গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাট উপজেলার অসহায়, ভূমিহীন ও অসচ্ছল ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান প্রকল্পের আওতায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার উপহার স্বরূপ গোয়াইনঘাটে ১১ জন অসহায় ভূমিহীন ও অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পাকা ঘর পেল। গেল বছরের ৯ই সেপ্টেম্বর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং চলতি বছরের মার্চ মাসের ১ম সপ্তাহে এর কাজ সমাপ্ত হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। গোয়াইনঘাটের পাকা ঘর পাওয়া ১১ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। গোয়াইনঘাটে পাকা ঘর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের লেঙ্গুড়া গ্রামের রহমত উল্লাহ, ফয়জুর রহমান, রুস্তমপুর ইউনিয়নের কুরিখলা গ্রামের আব্দুল গণি, মকছুদুল আলম, বগাইয়াহাওড়ের ময়নুল হোসেন, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের সফির উদ্দিন, দেওয়ার গ্রামের মনির উদ্দিন, আলীরগাঁও ইউনিয়নের বুধিগাঁও হাওরের আব্দুল করিম, নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের আঙ্গারজুর গ্রামের ফিরোজ মিয়া, চলিতাবাড়ী গ্রামের মোঃ কাশেম আলী ও তোয়াকুল ইউনিয়নের লাকী গ্রামের মোঃ রহমত উল্লাহ।
আলাপ কালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান তার পাকা ঘর নির্মাণ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আর মুক্তিযুদ্ধের ৪৪ বছর পর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে শেখ হাসিনা আমাদের মত অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ করে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ নির্মাণ এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যথাযথভাবে গৃহগুলির কাজ সম্পাদনের জন্য গোয়াইনঘাটের ১১টি পাকা ঘর নিমার্ণের কাজ চলছে। শতভাগ ও সঠিক ভাবে কাজ সম্পাদনের জন্য আমরা নিয়মিত নির্মাণাধীন পাকা গৃহ পরিদর্শন করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি ভাবে গৃহ নির্মাণ আমার জানামতে কোন সরকারের এ প্রথম উদ্যোগ। আমরা অসহায়, ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তালিকা প্রেরণ করি। আমাদের তালিকা অনুযায়ী গোয়াইনঘাটে ১১টি গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় ও জেলা প্রশাসক মহোদয়কে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই।