কমলগঞ্জের মুন্সীবাজারে দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

34

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
একটি পূর্ব ঘটনার জের ধরে ও মৎস্য বিক্রেতাদের কাছে নাজেহাল হওয়ার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুন্সীবাজারে দুই পক্ষের মাঝে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ব্যবসায়ী সমিতি সাবেক সভাপতির প্রতিষ্ঠানে মৎস্য ব্যবসায়ীদের তান্ডবের জেরে বিক্ষুব্ধ জনতার পাল্টা হামলায় মাছ বাজার তছনছ করা হয়। মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়কে এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ঘন্টা খানেক মুন্সীবাজার রণক্ষেত্র থাকার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনকে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মুন্সীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সাজিম আহমদ তরফদারের এক কর্মচারী ইব্রাহীমকে তুচ্ছ ঘটনায় নাজেহাল করে জগলু নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ কিছু লোক গিয়ে ওই মৎস্য ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালায়। জবাবে মৎস্য ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে সাজিম আহমদ তরফদারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ আরো সংঘবদ্ধ হয়ে মাছ বাজারে হামলা চালিয়ে তছনছ করে ফেলে ও জগলু মিয়া ও সেলিম মিয়া নামে দুইজন মৎস্য ব্যবাসায়ী আহত হন। তাদেরকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীর গ্রাম শ্রীনাথপুর এলাকার লোকজন আতুরের ঘর এলাকায় অবরুদ্ধ করে রাখলে মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়কে এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুন্সীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সাজিম আহমদ তরফদার বলেন, কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠানে এসে বাকীতে সামগ্রী নিতে না পেরে  দোকানের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার)-কে নাজেহাল করে। ফলে উত্তেজিত এলাকাবাসী মাছ বাজারে গিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীদের উপর চড়াও হয়েছিল। জবাবে আবার মৎস্য ব্যবসায়ীরা তার (সাজিমের) প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
মৎস্য ব্যবসায়ী ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য আক্তার মিয়া জানান, সাবেক সভাপতি সাজিম আহমদ তরফদার মৎস্য ব্যবসায়ী জগলু মিয়াকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন এবং পরে মাছ বাজার তারা তছনছ করে।
সোমবার আলাপকালে মুন্সীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি জুনেল আহমদ তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার রাতে মাছবাজারে হামলা চালিয়ে তছনছ করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশি সহযোগিতা নিয়ে  রাতে প্রাথমিকভাবে বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে লোকজনকে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। এ পরিস্থিতি সমাধানের জন্য রহিমপুর ও মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব নেন।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখন কোন সুরহা হয়নি।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বদরুল ইসলাম দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মাছ বাজার তছনছের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মুন্সীবাজারে কোন প্রকার উত্তেজনা নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরাই সামাজিকভাবে সালিশ বৈঠকে এর সমাধান করা হবে।