কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ঝিলেরপার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সংবাদপত্র বিক্রির সময় হকার রুবেল আহমদ দলবদ্ধ একটি চক্রের হামলা ও লুটপাটের শিকার হয়েছেন। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করায় আহত অবস্থায় তিনি কুলাউড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গত ২৭ ও ২৮ নভেম্বর সিলেটী কয়েকটি ও জাতীয় ২টি দৈনিক পত্রিকায় ‘কুলাউড়ায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাটা হলো সরকারি গাছ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমিউনিষ্ট পার্টির কুলাউড়া উপজেলা সভাপতি কমরেড আব্দুল লতিফ ক্ষিপ্ত হয়ে হকার রুবেল আহমদকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ও তার দলবল দিয়ে আটকিয়ে ঝিলের পার বাসস্ট্যান্ড থেকে পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে নিয়ে আটক করে রাখেন।
হকার রুবেল আহমদ জানান, স্থানীয় আলম চৌধুরী, মছব্বির আলী, জয়সেন দাস, কয়ছর আলী, জুবের আহমদ, সামাদ আলম চৌধুরী ও কুদরত তাকে ঝিলেরপার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মারপিট করে পৃথিমপাশা ইউনিয়ন অফিসে আটকে রাখে। হামলাকারীরা তার সকল পত্রিকার বিক্রয়ের টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনা জানাজানি হলে রুবেলকে উদ্ধার করে কুলাউড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করেন। রুবেল আহমদ অপহৃত হওয়ার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ দিকে গতকাল শনিবার হকার রুবেল বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, হকার রুবেল আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত একটি পত্রিকা নিয়ে আমার নিজ বাড়ী ঢিলেরপার এলাকা ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সর্বত্র চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তাজা খবর বলে পত্রিকা বিক্রির চেষ্টাকালে ইউনিয়নের কয়েকজন ব্যক্তি তাকে পত্রিকা বিক্রি না করতে নিষেধ করেন। তবে হকারের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান রহমান জানান, হকার রুবেলের একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হাসান জানান, হকারের উপর নির্যাতনের ঘটনাটি দু:খজনক। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।