হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগ পন্থী তিন আইনজীবীকে জামিন না দেয়ায় ॥ আদালতে তুলকালাম

39

স্টাফ রিপোর্টার :
হত্যা মামলায় আওয়ামী আইনজীবীদের জামিন না দেয়ায় লাঞ্ছিত হয়েছেন বিচারক ও হাকিম। পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মার খেয়েছেন এক সাংবাদিক। মঙ্গলবার সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪র্থ আদালতে থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা আব্দুল আলী হত্যাকান্ডে দাযের করা মামলায আসামী করা হয় সিলেট জেলাবারের তিন আওয়ামী আইজীবীকে। তারা হলেন এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, এডভোকেট আজমল আলী ও এডভোকেট হাবিবুর রহমান ভুট্টো। মঙ্গলবার সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও আমলী ৪র্থ আদালতে এই তিন আইনজীবীর জামিন প্রার্থনা করেন অন্য আইনজীবীরা। বিচারিক হাকিম কুদরত ই খোদা ওই তিন আইনজীবীর জামিন নাকচ করেন। জামিন না দেওয়ায় সিলেট জেলা বারের আওয়ামী আইনজীবীরা আদালতের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় তারা সবকটি আদালতের বিচারক ও হাকিমদের এজলাস থেকে নামিয়ে দেন এবং কোর্ট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আদালত কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। আদালতে তালা ঝুলানোর ছবি তুলতে গিয়ে দৈনিক উত্তরপূর্বের ফটো সাংবাদিক নুরুল ইসলাম আওয়ামী আইনজীবীদের হাতে চরমভাবে লাঞ্ছিত হন। আইনজীবীরা তাকে মারপিট করে তার শরীরে ও চোখে গুরুতর জখম করে তার ক্যামেরা কেড়ে নেন। সহকর্মী সাংবাদিকরা পরে আহত নুরুল ইসলামকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান।
গত বছরের ২৪ অক্টোবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আলী খুন হন। খুনের এ ঘটনার নেপথ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সিলেট জেলাবারের এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, এডভোকেট আজমল আলী  ও এডভোকেট হাবিবুর রহমান ভুট্টো ছিলেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পরে তারা  হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়ে আমলী গত ৩মার্চ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন নাকচ করে জেলে প্রেরন করেন। সোমবার সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চাইলে জেলা জজ জামিনের এখতিয়ার আমলী আদালতের বলে তা নিম্ন আদালতে প্রেরন করেন। মঙ্গলবার নিম্ন আদালতে জামিন নাকচ হওয়ায় অনাকাক্সিক্ষত এসব ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সিলেট আদালতে বিচার কার্য ব্যাহত হয়েছে এবং আদালতপাড়ায় থমথমে বস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় জেলাবারের আইনজীবীরা পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলাবারে আইনজীবীদের বৈঠক চলছিল।
আইনজীবীদের জামিন না দেয়ায় কোর্ট বর্জনের সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সামিউল হক সাংবাদিকদের জানান, জেলাবরের আইনজীবীদের নিয়ে সমিতির বৈঠক চলছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।