বিএনপি-জামায়াতের কর্মকান্ড জনরোষেই প্রতিহত হবে —————- শেখ হাসিনা

33

Copy of khaleda hasina (2)_52731কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড প্রতিহত করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেবল জনরোষই এসব দলের অশুভ কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে অর্থ জোগানদাতাদের চিহ্নিত এবং জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধে ব্যাংকের লেনদেন কঠোরভাবে মনিটর করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেন। খবর বাসসের।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতার পৃষ্ঠপোষকরা দেশে ও দেশের বাইরে অর্থ স্থানান্তরে এখনও ব্যাংকগুলোকে ব্যবহার করছে। এজন্য ব্যাংকের লেনদেন নিবিড়ভাবে মনিটর করা উচিত এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নকারীদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
মন্ত্রণালয়গুলোর কাজে গতিশীলতা আনতে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় পরিদর্শন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে আসেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বক্তৃতা করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ ও এর অধীনস্থ বিভিন্ন বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, নিরপরাধ মানুষ ও দেশের অর্থনীতি লক্ষ্য করে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড সম্পর্ক জনগণ সজাগ রয়েছে। জনগণ এ নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে শুরু করেছে। কেবল জনরোষেই বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য প্রতিহত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার রয়েছে। কারণ আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর ও মর্যাদাশীল হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের। তিনি বলেন, জনগণ বিএনপি-জামায়াতের হামলায় উদ্বিগ্ন। তারা রাজনীতির নামে হত্যা, পেট্রলবোমা হামলা ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকরসহ সব ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইসলামের নামে রাজনীতি করছে। কিন্তু তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা ইসলাম কখনও সমর্থন করে না। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জন্য বিএনপির কোনো সহানুভূতি নেই। কারণ এদেশ সৃষ্টিতে দলটির কোনো আত্মত্যাগ নেই। অন্যের ত্যাগের বিনিময়ে তারা এদেশ পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বিএনপি গঠন করে। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী ছিল দখলদার বাহিনীর দালাল ও দোসর। তারা দখলদার বাহিনীর লালসা মেটাতে আমাদের মা-বোনদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী। এজন্য এ দলগুলোর দেশরক্ষা ও দেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের কোনো দায়িত্ব নেই। বিএনপি-জামায়াত কেবল দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ-সম্পদ লুট করে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে জানে।