স্পোর্টস ডেস্ক :
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৭৩ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ৪৪.৩ ওভারে ২৮৯ রানেই থেমে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ফলে, ৭৩ রানের জয় পেল ক্যারিবীয়রা।
ক্রিস গেইলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের নিচে চাপা পড়ে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে আসেন রেগিস চাকাভা এবং সিকান্দার রাজা।
বৃষ্টির কারণে ২.৩ ওভার হতেই থেমে যায় ম্যাচটি। সে সময় এক উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ১৮ রান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জেসন হোল্ডার এলবির ফাঁদে ফেলে চাকাভাকে সাজঘরে ফেরান।
বৃষ্টির পর পুনরায় খেলা শুরু হলে জিম্বাবুয়ের সামনে নতুন টার্গেট দাঁড়ায়। জিততে হলে ৪৮ ওভারে ৩৬৩ রান করতে হবে জিম্বাবুয়েকে।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে দলীয় ২৬ রানে মাসাকাদজাকে এলবি’র ফাঁদে ফেলেন জেরম টেইলর। আর দলীয় ৪৬ রানে সাজঘরে ফেরেন ২৬ রান করা সিকান্দার রাজা।
টেইলর আর উইলিয়ামসন মিলে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ের রানের চাকা। তবে ২১তম ওভারের প্রথম বলে স্যামুয়েলসের বলে উইকেটের পিছনে দিনেশ রামদিনের গ্লাভসে ধরা পড়েন টেইলর। দলীয় ১২৬ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ব্যক্তিগত ৩৭ রান করেন টেইলর।
২৮তম ওভারের পঞ্চম বলে হোল্ডারের বলে স্মিথের তালুবন্দি হন ৭৬ রান করা শেন উইলিয়ামসন। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান। টেইলর ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন উইলিয়ামসন। আউট হওয়ার আগে ৬১ বলে ৯টি চারে ৭৬ রান করেন তিনি।
এ ম্যাচে ক্রেইগ আরভিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক হাঁকান। দলীয় ২২৬ রানের মাথায় ক্রিস গেইলের বলে ৭টি চার আর একটি ছয়ে ৪১ বলে তিনি করেন ৫২ রান। আউট হওয়ার আগে আরভিন আর মাতসেকেনেরি মিলে ৫.৫ ওভার ব্যাট করে ৪৯ রান তোলেন।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে জাদু দেখান ক্রিস গেইল। নিজের আগের ওভারে আরভিনকে ফিরিয়ে পরের ওভারে তিনি সাজঘরে ফেরত পাঠান ১৯ রান করা মাতসেকেনেরিকে। জিম্বাবুয়ের দলপতি এলটন চিগুম্বুরা করেন ২১ রান। আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় সংগ্রহ করতে না পারলে ১৮৯ রানেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে দুই উইকেট হারিয়ে ৩৭২ রান। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার ডোয়াইন স্মিথ আউট হলে গেইল আর স্যামুয়েলস ৩৭২ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়ে দলকে অনণ্য এক উচ্চতায় তুলে দেন।
ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ক্যারিবীয় ব্যাটিং তারকা ক্রিস গেইল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ২১৫ রান করেন। এছাড়া বিশ্বকাপের নতুন ইতিহাস তৈরি করে গেইল ১৪৭ বলে ১০টি চার আর ১৬টি ছয় হাঁকিয়ে তার ইনিংসটি সাজান। এর আগে ৭৯ রান করে নয় হাজারি ক্লাবে নাম লেখান এ বাঁহাতি ড্যাশিং ওপেনার। এগারোতম বিশ্বকাপে নিজের প্রথম শতক হাঁকাতে গেইল ১০৫ বল খেলেন।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে মারলন স্যামুয়েলস ওয়ানডে ক্যারিয়ারে অষ্টম শতক হাঁকিয়ে ১৫৬ বলে ১৩৩ রান করেন। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান তার ইনিংসটি সাজান ১১টি চার আর তিনটি ছয়ের সাহায্যে।