কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাসসের সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক জগলুল আহমেদ চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)।
গতকাল শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে কারওয়ানবাজার এলাকায় বাস থেকে নামার সময় পড়ে গেলে একই বাসের পিছনের চাকায় জখম হন তিনি।
এ সময় পথচারীরা উদ্ধার করে প্রথমে কাছের মোহনা ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের ডাক্তার না থাকায় গ্রিনরোডের কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার ইমরান হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর ছেলে নাবিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, তার বোন দেশের বাইরে রয়েছেন। তার জন্য আজ (রবিবার) পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। তিনি কোনো কারণে না আসতে পারলে জানাজা ও দাফন সম্পর্কে পরে জানানো হবে।
দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত জানান, টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলায় একটি টকশোতে অংশ নিতেই কারওয়ানবাজারে যান জগলুল আহমেদ চৌধুরী।
ওই টকশোতে তাদের দু’জনেরই অংশ নেওয়ার কথা ছিলো জানিয়ে শ্যামল দত্ত জানান, মৃত্যুর পনেরো মিনিট আগেও তাদের মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়।
প্রবীণ এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শোক জানিয়েছেন।
ঢাকায় বনানীতে বাস করতেন জগলুল আহমেদ চৌধুরী। তার একমাত্র মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং একমাত্র ছেলে গ্রামীণফোনে কর্মরত।
জগলুল আহমেদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পিয়াম গ্রামে। বাবা নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন যুক্তফ্রন্ট সরকারের আইনমন্ত্রী।
জগলুল আহমেদ চৌধুরীর অকাল মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি গভীরভাবে শোকাভিভূত।
ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ এক শোকবার্তায় জগলুল এ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।