ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
বালাগঞ্জে বিয়ের দােিবতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা ছদ্ম নাম জনি পাঁচ দিন অনশন করার পর গতকাল শনিবার সকালে গ্রামের সালিশান ব্যক্তিবর্গরা জোর করে প্রেমিকা জনিকে তার মায়ের কাছে তুলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সালিশান ব্যক্তিরা জনির মাকে বলেছেন কিছুদিনে মধ্যে মেয়ের ক্ষতিপূরণ বাবত চেরাগ আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হবে। এই টাকা দিয়ে মেয়েকে অনত্র বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করার। অবশেষে গতকাল শনিবার বিকালে প্রেমিকার মা বাদি হয়ে এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার নওশিরপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের ছদ্ম নাম জনির সাথে গত ১ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই গ্রামের তইমুছ আলীর পুত্র সাদ্দাম হোসেনের। এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের অভিভাবকরা জানতে পেরে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশ বৈঠক বসে। প্রেমিক সাদ্দামের ভাই চেরাগ আলী কোন ভাবেই এ সম্পর্ককে মেনে না নেয়ায় বুধবার সকালে প্রেমিকা জনি বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাদ্দাম হোসেন বাড়িতে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে গ্রামের সালিশ ব্যক্তি বর্গরা জনিকে সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে রেখে এব্যাপারে দফায় দফায় বৈঠক করেন। অবশেষে শনিবার সকালে প্রেমিকের ভাই চেরাগ আলীর সমর্থনকারী সালিশ ব্যক্তিরা জোরপূর্বক জনিকে তার মায়ের কাছে দিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে জনির মা বাদি হয়ে গতকাল শনিবার বিকালে বালাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জনির মা দিলা বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমরা গরীব বলে আমাদের কোন মান-সম্মান নেই। গত পাঁচ দিন ধরে আমার মেয়েকে সাদ্দামের বাড়িতে রাখার পর শনিবার সকালে গ্রামের রফাত উল্যা, বাবলা, ইসলাম খান গংরা আমার মেয়েকে জোরপূর্বক আমার কাছে রেখে গেছেন। যাওয়ার সময় তারা বলেছেন ক্ষতিপূরণ হিসাবে কিছু দিনের মধ্যে চেরাগ আলীর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায় করে দেয়া হবে। এই টাকা দিয়ে মেয়েকে অনত্র বিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এ ব্যাপারে কাউকে জানালে ভালো হবে না বলে হুমকি দিয়ে গেছেন।
স্থানীয় ইউ/পি সদস্য শাহজান আলী ও সাবেক সদস্য আনহার আহমদ বলেন মেয়েটি সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি আসার পর আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রেমিক সাদ্দাম হোসেনকে তার ভাই চেরাগ আলী বৈঠকে উপস্থিত না করতে পারায় বিষয়টি শেষ হয়নি। পাঁচদিন পর শনিবার গ্রামের সালিশান ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন মিলে ক্ষতিপূরণ বাবত কিছু টাকা দেওয়া হবে মর্মে জনিকে তার মায়ের কাছে দিয়ে এসেছেন বিষয়টি আমরা শুনেছি।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।