দীর্ঘ ১০ মাস পর তামাবিল শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানী শুরু

51

gowainghat photo 10-02-2015গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
দীর্ঘ দশ মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় সিলেটের তামাবিল শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানী শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে কয়লা বোঝাই ট্রাক তামাবিল শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তবে আমদানী খরচ বেশী হওয়ায় নতুন এলসির কয়লা গত বারের তুলনায় বেশী দামে বিক্রি করতে হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কয়লা আমদানীকারকরা। যেখানে গেল বছর প্রতি টন কয়লার দাম ছিল ৭৫ ডলার সেখানে বর্তমানে প্রতি টন কয়লা ৮৫ ডলারে কিনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে গেল বছরের ডিসেম্বর মাসে সিলেটের শ্যাওলা শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে শল্প পরিমানে ভারতের আসাম থেকে কয়লা আমদানী শুরু করলেও বন্ধ ছিল অন্য শুল্ক ষ্টেশনগুলো। শ্যাওলা শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানী শুরু হওয়ার প্রায় দুইমাস পর গতকাল মঙ্গলবার তামাবিল শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানী শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই রানী এন্টার প্রাইজ ১১ ট্রাক (প্রায় ১০০ টন) কয়লা আমদানী করেছেন। তবে নতুন ভাবে আমদানী করা কয়লা প্রতি টন নূন্যতম ১২-১৩ হাজার টাকায় বিত্রি“ করতে হবে বলে জানিয়েছেন রাণী এন্টাপ্রাইজের পরিচালক দিপংকর দেব ও স্থানীয় আমদানীকারকরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্র“পের সভাপতি গোলাম নবি ভূঁইয়া বলেন দীর্ঘ প্রায় দশ মাস পর মঙ্গলবার থেকে তামাবিল শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানী শুরু হয়েছে। তবে আমদানী খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন ভাবে আমদানী করা কয়লা গত বছরের চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করতে হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি এখন থেকে কয়লা আমদানী অব্যহত থাকবে বলে তিনি জানান।
তামাবিল শুল্ক ষ্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুর রুফ জানান তামাবিল শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানী শুরু হয়েছে। দীর্ঘ দিন কয়লা আমদানী বন্ধ থাকার পড় মঙ্গলবার তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ১১টি কয়লা বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাস থেকে ভারতীয় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে কয়লা রফতানী বন্ধ হয়ে পড়ে। কয়লা রফতানী বন্ধ হয়ে পড়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশের ইট ভাটাগুলো। ভরা মৌসুমেও জ্বালানী সংকটে বন্ধ হয়ে পড়ে উৎপাদন। কয়লা ব্যাবসায়ীরাও পড়েন ক্ষতির মুখে।