সাইফুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল থেকে :
সাত বছর পর বাংলাদেশী চা সংসদের সাথে চা শ্রমিক প্রতিনিধিদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া উপস্থাপন করে চুক্তি বিষয়ে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হলো।
গত ৯ ফেব্রয়ারী সোমবার ঢাকার মতিঝিলে ইস্পাহানী ভবনে বেলা দুইটায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কমলগঞ্জের রামভজন কৈরী বলেন, দীর্ঘ ৩৬ বছর পর ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর প্রথমবারের মত সাধারণ চা শ্রমিকদের অংশগ্রহণে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে নির্বাচনে সংগ্রাম কমিটির মাখন লাল কর্মকার সভাপতি ও রামভজন কৈরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ মাত্র এক বছর অতিবাহিত হলে ২৫ নভেম্বর ২০০৯ সনে সে নির্বাচনে পরাজিত পক্ষ চা শ্রমকি ইউনিযনের প্রধান কার্যালয় লেবার হাউস দখল করে নিয়েছিল। এ ঘটনার পর থেকে চা শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে আর চা সংসদের কোন সভা ও চুক্তি হয়নি।
দীর্ঘ ৭ বছর পর সোমবার (৯ ফেব্র“য়ারী) ঢাকায় প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০টি দফা দিয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রেশ করেন চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। ২০ দফার মাঝে উল্লেখযোগ্য দাবীগুলো ছিল চা শ্রমকিদের দৈনিক মজুরী ২০০ টাকা করণ, দুই মাসের বেতনের সমান বোনাস প্রদান, ১০ দিনের কেজ্যুয়েল ছুটি, যে কোন বোটের দিন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনে চা বাগানে ছুটি প্রদান, রেশন কর্তন বন্ধ করা, মাতৃত্বকালীন ৬ মাসের ছুটি, উন্নত বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা। উপস্থাপিত দাবী নিয়ে প্রথম বৈঠকে আলোচনা হলেও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে এসব দাবীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
চা শ্রমিক ইউনিযনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সম্পাদক রাম ভজন কৈরী, শিউধনী কূর্মী, পরেশ কান্তি নৃপেন পাল ও বিজয় হাজরা। অন্যদিকে বাংলাদেশ চা সংসদীয় কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দেন জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি শাহ আলম, শ্রম সংক্রান্ত সাব কমিটির আহ্বায়ক নূর আলম. জ্যেষ্ঠ সদস্য আনিসুজ্জামান ও জিয়াউল হাসান।