আমার নেতা ছিলেন বরুণ রায় – সুরঞ্জিত সেন

44

shahin-pic-25-12-14--03আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, বরুণ রায় আজীবন ত্যাগের রাজনীতি করে গেছেন। তিনি ধর্ম রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির অগ্রসেনানি ছিলেন। বরুণ রায় কমিউনিস্ট পার্টি করতেন। তখন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কমিউনিস্ট রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আমি যদিও কমিউনিস্ট পার্টি করতাম না, তারপরও আমার নেতা ছিলেন বরুণ রায়। ত্যাগ-তিতীক্ষা ছিল বরুণ রায়ের অহংকার। ভোগের রাজনীতির বিপরীতে আজীবন ত্যাগের রাজনীতি করে ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা. ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ- সব স্বাধিকার আন্দোলনে বরুণ রায় ছিলেন প্রথম শ্রেণীতে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দীর্ঘ ১৪ বছর জেল খেটেছেন বরুণ রায়। জেলের ভেতর বরুণ রায় গান গেয়ে শোনাতেন বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য নেতাদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেটস্থ সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন আয়োজিত সাবেক সাংসদ ও বাম আন্দোলনের পুরোধা প্রসূন কান্তি রায়ের (বরুণ রায়) ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসোসিয়েশনের আহবায়ক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা জজকোর্টের এডিশনাল পিপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শামসুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল হোসেন চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক আহমদ, মনোরঞ্জন তালুকদার, অরুণ দেবনাথ সাগর, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আলী হোসেন, সঞ্জয় চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, কামরুজ্জামান, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি