাদীর ঘরে থাকা স্ত্রী, শালিকা এ বিষয়ে কিছু না জানাটাও রহস্য ঘেরা! মুসল্লি¬গণ মালুর নাম্বারে ফোন করলে হাসিতলা গ্রামের জনৈক ব্যক্তি ফোন ধরে কথা বলাটাও রহস্য জনক বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নিযুশ কান্তি জানান, সঠিক তথ্য উদঘাটনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হচ্ছে। জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।